মুক্তিযুদ্ধের গান ও কবিতার দেয়ালিকা
|
|
|
এই পাতাটি পাশাপাশি, ডাইনে-বামে ও কবিতাগুলি উপর-নীচ স্ক্রল করে! This page scrolls sideways < Left - Right >. Poems scroll ^ Up - Down v.
|
এই পাতার পশ্চাৎপটের ছবিটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের কিছু বিখ্যাত ছবির কৃষ্ণকায় করা কোলাজ! রয়েছে বাংলাদেশের বীর নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা সৈনিকদের ছবির পাশে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ আত্মবলিদানের কথা কখনোই ভুলবার নয়। এই পাতার গান কবিতা ও তথ্য, কবি-গণসঙ্গীতকার রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ সংগ্রহ।
|
|
|
সাড়ে সাত কোটি বাঙ্গালীর হে বিধাতা, তোমায় নমস্কার ।
সাড়ে সাত কোটি বাঙ্গালীর হে বিধাতা, তোমায় নমস্কার।
মুজিবর এই নামের পতাকা, মুজিবর এই নামের পতাকা,
উড়াইলাম এবার, তোমায় নমস্কার।
সাড়ে সাত কোটি বাঙ্গালীর হে বিধাতা, তোমায় নমস্কার॥
তোমার কণ্ঠে চাষী মজুর পাইলো যে তার ভাষা।
তোমার কণ্ঠে চাষী মজুর পাইলো যে তার ভাষা।
তোমার ভাষায় বাঙ্গালী জাত পাইলো নতুন আশা।
তুমি রাম তুমি রহিম,, তুমি রাম তুমি রহিম
করলা একাকার।
তোমায় নমস্কার।
সাড়ে সাত কোটি বাঙ্গালীর হে বিধাতা, তোমায় নমস্কার॥
নিজভূমে পরবাসী হইয়া রইছি কত দিন।
বুকের খুনে সুরজ রে আজ করছে গরম দিন।
নিজভূমে পরবাসী হইয়া রইছি কত দিন।
তুমি কত না যে অইত্যাচার সইলা মোদের তরে,
মুজিবর…….
তুমি কত না যে অইত্যাচার সইলা মোদের তরে।
সাড়ে সাত কোটি বাঙালির কবি সলিল চৌধুরী (১১.১১.১৯২৫ - ৫.৯.১৯৯৫)। সুর - কানু ঘোষ। শিল্পী মান্না দের কণ্ঠে
গানটি শুনুন ভিডিওতে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৭২ সালে, সলিল চৌধুরীর রচিত গান। ভিডিওটি সৌজন্যে SEVENTH
WONDERLAND YouTube Channel.
এই পাতার পশ্চাৎপটের ছবিটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের কিছু বিখ্যাত ছবির কৃষ্ণকায় করা কোলাজ! রয়েছে বাংলাদেশের বীর নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা সৈনিকদের ছবির পাশে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ আত্মবলিদানের কথা কখনোই ভুলবার নয়। এই পাতার গান কবিতা ও তথ্য, কবি-গণসঙ্গীতকার রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ সংগ্রহ।
|
|
|
এবার মুক্ত করছি বাঙ্গলা,
এবার মুক্ত করছি বাঙ্গলা, আসন তোমার তরে
বুকে বুকে বাঁধসি গো মোরা,
বুকে বুকে বাঁধসি গো মোরা, লও হে তুলে ভার।
তোমায় নমস্কার॥
সাড়ে সাত কোটি বাঙ্গালীর হে বিধাতা, তোমায় নমস্কার।
মুজিবর এই নামের পতাকা, উড়াইলাম এবার,
তোমায় নমস্কার।
তোমায় নমস্কার।
তোমায় নমস্কার॥
ও ভাইরে ভাই ভাই চল ঘরে ফিরে যাই
ও ভাইরে ভাই ভাই চল ঘরে ফিরে যাই
শুধু শক্ত কইরা মনটা বাইন্ধা সঙ্গে লইয়া যাই
বুঝি আর তো কিছুই নাই
শুধু শক্ত কইরা মনটা বাইন্ধা সঙ্গে লইয়া যাই
বুঝি আর তো কিছুই নাই
ও ভাইরে ভাই ভাই চল ঘরে ফিরে যাই
ছিল পদ্মাপারে আমার ঘরে এক সোনা বৌ
আমিনা তার নাম
ছিল পদ্মাপারে আমার ঘরে এক সোনা বৌ
আমিনা তার নাম
ওই খানসেনাদের কবলেতে জানি না হায়
কি যে পরিণাম
কেউ বলেছে এসে বিষ খাইয়া সে শ্যাষে
কেউ বলেছে এসে বিষ খাইয়া সে শ্যাষে
মান-ইজ্জতের বদলে সে দিয়া গেছে
প্রাণের ধরা দাম
হায় জানি না, হায় জানি না
শূন্য ঘরে কেমন কৈরে
দিন রজনী থাকবো আবার
ভাবছি শুধুই তাই
ও ভাইরে ভাই ভাই চল ঘরে ফিরে যাই
ও ভাইরে ভাই ভাই চল ঘরে ফিরে যাই কবি সলিল চৌধুরী (১১.১১.১৯২৫ - ৫.৯.১৯৯৫)। সুর - কানু ঘোষ। শিল্পী মান্না দের কণ্ঠে গানটি শুনুন
ভিডিওতে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৭২ সালে, সলিল চৌধুরীর রচিত গান। ভিডিওটি সৌজন্যে SEVENTH WONDERLAND YouTube Channel.
এই পাতার পশ্চাৎপটের ছবিটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের কিছু বিখ্যাত ছবির কৃষ্ণকায় করা কোলাজ! রয়েছে বাংলাদেশের বীর নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা সৈনিকদের ছবির পাশে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ আত্মবলিদানের কথা কখনোই ভুলবার নয়। এই পাতার গান কবিতা ও তথ্য, কবি-গণসঙ্গীতকার রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ সংগ্রহ।
|
|
|
ওরে হায়রে দেশের হাজার হাজার সোনা মানিক
দিয়েছে যে প্রাণ
হায়রে দেশের হাজার হাজার সোনা মানিক
দিয়েছে যে প্রাণ
হায় একটু শুধু বাংলাদেশে স্বাধীনভাবে
থাকার প্রতিদান
লক্ষ ছেলে মেয়ে মুক্তি সেনা হয়ে
লক্ষ ছেলে মেয়ে মুক্তি সেনা হয়ে
ভারতবাসীর কাঁধে কাঁধে মিলে দমন করে
ইয়াহইয়া খান
হায় ভুলো না আর ভুলো না
দেশের শহীদ মানিক সোনা
যে লক্ষ প্রাণের মূল্যে স্বাধীন হইলাম রে আজ ভাই
লক্ষ প্রাণের মূল্যে স্বাধীন হইলাম রে আজ ভাই
ও ভাইরে ভাই ভাই চল ঘরে ফিরে যাই
ও ভাইরে ভাই ভাই চল ঘরে ফিরে যাই
চল ঘরে ফিরে যাই
ঘরে ফিরে যাই
চল ঘরে ফিরে যাই
এই দেশ এই দেশ আমার এই দেশ
এই মাটিতে জন্মেছি মা
জীবন মরণ তোমার চরণ
তোমার চরণধূলি দাও মা
এই দেশ এই দেশ আমার এই দেশ
এই মাটিতে জন্মেছি মা
এই দেশ এই দেশ আমার এই দেশ
এই মাটিতে জন্মেছি মা
জীবন মরণ তোমার চরণ
তোমার চরণধূলি দাও মা
কত অসন কত বসন
কত রঙীন ভাষায় ভাষণ
কত অসন কত বসন
কত রঙীন ভাষায় ভাষণ
তবু আসন একই সবার
তোমার চরণ তলে গো মা
তবু আসন একই সবার
তোমার চরণ তলে গো মা
এই দেশ এই দেশ আমার এই দেশ
এই মাটিতে জন্মেছি মা
জীবন মরণ তোমার চরণ
এই দেশ এই দেশ আমার এই দেশ কবি সলিল চৌধুরী (১১.১১.১৯২৫ - ৫.৯.১৯৯৫)। সুর - কানু ঘোষ। শিল্পী মান্না দের কণ্ঠে গানটি শুনুন ভিডিওতে। বাংলাদেশের
মুক্তিযুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৭২ সালে, সলিল চৌধুরীর রচিত গান। গানটি আকাশবাণী কলকাতা থেকে রম্যগীতি হিসেবে প্রচারিত হয়। ঠিক হয়েছিল গানদুটি একটি স্ট্যান্ডার্ড
রেকর্ডে প্রকাশিত হবে, কিন্তু কোনো কারণে তা বাস্তবায়িত হয়নি। পরে এগুলি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে নির্মিত একটি ছায়াছবি ‘রক্তাক্ত বাংলা’ (১৯৭২)-তে ব্যবহৃত হয়।
ভিডিওটি সৌজন্যে Manna Dey - Topic YouTube Channel.
এই পাতার পশ্চাৎপটের ছবিটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের কিছু বিখ্যাত ছবির কৃষ্ণকায় করা কোলাজ! রয়েছে বাংলাদেশের বীর নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা সৈনিকদের ছবির পাশে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ আত্মবলিদানের কথা কখনোই ভুলবার নয়। এই পাতার গান কবিতা ও তথ্য, কবি-গণসঙ্গীতকার রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ সংগ্রহ।
|
|
|
তোমার চরণধূলি দাও মা
এই দেশ এই দেশ আমার এই দেশ
নানান ধরম নানান ভরম
আলাদা হোক একই করম
একই সাধনা
নানান ধরম নানান ভরম
আলাদা হোক একই করম
একই সাধনা
হিমালয়ের শীর্ষ যেমন
এদেশ উঁচু রবে তেমন
হিমালয়ের শীর্ষ যেমন
এদেশ উঁচু রবে তেমন
সাধের সাধন স্বাধীনতা
সামনে সফল হবেই তোমার
সাধের সাধন স্বাধীনতা
সামনে সফল হবেই তোমার
এই দেশ এই দেশ আমার এই দেশ
এই মাটিতে জন্মেছি মা
জীবন মরণ তোমার চরণ
তোমার চরণধূলি দাও মা
এই দেশ এই দেশ আমার এই দেশ
কত না যুগ ধরি ধরি
ফিরে গেল শীতল পরি
কত না যুগ ধরি ধরি
ফিরে গেল শীতল পরি
তা কি জানি না
কত না যুগ ধরি ধরি
ফিরে গেল শীতল পরি
তা কি জানি না
তোমার লাখো লাখো ছেলে
চিরজীবন অবহেলে
তোমার লাখো লাখো ছেলে
চিরজীবন অবহেলে
তারা রক্ত ফেলি জন্মভূমির
পূণ্যভূমি করেছে মা
রক্ত ফেলি জন্মভূমির
পূণ্যভূমি করেছে মা
এই দেশ এই দেশ আমার এই দেশ
এই মাটিতে জন্মেছি মা
জীবন মরণ তোমার চরণ
তোমার চরণধূলি দাও মা
এই দেশ এই দেশ আমার এই দেশ
এই মাটিতে জন্মেছি মা
জীবন মরণ তোমার চরণ
তোমার চরণধূলি দাও মা
এই দেশ এই দেশ আমার এই দেশ
তা কি জানি না
কত না যুগ ধরি ধরি
ফিরে গেল শীতল পরি
তা কি জানি না
তোমার লাখো লাখো ছেলে
চিরজীবন অবহেলে
তোমার লাখো লাখো ছেলে
চিরজীবন অবহেলে
তারা রক্ত ফেলি জন্মভূমির
পূণ্যভূমি করেছে মা
রক্ত ফেলি জন্মভূমির
পূণ্যভূমি করেছে মা
এই দেশ এই দেশ আমার এই দেশ
এই মাটিতে জন্মেছি মা
জীবন মরণ তোমার চরণ
তোমার চরণধূলি দাও মা
এই দেশ এই দেশ আমার এই দেশ
এই মাটিতে জন্মেছি মা
জীবন মরণ তোমার চরণ
তোমার চরণধূলি দাও মা
এই দেশ এই দেশ আমার এই দেশ
ফিরে আয়, ফিরে আয়, ঘরে ফিরে আয়
বাছা আমার, সোনা আমার।
ফিরে আয়, ফিরে আয়, ঘরে ফিরে আয়।
বাছা আমার, সোনা আমার।
কেঁদো না, কেঁদো না, যতই বেদনা
সয়েছো বয়েছো, সে তো সাধনা।
কেঁদো না, কেঁদো না, যতই বেদনা
সয়েছো বয়েছো, সে তো সাধনা।
এ শ্যামল শ্যামল মাটিতে নূতন
ভুবন গড়ে তোলো আবার।
এ শ্যামল শ্যামল মাটিতে নূতন
ভুবন গড়ে তোলো আবার॥
জেনো যে তোমারই মত
যুগ যুগ ধরে কত না, কত না শত
মানুষ মুক্তি চেয়ে
দিয়ে গেছে প্রাণ, গান গেয়ে গেয়ে।
জেনো যে তোমারই মত
যুগ যুগ ধরে কত না, কত না শত
মানুষ মুক্তি চেয়ে
দিয়ে গেছে প্রাণ, গান গেয়ে গেয়ে।
ফিরে আয় ফিরে আয় কবি সলিল চৌধুরী (১১.১১.১৯২৫ - ৫.৯.১৯৯৫)। সুর - কানু ঘোষ। শিল্পী মান্না দের কণ্ঠে গানটি শুনুন ভিডিওতে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৭২ সালে, সলিল চৌধুরীর
রচিত গান। গানটি আকাশবাণী কলকাতা থেকে রম্যগীতি হিসেবে প্রচারিত হয়। ঠিক হয়েছিল গানদুটি একটি স্ট্যান্ডার্ড রেকর্ডে প্রকাশিত হবে, কিন্তু কোনো কারণে তা বাস্তবায়িত হয়নি। পরে এগুলি বাংলাদেশের
মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে নির্মিত একটি ছায়াছবি ‘রক্তাক্ত বাংলা’ (১৯৭২)-তে ব্যবহৃত হয়। ভিডিওটি সৌজন্যে mh music archive - Indian, Legend YouTube Channel.
এই পাতার পশ্চাৎপটের ছবিটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের কিছু বিখ্যাত ছবির কৃষ্ণকায় করা কোলাজ! রয়েছে বাংলাদেশের বীর নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা সৈনিকদের ছবির পাশে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ আত্মবলিদানের কথা কখনোই ভুলবার নয়। এই পাতার গান কবিতা ও তথ্য, কবি-গণসঙ্গীতকার রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ সংগ্রহ।
|
|
|
দুনিয়ায়… দুনিয়ায় শোষিত যত
তারা আপন হলো তোমার।
দুনিয়ায়… দুনিয়ায় শোষিত যত
তারা আপন হলো তোমার।
কেঁদো না, কেঁদো না, যতই বেদনা
সয়েছো বয়েছো, সে তো সাধনা।
কেঁদো না, কেঁদো না, যতই বেদনা
সয়েছো বয়েছো, সে তো সাধনা।
এ শ্যামল শ্যামল মাটিতে নূতন
ভুবন গড়ে তোলো আবার।
এ শ্যামল শ্যামল মাটিতে নূতন
দুনিয়ায়… দুনিয়ায় শোষিত যত
তারা আপন হলো তোমার।
দুনিয়ায়… দুনিয়ায় শোষিত যত
তারা আপন হলো তোমার।
কেঁদো না, কেঁদো না, যতই বেদনা
সয়েছো বয়েছো, সে তো সাধনা।
কেঁদো না, কেঁদো না, যতই বেদনা
সয়েছো বয়েছো, সে তো সাধনা।
এ শ্যামল শ্যামল মাটিতে নূতন
ভুবন গড়ে তোলো আবার।
এ শ্যামল শ্যামল মাটিতে নূতন
ভুবন গড়ে তোলো আবার।
এ শ্যামল শ্যামল মাটিতে নূতন
ভুবন গড়ে তোলো আবার।
ফিরে আয়, ফিরে আয়, ঘরে ফিরে আয়
বাছা আমার, সোনা আমার॥
হ'ল না তোমারই খুনের
বীজ বুনে বুনে গেছো মাটিতে মাটিতে ----
ফসল তোলার দিনে
আর যেন কেউ পারে না কাড়িতে।
হ'ল না তোমারই খুনের
বীজ বুনে বুনে গেছো মাটিতে মাটিতে ----
ফসল তোলার দিনে
আর যেন কেউ পারে না কাড়িতে।
জীবন-মরণ যাহার শরণ,
বাংলা মায়ের কসম তোমার।
জীবন-মরণ যাহার শরণ,
বাংলা মায়ের কসম তোমার।
কেঁদো না, কেঁদো না, যতই বেদনা
সয়েছো বয়েছো, সে তো সাধনা।
এ শ্যামল শ্যামল মাটিতে নূতন
ভুবন গড়ে তোলো আবার।
ফিরে আয়, ফিরে আয়, ঘরে ফিরে আয়
বাছা আমার, সোনা আমার।
এ শ্যামল শ্যামল মাটিতে নূতন
ভুবন গড়ে তোলো আবার।
ফিরে আয়, ফিরে আয়, ঘরে ফিরে আয়
বাছা আমার, সোনা আমার॥
মাগো ভাবনা কেন
আমরা তোমার শান্তি প্রিয় শান্ত ছেলে
তবু শত্রু এলে অস্ত্র হাতে ধরতে জানি
তোমার ভয় নেই মা আমরা প্রতিবাদ করতে জানি
মাগো ভাবনা কেন
আমরা তোমার শান্তি প্রিয় শান্ত ছেলে
তবু শত্রু এলে অস্ত্র হাতে ধরতে জানি
তোমার ভয় নেই মা আমরা প্রতিবাদ করতে জানি
আমরা হারবো না হারবো না
তোমার মাটির একটি কণাও ছাড়বো না
আমরা হারবো না হারবো না
তোমার মাটির একটি কণাও ছাড়বো না
আমরা পাঁজর দিয়ে দুর্গ ঘাঁটি গড়তে জানি
তোমার ভয় নেই মা আমরা প্রতিবাদ করতে জানি
মাগো ভাবনা কেন কবি গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার (৫.১২.১৯২৪ - ২০.৮.১৯৮৬), সুর ও শিল্পী - হেমন্ত মুখোপাধ্যায়। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরে
১৯৭২-এর ডিসেম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের আমন্ত্রণে রাষ্ট্রীয় অতিথি হিসেবে বাংলাদেশে গিয়েছিলেন গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার। বাংলাদেশ রেডিয়োর জন্য
লিখেছিলেন এই গানটি। হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের কণ্ঠে সে গান বাংলার আকাশ বাতাস মুখরিত করেছিল। গানের ভিডিওটি সৌজন্যে MasudShohel YouTube Channel.
এই পাতার পশ্চাৎপটের ছবিটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের কিছু বিখ্যাত ছবির কৃষ্ণকায় করা কোলাজ! রয়েছে বাংলাদেশের বীর নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা সৈনিকদের ছবির পাশে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ আত্মবলিদানের কথা কখনোই ভুলবার নয়। এই পাতার গান কবিতা ও তথ্য, কবি-গণসঙ্গীতকার রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ সংগ্রহ।
|
|
|
আমরা পরাজয় মানবো না
দুর্বলতায় বাঁচতে সুধু জানবো না
আমরা পরাজয় মানবো না
দুর্বলতায় বাঁচতে সুধু জানবো না
আমরা চির দিনই হাসি মুখে মরতে জানি
তোমার ভয় নেই মা আমরা প্রতিবাদ করতে জানি
মাগো ভাবনা কেন
আমরা তোমার শান্তি প্রিয় শান্ত ছেলে
তবু শত্রু এলে অস্ত্র হাতে ধরতে জানি
তোমার ভয় নেই মা আমরা প্রতিবাদ করতে জানি
আমরা অপমান সইবো না
ভীরুর মতো ঘরের কোণে রইবো না
আমরা অপমান সইবো না
ভীরুর মতো ঘরের কোণে রইবো না
আমরা আকাশ থেকে বজ্র হয়ে জ্বলতে জানি
তোমার ভয় নেই মা আমরা প্রতিবাদ করতে জানি
মাগো ভাবনা কেন
আমরা তোমার শান্তি প্রিয় শান্ত ছেলে
তবু শত্রু এলে অস্ত্র হাতে ধরতে জানি
তোমার ভয় নেই মা আমরা প্রতিবাদ করতে জানি
বঙ্গবন্ধু ডাকে রে,
মুজিব ভাই ডাকে রে ---
কে কোথায় আছো?
মাঠে-ঘাটে, গঞ্জে-হাটে, কোথায় আছো?
গ্রামে-শহরেতে, কলে-কারখানাতে,
কোথায় আছো?
হিন্দু-মুসলমান, বৌদ্ধ-খ্রিস্টান,
মিলি আয় লাখে লাখে রে।
বঙ্গবন্ধু ডাকে রে,
মুজিব ভাই ডাকে রে॥
শোনো ভাই মুজিবের কথা,
দেশে আনলো সে যে স্বাধীনতা।
কোন সন্তান করলো সুখী,
কোন সন্তান করলো সুখী
এমন করে বাংলা মাকে?
হিন্দু-মুসলমান, বৌদ্ধ-খ্রিস্টান,
মিলি আয় লাখে লাখে রে।
বঙ্গবন্ধু ডাকে রে,
মুজিব ভাই ডাকে রে॥
বঙ্গবন্ধু ডাকে রে - কবি গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার (৫.১২.১৯২৪ - ২০.৮.১৯৮৬), সুর - নির্মলেন্দু চৌধুরী।
শিল্পী - নির্মলেন্দু চৌধুরী ও বনশ্রী সেনগুপ্ত। ১৯৭২ সালে রেকর্ড করা গান। ভিডিওটি সৌজন্যে pujan kumar daripa
YouTube Channel.
এই পাতার পশ্চাৎপটের ছবিটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের কিছু বিখ্যাত ছবির কৃষ্ণকায় করা কোলাজ! রয়েছে বাংলাদেশের বীর নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা সৈনিকদের ছবির পাশে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ আত্মবলিদানের কথা কখনোই ভুলবার নয়। এই পাতার গান কবিতা ও তথ্য, কবি-গণসঙ্গীতকার রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ সংগ্রহ।
|
|
|
ফুটলো যে ফুল স্বাধীনতার
বাংলা দেশের ঘরে ঘরে।
হুঁশিয়ার ভাই থাকিস তোরা,
হুঁশিয়ার ভাই থাকিস তোরা,
যেন থাকিস প্রবৃন্ত করি।
হিন্দু-মুসলমান, বৌদ্ধ-খ্রিস্টান,
মিলি আয় লাখে লাখে রে।
বঙ্গবন্ধু ডাকে রে,
মুজিব ভাই ডাকে রে॥
মাঠে-ঘাটে, গঞ্জে-হাটে,
কোথায় আছো?
গ্রামে-শহরেতে, কলে-কারখানাতে,
কোথায় আছো?
হিন্দু-মুসলমান, বৌদ্ধ-খ্রিস্টান,
মিলি আয় লাখে লাখে রে।
বঙ্গবন্ধু ডাকে রে,
মুজিব ভাই ডাকে রে॥
বাংলার হিন্দু, বাংলার বৌদ্ধ
বাংলার খ্রীষ্টান, বাংলার মুসলমান,
আমরা সবাই বাঙালী॥
তিতুমীর, ঈসা খাঁ, সিরাজ
সন্তান এই বাংলাদেশের।
ক্ষুদিরাম, সূর্যসেন, নেতাজী
সন্তান এই বাংলাদেশের।
এই বাংলার কথা বলতে গিয়ে
বিশ্বটাকে কাঁপিয়ে দিল কার সে কণ্ঠস্বর,
মুজিবর, সে যে মুজিবর,
"জয় বাংলা" বল রে ভাই॥
ছয়টি ছেলে বাংলা ভাষার চরণে দিল প্রাণ,
তাঁরা বলে গেল ভাষাই ধর্ম,
ভাষাই মোদের মান।
মাইকেল, বিশ্বকবি, নজরুল
সন্তান এই বাংলাদেশের।
কায়কোবাদ, বিবেকানন্দ, অরবিন্দ
সন্তান এই বাংলাদেশের।
আমরা সবাই বাঙালি - কবি গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার (৫.১২.১৯২৪ - ২০.৮.১৯৮৬)। সুরকার ও
কণ্ঠশিল্পী: শ্যামল মিত্র। আমরা কৃতজ্ঞ গানেরপাতা.কম ওয়েবসাইটের কাছে কারণ গানটি আমরা পেয়েছি সেখান
থেকেই। সেই পাতায় যেতে এখানে ক্লিক করুন . . .। গানের ভিডিওটি সৌজন্যে sumon mahmud YouTube
Channel.
এই পাতার পশ্চাৎপটের ছবিটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের কিছু বিখ্যাত ছবির কৃষ্ণকায় করা কোলাজ! রয়েছে বাংলাদেশের বীর নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা সৈনিকদের ছবির পাশে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ আত্মবলিদানের কথা কখনোই ভুলবার নয়। এই পাতার গান কবিতা ও তথ্য, কবি-গণসঙ্গীতকার রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ সংগ্রহ।
|
|
|
এই বাংলার কথা বলতে গিয়ে
বিশ্বটাকে কাঁপিয়ে দিল কার সে কণ্ঠস্বর,
মুজিবর, সে যে মুজিবর,
"জয় বাংলা" বল রে ভাই॥
এই পাতার পশ্চাৎপটের ছবিটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের কিছু বিখ্যাত ছবির কৃষ্ণকায় করা কোলাজ! রয়েছে বাংলাদেশের বীর নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা সৈনিকদের ছবির পাশে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ আত্মবলিদানের কথা কখনোই ভুলবার নয়। এই পাতার গান কবিতা ও তথ্য, কবি-গণসঙ্গীতকার রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ সংগ্রহ।
|
|
|
॥ ১৯৪৬॥
বিদ্রোহ আজ বিদ্রোহ চারিদিকে,
আমি যাই তারি দিন-পঞ্জিকা লিখে,
এত বিদ্রোহ কখনো দেখেনি কেউ,
দিকে দিকে ওঠে অবাধ্যতার ঢেউ ;
স্বপ্ন-চূড়ার থেকে নেমে এসো সব------
শুনেছ ? শুনছ উদ্দাম কলরব ?
নয়া ইতিহাস লিখছে ধর্মঘট,
রক্তে রক্তে আঁকা প্রচ্ছদ-পট |
প্রত্যহযারা ঘৃণিত ও পদানত,
দেখ আজ তারা সবেগে সমুদ্যত ;
তাদেরই দলের পিছনে আমিও আছি,
তাদেরই মধ্যে আমিও যে মরি-বাঁচি |
তাইতো চলেছি দিন-পঞ্জিকা লিখে-----
বিদ্রোহ আজ ! বিপ্লব চারিদিকে ||
বিদ্রোহ চারিদিকে বিদ্রোহ আজ কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য্য (১৫.৮.১৯২৬ - ১৩.৫.১৯৪৭)। রচনা ১৯৪৬। ১৯৪৮ সালে প্রকাশিত কবির ছাড়পত্র কাব্যগ্রন্থের কবিতা। সুর - সলিল
চৌধুরী, কণ্ঠ - হেমন্ত মুখোপাধ্যায়। সম্পূর্ণ গানটির ভিডিও টি সৌজন্যে Saroj Sanyal YouTube Channel.
শুভজিৎ সরকার, প্রহর.ইন ওয়েবসাইটে তাঁর "মুক্তিযুদ্ধের সমর্থনে কলকাতার সঙ্গীতশিল্পীরা, প্রকাশ পেল একের পর এক রেকর্ড" প্রবন্ধে লিখেছেন . . .
"এই নিষ্ঠুর, পাশবিক যুদ্ধের সমকালীন পরিবেশের এক ঝলক আমরা দেখতে পাই ঋত্বিককুমার ঘটক পরিচালিত এবং বিশ্বজিৎ প্রযোজিত ও অভিনীত ‘দুর্বার-গতি পদ্মা’(১৯৭১) তথ্যচিত্রে। এই
তথ্যচিত্রে বম্বের বহু কলাকুশলীদের সঙ্গে দেখা যায় কলকাতার বহু সঙ্গীতশিল্পীকেও। শচীনদেব বর্মণ, হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, মান্না দে, সলিল চৌধুরী প্রমুখদের গাওয়া গান এই তথ্যচিত্রের বিশেষ
আকর্ষণ।" সেই তথ্যচিত্রে এই গানটিও রাখা হয়েছিল।
তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা শামসুর রাহমান (২৪.১০.১৯২৮ - ১৭.৮.২০০৬)। কবির “বন্দী শিবির থেকে” কাব্য সংকলনের কবিতা। আমরা পেয়েছি দেজ
থেকে ২০০৫ সালে প্রকাশিত (প্রথম প্রকাশ ১৯৮৫) “শামসুর রাহমানের শ্রেষ্ঠ কবিতা” সংকলন থেকে। শিমুল মুস্তাফার কণ্ঠে আবৃত্তি শুনুন, ভিডিওটি সৌজন্যে Shimul Mustapha Official
YouTube Channel .
এই পাতার পশ্চাৎপটের ছবিটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের কিছু বিখ্যাত ছবির কৃষ্ণকায় করা কোলাজ! রয়েছে বাংলাদেশের বীর নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা সৈনিকদের ছবির পাশে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ আত্মবলিদানের কথা কখনোই ভুলবার নয়। এই পাতার গান কবিতা ও তথ্য, কবি-গণসঙ্গীতকার রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ সংগ্রহ।
|
|
|
তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা,
তোমাকে পাওয়ার জন্যে
আর কতবার ভাসতে হবে রক্তগঙ্গায়?
আর কতবার দেখতে হবে খাণ্ডবদাহন?
তুমি আসবে ব'লে, হে স্বাধীনতা,
সাকিনা বিবির কপাল ভাঙলো,
সিঁথির সিঁদুর গেল হরিদাসীর।
তুমি আসবে ব'লে, হে স্বাধীনতা,
শহরের বুকে জলপাইয়ের রঙের ট্যাঙ্ক এলো
দানবের মত চিত্কার করতে করতে
তুমি আসবে ব'লে, হে স্বাধীনতা,
ছাত্রাবাস বস্তি উজাড় হলো। রিকয়েললেস রাইফেল
আর মেশিনগান খই ফোটালো যত্রতত্র।
তুমি আসবে ব'লে, ছাই হলো গ্রামের পর গ্রাম।
তুমি আসবে ব'লে, বিধ্বস্ত পাড়ায় প্রভূর বাস্তুভিটার
ভগ্নস্তূপে দাঁড়িয়ে একটানা আর্তনাদ করলো একটা কুকুর।
তুমি আসবে ব'লে, হে স্বাধীনতা,
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিলো পিতামাতার লাশের উপর।
তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা, তোমাকে পাওয়ার জন্যে
আর কতবার ভাসতে হবে রক্তগঙ্গায় ?
আর কতবার দেখতে হবে খাণ্ডবদাহন ?
স্বাধীনতা, তোমার জন্যে এক থুত্থুরে বুড়ো
উদাস দাওয়ায় ব'সে আছেন - তাঁর চোখের নিচে অপরাহ্ণের
দুর্বল আলোর ঝিলিক, বাতাসে নড়ছে চুল।
স্বাধীনতা, তোমার জন্যে
মোল্লাবাড়ির এক বিধবা দাঁড়িয়ে আছে
নড়বড়ে খুঁটি ধ'রে দগ্ধ ঘরের।
বন্দী-শিবির থেকে শামসুর রাহমান (মজলুম আদীব) ২৪.১০.১৯২৮ - ১৭.৮.২০০৬। রচনা ২১.৭.১৯৭১। কবির “বন্দী শিবির থেকে” কাব্য
সংকলনের কবিতা। কবিতাটি প্রথম প্রকাশিত হয় কবির স্বনামের পরিবর্তে মজলুম আদীব ছদ্মনামে, "কাক" শিরোনামের অপর একটি কবিতার সঙ্গে,
অশোককুমার সরকার ও সাগরময় ঘোষ সম্পাদিত দেশ পত্রিকার ২রা পৌষ ১৩৭৮ সংখ্যায় (১৬ই ডিসেম্বর ১৯৭১)। শাঈন মাহমুদের কণ্ঠে আবৃত্তি শুনুন,
ভিডিওটি সৌজন্যে Fa Multimedia YouTube Channel .
"দেশ" পত্রিকার সেই সংখ্যায় কবিতার পাতায় সম্পাদক লিখেছিলেন --- "কবিতাগুলি আশুপ্রকাশিতব্য একটি কাব্যসংকলনের অক্তভুক্ত। সংকলন গ্রন্থটি গত আট মাসকাল যাবৎ পাকিস্তানী
সামরিক যন্ত্রের অকথ্য নিষ্পেষণের মধ্যে রচিত। কোথাও খোলাখুলি কোথাও আভাসে ইঙ্গিতে এমন ক্রোধ-ধিক্কার বিক্ষোভ বেদনা ব্যক্ত হযেছে যে লেখকের স্বনামে প্রাকশ করে বাংলাদেশে
বেঁচে থাকা সম্ভব ছিল না। মজলুম আদীব অর্থাৎ নির্যাতিত লেখক যাঁর ছদ্মনাম তিনি বাংলা দেশের একজন স্বনামধন্য কবি, এখনো স্বদেশেই আছেন। পাণ্ডুলিপি মুক্তিফৌজের এক তরুণ
ছাত্রের হাতে পাঠিয়েছেন কলকাতায় --- সম্পাদক"
পরের ৯ই পৌষ ১৩৭৮ সংখ্যায় (২৩শে ডিসেম্বর ১৯৭১) এই কবির "পথের কুকুর" ও "প্রতিশ্রুতি" শিরেনামের দুটি কবিতার পাতায় লেখা ছিল --- "গত সপ্তাহে মজলুম আদীব এই ছদ্মনামে
দুটি কবিতা প্রকাশিত হয়েছিল, তার কারণ তখনও তিনি হানাদার দখলীকৃত বাংলাদেশের ভেতর থেকেই তাঁর কবিতা লিখে পাঠিয়েছিলেন। আজ আর সে দিন নেই বলে তিনি এ সংখায়
স্বনামে কবিতা লিখেছেন। মজলুম আদীবই বাংলাদেশের প্রখ্যাত কবি শামসুর রাহমান।--- সম্পাদক"
এই পাতার পশ্চাৎপটের ছবিটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের কিছু বিখ্যাত ছবির কৃষ্ণকায় করা কোলাজ! রয়েছে বাংলাদেশের বীর নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা সৈনিকদের ছবির পাশে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ আত্মবলিদানের কথা কখনোই ভুলবার নয়। এই পাতার গান কবিতা ও তথ্য, কবি-গণসঙ্গীতকার রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ সংগ্রহ।
|
|
|
ঈর্ষাতুর নই, তবু আমি
তোমাদের আজ বড়ো ঈর্ষা করি। তোমরা সুন্দর
জামা পরো, পার্কের বেঞ্চিতে বসে আলাপ জমাও,
কখনো সেজন্য নয়। ভালো খাওদাও
ফুর্তি করো সবান্ধব, সেজন্যেও নয়।
বন্ধুরা তোমরা যারা কবি,
স্বাধীন দেশের কবি, তাদের সৌভাগ্যে
আমি বড়ো ঈর্ষান্বিত আজ।
যখন যা খুশি
মনের মতন শব্দ কী সহজে করো ব্যবহার
তোমরা সবাই।
যখন যে-শব্দ চাও, এসে গেলে সাজাও পয়ারে,
কখনো অমিত্রাক্ষরে, ক্ষিপ্র মাত্রাবৃত্তে কখনো-বা।
শোন একটি মুজিবরের থেকে
লক্ষ মুজিবরের কন্ঠস্বরের ধ্বনি প্রতিধ্বনি
আকাশে বাতাসে ওঠে রণি
বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ।
সেই সবুজের বুকে চেরা মেঠো পথে
আবার যে ফিরে যাব আমার
হারানো বাংলাকে আবার তো ফিরে পাব
শিল্পে-কাব্যে কোথায় আছে
হায়রে এমন সোনার খনি।
শোন একটি মুজিবরের থেকে
লক্ষ মুজিবরের কন্ঠস্বরের ধ্বনি প্রতিধ্বনি
আকাশে বাতাসে ওঠে রণি
বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ।
শোন একটি মুজিবরের থেকে কবি গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার (৫.১২.১৯২৪ - ২০.৮.১৯৮৬)। সুর ও শিল্পী - অংশুমান রায়। বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকারের শপথ অনুষ্ঠানে বাজানো হয় এই গান। এই গানটি পরে “মিলিয়ন মুজিবর সিঙ্গিং” নামে অনুদিত হয় ইংরেজিতে শিল্পী
করবী নাথের কণ্ঠে। গানের ভিডিওটি সৌজন্যে HINDUSTHAN BHAKTISAGAR YouTube Channel. পরে ১৯৭১ সালেই 'স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র' থেকে ‘শোন একটি মুজিবরের থেকে' গানটি গেয়েছিলেন মোহাম্মদ আবদুল জব্বার (২য় ভিডিওটি সৌজন্যে CMbabar YouTube Channel.)
এই পাতার পশ্চাৎপটের ছবিটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের কিছু বিখ্যাত ছবির কৃষ্ণকায় করা কোলাজ! রয়েছে বাংলাদেশের বীর নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা সৈনিকদের ছবির পাশে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ আত্মবলিদানের কথা কখনোই ভুলবার নয়। এই পাতার গান কবিতা ও তথ্য, কবি-গণসঙ্গীতকার রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ সংগ্রহ।
|
|
|
বিশ্ব কবির সোনার বাংলা
নজরুলের বাংলাদেশ
জীবনানন্দের রূপসী বাংলা
রূপের যে তার নেই কো শেষ, বাংলাদেশ।
জয় বাংলা বলতে মন রে আমার
এখনও কেন ভাবো আবার
হারানো বাংলাকে আবার তো ফিরে পাব
অন্ধকারের পূর্বাকাশে উঠবে আবার
দিনমণি।
শোন একটি মুজিবরের থেকে
লক্ষ মুজিবরের কন্ঠস্বরের ধ্বনি প্রতিধ্বনি
আকাশে বাতাসে ওঠে রণি
বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ।
এই ঐতিহাসিক গানটির ইতিহাস! শুভজিৎ সরকারের ২৭ মার্চ, ২০২১ তারিখে ওয়েবসাইট প্রহর.ইন . . . এর লেখা
প্রবন্ধ থেকে . . .
১৯৭১ সালের ৭ মার্চ। ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) উত্তাল জনগণের সামনে এক ‘ঐতিহাসিক ভাষণ’ দিলেন
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান। ভাষণের শেষে শেখ মুজিব বললেন, 'এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার
সংগ্রাম'। বাংলাদেশের স্বাধীনতার সঙ্গে প্রায় হয়ে সমার্থক হয়ে যাওয়া নাম শেখ মুজিবর রহমানের এই ভাষণই মূলতঃ স্বাধীনতা লাভের
আকাঙ্ক্ষায় অধীর করে তুলেছিল বাঙালিদের; স্বাধীনতার মন্ত্রে নতুন করে দীক্ষিত হয়েছিলেন তাঁরা॥ এর ঠিক পরের মাসের ঘটনা। দিনটা
ছিল এপ্রিল মাসের ১৩ বা ১৫। পূর্ব পাকিস্তান ততদিনে হয়ে উঠেছে ‘বাংলাদেশ’। কিন্তু এই ঘটনার স্থান বাংলাদেশ নয়, দক্ষিণ কলকাতার
পদ্মশ্রী সিনেমা হলের পাশের চায়ের দোকানের একটি আড্ডা। সেই সময় ঐ আড্ডায় উপস্থিত থাকতেন গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার, অংশুমান
রায়, দিনেন্দ্র চৌধুরীর মতো মানুষ। যে বিশেষ দিনের কথা বলা হচ্ছে, সেদিন সেই আড্ডায় যোগ দিয়েছিলেন আকাশবাণীর বিশিষ্ট
প্রযোজক এবং উত্তরকালের আকাশবাণী কলকাতা কেন্দ্রের অধিকর্তা উপেন তরফদারও। উপেনবাবু তাঁর সঙ্গে করে সেদিন নিয়ে
এসেছিলেন একটি স্পুল রেকর্ডার, যার মাধ্যমে তিনি আড্ডায় উপস্থিত সকলকে শুনিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের সেই ‘ঐতিহাসিক ভাষণ’।
সেদিনকার আড্ডার মূল বিষয়বস্তু কেন্দ্রীভূত হয়েছিল বঙ্গবন্ধুর উদাত্ত আহ্বান ও তৎকালীন বাংলাদেশের অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির মর্মে।
গৌরীপ্রসন্ন সবই শুনছিলেন, আবার মধ্যে মধ্যে যেন একটু অন্যমনষ্কও হয়ে পড়ছিলেন। নানা কথার মধ্যে তিনি তাঁর চারমিনারের
প্যাকেটের ভেতরের সাদা অংশটায় কিছু একটা লিখছিলেন। লেখা শেষ হতে তিনি সেটা এগিয়ে দেন দিনেন চৌধুরী ও অংশুমান রায়ের
দিকে। লেখাটা পড়ে উচ্ছসিত হয়ে ওঠেন তাঁরা। কী লিখেছিলেন গৌরীপ্রসন্ন? একটি গান, একটি অগ্নিস্ফুলিঙ্গও বলা চলে – ‘শোন একটি
মুজিবরের থেকে/লক্ষ মুজিবরের কণ্ঠস্বরের/ধ্বনি প্রতিধ্বনি/আকাশে বাতাসে ওঠে রনি/আমার বাংলাদেশ…’॥ পড়ার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই
অংশুমান রায় গৌরীপ্রসন্ন-র কাছে দাবি করেন, 'গৌরীদা, এটা আপনি আর কাউকে দিতে পারবেন না, এটা আমি সুর করব, আমি গাইব'।
অনায়াসেই সে দাবি মঞ্জুর হয়, গৌরীপ্রসন্ন অংশুমানের প্রতিভাকে চিনতেন বিলক্ষণ॥ মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই গানের সুর তৈরি করে
ফেলেন অংশুমান। স্পুল রেকর্ডারেই সে গান তুলে নেন উপেন তরফদার। অংশুমান রায়ের কণ্ঠ আর একটি শক্ত গানের খাতাকে
তালবাদ্য হিসেবে দিনেন চৌধুরীর ঠেকা – এই দুয়ে মিলেই তৈরি হয় এক ইতিহাস, পৌঁছে যায় আকাশবাণীর অন্দরমহলে। ১৫ এপ্রিল
আকাশবাণীর বিখ্যাত অনুষ্ঠান ‘সংবাদ পরিক্রমা’য় বাজানো হয় ঘরোয়াভাবে গাওয়া সেই গান ; একটানা নয়, বঙ্গবন্ধুর ভাষণের মাঝে
মাঝে। সেইদিন বেশ কয়েকবার এই ভাষণ ও গানের যুগলবন্দি বাজানো হয়েছিল বেতারে সেদিন রাতে॥
....তুমুল জনপ্রিয়তার দরুন এর হপ্তাখানেক পরই ২২ এপ্রিল হিন্দুস্তান রেকর্ড কোম্পানি থেকে এই গানটি রেকর্ড করেন অংশুমান রায়।
সেই ৪৫ আরপিএম ছোট রেকর্ডের এক পিঠে ছিল ‘শোন একটি মুজিবরের থেকে’ আর অন্য পিঠে ছিল এই গানটিরই ইংরেজি রূপান্তর,
লিখেছিলেন গৌরীপ্রসন্ন নিজেই এবং গেয়েছিলেন অংশুমান রায় ও করবী নাথ। গানটি হল – ‘এ মিলিয়ন মুজিবরস্ সিঙ্গিং’।"
--- সৌজন্যে "মুক্তিযুদ্ধের সমর্থনে কলকাতার সঙ্গীতশিল্পীরা, প্রকাশ পেল একের পর এক রেকর্ড" লেখক - শুভজিৎ সরকার। ২৭ মার্চ,
২০২১॥ ওয়েবসাইট প্রহর.ইন . . .
The voice of not one
But a million Mujiburs singing
The field and the trees
The sky with the echos ringing
Bangladesh my Bangladesh
Bangladesh my Bangladesh
Bangla is our smile and tears
Our joy and pride
Wide flows the Padma
Our bloods are tide
The field and the trees
The sky with the echos ringing
Bangladesh my Bangladesh
Bangladesh my Bangladesh
The Golden Bangla of Tagore
Poet Nazrul’s dear land
matchless in charming beauty
green and precious gay and grand
The Golden Bangla of Tagore
Poet Nazrul’s dear land
matchless in charming beauty
green and precious gay and grand
A million Mujibars singing এ মিলিয়ন মুজিবরস্ সিঙ্গিং
Lyrics - Poet Gauri Prasanna Majumdar (5.12.1924 - 20.8.1986), Tune by Angshuman Roy,
Voice - Karabi Nath. This is the Poet’s own English translation of his Bengali song “Shono ekti
Mujiborer thekey” which was sung during the Oath taking ceremony of Provisional
government of Free Bangladesh. The VDO, courtesy of Shafiul Alam YouTube Channel.
This song was released on 22nd April 1971 as a 45rpm record from The Hindustan Record
Company, Calcutta
The background photograph is a darkened collage of famous photos of the Bangladesh War of Liberation or Mukti Juddho, of brave men and women of Bangladesh alongside the photos of the Indian Soldiers whose selfless sacrifice and martyrdom should never be forgotten. This page is the outcome of the research work carried out by Poet Rajesh Datta.
|
|
|
“Joy Bangla” is the holy
Anthem of our soul
We march and march on
Victory is our goal
The field and the trees
The sky with the echos ringing
Bangladesh my Bangladesh
Bangladesh my Bangladesh
Bangladesh my Bangladesh
Bangladesh my Bangladesh
বাংলার দুর্জয় জনতা কথা ও সুর - কবি আবিদুর রহমান (জন্মকাল অজ্ঞাত)। হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের কণ্ঠে গানটি শুনুন ভিডিওতে। ভিডিওটি
সৌজন্যে eladey1949 YouTube Channel. বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভের পরের বছর অর্থাৎ ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে মনে রেখে বেশ কিছু গান
বাণিজ্যিক রেকর্ডে প্রকাশিত হয় এপার বাংলা থেকে। এই গানটি সেই গানের একটি।
এই পাতার পশ্চাৎপটের ছবিটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের কিছু বিখ্যাত ছবির কৃষ্ণকায় করা কোলাজ! রয়েছে বাংলাদেশের বীর নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা সৈনিকদের ছবির পাশে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ আত্মবলিদানের কথা কখনোই ভুলবার নয়। এই পাতার গান কবিতা ও তথ্য, কবি-গণসঙ্গীতকার রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ সংগ্রহ।
|
|
|
বাংলার দুর্জয় জনতা মুজিবের মন্ত্রের দীক্ষায়
ঝঞ্জার বেগে আজ ছুটছে
বাংলার দুর্জয় জনতা মুজিবের মন্ত্রের দীক্ষায়
সাত কোটি ধমনীতে রক্ত টগবগ টগবগ ফুটছে
বাংলার দুর্জয় জনতা মুজিবের মন্ত্রের দীক্ষায়
ঝঞ্জার বেগে আজ ছুটছে
বাংলার ইতিহাস রক্তের ইতিহাস
বাংলার ইতিহাস রক্তের ইতিহাস
রক্তের অক্ষরে তাইতো কি ঘরে ঘরে
জীবনের প্রতিলিপি উঠছে
ঝঞ্জার বেগে আজ ছুটছে
বাংলার দুর্জয় জনতা মুজিবের মন্ত্রের দীক্ষায়
ঝঞ্জার বেগে আজ ছুটছে
পশ্চিমা হানাদার
বাংলার গ্রামে আর শহরেতে বসিয়েছে
হত্যার যজ্ঞ
পশ্চিমা হানাদার
বাংলার গ্রামে আর শহরেতে বসিয়েছে
হত্যার যজ্ঞ পথ ঘাট পুকুরের পাড়ে আর
কুকুরের শিয়ালের ভোজ মৃত মানুষের বক্ষ
কুকুরের শিয়ালের ভোজ মৃত মানুষের বক্ষ
বাংলার দুর্জয় জনতা মুজিবের মন্ত্রের দীক্ষায়
ঝঞ্জার বেগে আজ ছুটছে
দয়া মায়া কিছু নেই পিশাচের দলে
দয়া মায়া কিছু নেই পিশাচের দলে
বাংলার ঘরে ঘরে ঢুকে ঢুকে জোর করে
লাখ লাখ মা বোনের ইজ্জৎ লুটছে
ঝঞ্জার বেগে আজ ছুটছে
বাংলার দুর্জয় জনতা মুজিবের মন্ত্রের দীক্ষায়
ঝঞ্জার বেগে আজ ছুটছে
সাত কোটি ধমনীতে রক্ত টগবগ টগবগ ফুটছে
ঝঞ্জার বেগে আজ ছুটছে
বাংলার দুর্জয় জনতা মুজিবের মন্ত্রের দীক্ষায়
ঝঞ্জার বেগে আজ ছুটছে
বাংলার দুর্জয় জনতা মুজিবের মন্ত্রের দীক্ষায়
ঝঞ্জার বেগে আজ ছুটছে ছুটছে
হরিণের মতো তার সুমধুর চোখ দুটি কথা ও সুর - কবি আবিদুর রহমান (জন্মকাল অজ্ঞাত)। হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের
কণ্ঠে গানটি শুনুন ভিডিওতে। ভিডিওটি সৌজন্যে eladey1949 YouTube Channel. বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভের পরের বছর অর্থাৎ ১৯৭২
সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে মনে রেখে বেশ কিছু গান বাণিজ্যিক রেকর্ডে প্রকাশিত হয় এপার বাংলা থেকে। এই গানটি সেই গানের একটি।
এই পাতার পশ্চাৎপটের ছবিটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের কিছু বিখ্যাত ছবির কৃষ্ণকায় করা কোলাজ! রয়েছে বাংলাদেশের বীর নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা সৈনিকদের ছবির পাশে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ আত্মবলিদানের কথা কখনোই ভুলবার নয়। এই পাতার গান কবিতা ও তথ্য, কবি-গণসঙ্গীতকার রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ সংগ্রহ।
|
|
|
হরিণের মতো তার সুমধুর চোখ দুটিকে মেলে
হেসে খেলে নেচে গেয়ে সারা পাড়া চষে খেয়ে
বেড়াতো যে চপলা সবলা মেয়ে
কেন সে বাঁধে না আজ লো চুল
কেন সে গোঁজে না খোঁপায় ফুল
কেন সে বোবার মতো চেয়ে থাকে
বলতে পারো কি?
কেউ বলতে পারো কি?
কেন লোকালয়ে আসে না সে আর
লজ্জায় রাঙা মুখখানি তার
লোকের আভাস পেলেই
কেন সে লুকিয়ে ফেলে
লোকের আভাস পেলেই
কেন সে লুকিয়ে ফেলে
কেউ বলতে পারো কি?
কেউ বলতে পারো কি?
হরিণের মতো তার সুমধুর চোখ দুটি মেলে
হেসে খেলে নেচে গেয়ে সারা পাড়া চষে খেয়ে
বেড়াতো যে চপলা সবলা মেয়ে
কেন সে বাঁধে না আজ লো চুল
কেন সে গোঁজে না খোঁপায় ফুল
কেন সে বোবার মতো চেয়ে থাকে
বলতে পারো কি?
কেউ বলতে পারো কি?
একদিন এ মেয়ের জীবনে হঠাৎ
নেমে এলো এক কালো রাত
বর্বর মিলিটারি পশু এসে হিংস্র থাবায়
লুঠ করে নিয়ে গেল
তার জীবনের সব গৌরব আর সম্পদ হায়
কত আশা ছিলো এ জীবনে তার
কাউকে সে ভালোবেসে বাঁধবে যে ঘর শেষে
কাউকে সে ভালোবেসে বাঁধবে যে ঘর শেষে
কেন স্বপ্ন সাধ তার ভেঙে হলো চূরমার
কেউ বলতে পারো কি?
কেউ বলতে পারো কি?
কেউ বলতে পারো কি?
কেউ বলতে পারো কি?
বঙ্গবন্ধু ফিরে এলে কবি আবিদুর রহমান (জন্মকাল অজ্ঞাত)। সুর - সুধীন দাশগুপ্ত। শিল্পী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের কণ্ঠে গানটি শুনুন
ভিডিওতে। গানটি ১০ই জানুয়ারী ১৯৭২ তারিখে আকাশ বাণী কলকাতা থেকে প্রচারিত হয়। ভিডিওটি সৌজন্যে উৎপল চক্রবর্ত্তী YouTube
Channel. আমরা ভীষণভাবে কৃতজ্ঞ উৎপল চক্রবর্ত্তী YouTube Channel. এর কাছে যেখান থেকে আমরা গানের কথাও পেয়েছি।
এই পাতার পশ্চাৎপটের ছবিটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের কিছু বিখ্যাত ছবির কৃষ্ণকায় করা কোলাজ! রয়েছে বাংলাদেশের বীর নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা সৈনিকদের ছবির পাশে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ আত্মবলিদানের কথা কখনোই ভুলবার নয়। এই পাতার গান কবিতা ও তথ্য, কবি-গণসঙ্গীতকার রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ সংগ্রহ।
|
|
|
বঙ্গবন্ধু,
ফিরে এলে তোমার স্বপ্নের স্বাধীন
বাংলায়, তুমি আজ
ঘরে ঘরে এত খুশী তাই
কি ভালো তোমাকে বাসি আমরা
বলো কি করে বোঝাই।
এদেশ কে বলো তুমি
বলো কেন এত ভালবাসলে
সাত কোটি মানুষের হৃদয়ের
এত কাছে কেন আসলে।
এমন আপন আজ বাংলার
তুমি ছাড়া কেউ আর নাই
বলো কি করে বোঝাই।
সারাটা জীবন তুমি
নিজে শুধু জেলে জেলে থাকলে
আর তব স্বপ্নের সুখি এক বাংলার
ছবি শুধু আঁকলে।
তোমার নিজের সুখ সম্ভার
কিছু আর দেখলে না তাই,
বলো কি করে বোঝাই।
বঙ্গবন্ধু,
ফিরে এলে তোমার স্বপ্নের স্বাধীন
বাংলায়, তুমি আজ
ঘরে ঘরে এত খুশী তাই
কি ভালো তোমাকে বাসি আমরা
বলো কি করে বোঝাই।
এই পাতার পশ্চাৎপটের ছবিটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের কিছু বিখ্যাত ছবির কৃষ্ণকায় করা কোলাজ! রয়েছে বাংলাদেশের বীর নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা সৈনিকদের ছবির পাশে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ আত্মবলিদানের কথা কখনোই ভুলবার নয়। এই পাতার গান কবিতা ও তথ্য, কবি-গণসঙ্গীতকার রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ সংগ্রহ।
|
|
|
শহীদ মিনার ভেঙেছ আমার ভাইয়ের রক্তে গড়া
বাংলার হৃদয় এখন শহীদ মিনারে ভরা
কালো যামিনীর কুন্তলে লেখা প্রাণ বিদ্যুৎময়
কালো যামিনীর কুন্তলে লেখা প্রাণ বিদ্যুৎময়
অন্ধকারে অমানিশা শেষে হবে সূর্যোদয়
অত রক্তের প্রাণ কল্যাণ সাগরে দেবে ধরা
বাংলার হৃদয় এখন শহীদ মিনারে ভরা
হায় হায় রে হায় হায় রে
কেঁদোনা জননী কেঁদেনা গো বোন
সাত কোটি নর নারী
সাত কোটি নর নারী
লাখো শহীদের স্মৃতি কি আমরা
কখনও ভুলিতে পারি
কখনও ভুলিতে পারি
না না না ভুলবো না ভুলবো না
না না না ভুলবো না ভুলবো না
মুক্তি সূর্য ছিনিয়ে আমার জয়যাত্রা থামবে না
মুক্তি সূর্য ছিনিয়ে আমার জয়যাত্রা থামবে না
বিজয় মিনার ভায়ের রক্ত বোনের অশ্রু ভরা
বিজয় মিনার ভায়ের রক্ত বোনের অশ্রু ভরা
এই মাটিতেই সূর্য ওঠার লাল ভোর দেবে ধরা
না না না ভুলবো না ভুলবো না
মুক্তি সূর্য ছিনিয়ে আমার জয়যাত্রা থামবে না
থামবে না, থামবে না, থামবে না, থামবে না, থামবে না
এই পাতার পশ্চাৎপটের ছবিটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের কিছু বিখ্যাত ছবির কৃষ্ণকায় করা কোলাজ! রয়েছে বাংলাদেশের বীর নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা সৈনিকদের ছবির পাশে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ আত্মবলিদানের কথা কখনোই ভুলবার নয়। এই পাতার গান কবিতা ও তথ্য, কবি-গণসঙ্গীতকার রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ সংগ্রহ।
|
|
|
রাখাল শিশুর হাতে তুমি তুলে দিয়েছো তলোয়ার,
তুমি আমার সেই স্বপ্ন, তুমি আমার বাংলাদেশ।
মজা নদীর পারে পোড়া ভিটেয় ভরা চৈত্রে
এখন সেখান থেকে তুমি বার বার চীত্কার করে ডাকছো,
. ‘খোকন, খোকন,’
বারবার বুকের মধ্যে গুমগুম করে উঠছে প্রতিধ্বনি, ‘স্বাধীনতা,
. স্বাধীনতা’।
আমার রক্ত, আমার জন্ম, আমার বাংলাদেশ।
মার্চ ১৯৭১ কবি তারাপদ রায় (১৭.১১.১৯৩৬ - ২৫.৮.২০০৭)। ১৯৭৩ সালে প্রকাশিত কবির
“তোমার প্রতিমা” ২য় সংস্করণের কবিতা। আমরা কবিতাটি পেয়েছি ২০০৫ সালে প্রকাশিত, দে’জ
পাবলিশিং-এর “তারাপদ রায়ের শ্রেষ্ঠ কবিতা” ২য় সংকলন থেকে।
এই পাতার পশ্চাৎপটের ছবিটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের কিছু বিখ্যাত ছবির কৃষ্ণকায় করা কোলাজ! রয়েছে বাংলাদেশের বীর নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা সৈনিকদের ছবির পাশে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ আত্মবলিদানের কথা কখনোই ভুলবার নয়। এই পাতার গান কবিতা ও তথ্য, কবি-গণসঙ্গীতকার রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ সংগ্রহ।
|
|
|
দ্যাখো আজ পতাকা দেখারই দিন।
কলরব করে ওঠো, উচ্চারণ কর
মুক্তির ভাষা। আমিও তোমাদের সাথে দেখতে থাকি।
তোমাদের সাথে আমার অপরিচ্ছন্ন দৃষ্টির অশ্রুসজল
চোখ দু’টি মেলে দাঁড়িয়ে থাকি। কী লাল, সবুজ
পতাকার মধ্যে গোল হয়ে বসে আছে,
মনে হয় যেন পৃথিবীর মুক্তিকামী মানুষের
রক্তের লোহিত কণায় অঙ্কিত হয়েছে এ সূর্য।
আমার ভেতরে কলরব করে ওঠে কত মুখ
কত আকাঙ্ক্ষার উজ্জ্বল দৃষ্টি। যারা আর
ফিরে আসেনি।
একজনের কথা মনে পড়ছে। মনতলা স্টেশনের
পাশ দিয়ে বামটিয়া বাজারের দিকে চলে গেছে যে পথ
সেখানে ছিল তার ক্যাম্প। ট্রেনিং নিতে গিয়ে
তার কুনুই থেকে রক্ত ঝরে ক্ষত হয়ে গিয়েছিল।
ফেরেনি সে। তার মাকে সান্ত্বনা দেয়ার ভাষা বা শব্দ
বাংলা ভাষার অবিধানে ছিল না। কিন্তু তার মার
সামনে দাঁড়িয়ে আমি যে ইংগিতে কথা বলেছিলাম
তাতে মহিলা শুধু একবার আকাশের দিকে তাকিয়ে
ওই গোল সূর্যের মধ্যে তার পূত্রকে দেখেছিল,
অশ্রুসজল চোখে।
এই পতাকার সূর্য সাক্ষী কবি আল মাহমুদ (১১.৭.১৯৩৬ - ১৫.২.২০১৯)। বাচিক শিল্পী শরীফ বায়জীদ মাহমুদের কণ্ঠে আবৃত্তি শুনুন, ভিডিওটি সৌজন্যে Panvision TV
YouTube Channel । ২০০৫ সালে প্রকাশিত 'না কোন শূন্যতা মানি না' কাব্যগ্রন্থের কবিতা। আমরা ভীষণভাবে কৃতজ্ঞ সাইফআলি১৫৯০.এমই ওয়েবসাউটের এর কাছে কারণ এই
কবিতাটি আমরা সেখান থেকেই পেয়েছি। এই ওয়েবসাইটে যেতে এখানে ক্লিক করুন . . . ।
কুষ্টিয়ায় ঝাঁপিয়ে পড়েছিল ছেলেটি।
কুষ্টিয়ার কাস্টম কলোনির পাশে, সে ঝাঁপিয়ে
পড়েছিল শত্রুদের জিপকে উড়িয়ে দিতে।
খন্ড খন্ড হয়ে উড়ে গিয়েছিল তার বাহু, উরু ও
পিঠের কিছু অংশ। হাসিবুল ইসলাম
আল্লাহু আকবার বলে সে আক্রমণ করেছিল।
তার বুক থেকে কলজে উড়ে গিয়ে ওই
পতাকায় লেগে আছে।
লেখো তার শেষ উচ্চারণ আল্লাহু আকবার।
কলরবমুখর হে ঢাকা মহানগরী
তোমাকে লিখতে হবে ওই রক্ত গোলকে
আসাধারণ বিবরণ। দেখতে হবে ইতিহাস নির্মাণ
করে কারা? আর কারা কেড়ে নেয় বীরত্বের পদকচিহ্ন!
দ্যাখো আজ পতাকা দেখারই দিন
কলরব করে ওঠো, উচ্চারণ কর-
মুক্তির ভাষা। আমিও তোমাদের সাথে দেখতে থাকি।
এই পাতার পশ্চাৎপটের ছবিটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের কিছু বিখ্যাত ছবির কৃষ্ণকায় করা কোলাজ! রয়েছে বাংলাদেশের বীর নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা সৈনিকদের ছবির পাশে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ আত্মবলিদানের কথা কখনোই ভুলবার নয়। এই পাতার গান কবিতা ও তথ্য, কবি-গণসঙ্গীতকার রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ সংগ্রহ।
|
|
|
ভেবো নাগো মা
তোমার ছেলেরা হারিয়ে গিয়েছে পথে
ভেবো নাগো মা
তোমার ছেলেরা হারিয়ে গিয়েছে পথে
ওরা যে নব হাজার মনের
ওরা যে নব হাজার মনের
বিপ্লবী চেতনাতে
ভেবো নাগো মা
তোমার ছেলেরা হারিয়ে গিয়েছে পথে
ওরা গিয়েছিল রাতের আঁধারে
সূর্য আনার জন্য
ওরা গিয়েছিল রাতের আঁধারে
সূর্য আনার জন্য
সারা দেশ জুড়ে রক্ত পদ্ম
সারা দেশ জুড়ে রক্ত পদ্ম
ফোটালো যে অনন্য
দেখিছে সে ফুল হাজার মানুয
বাংলার পথে পথে
ভেবো নাগো মা
তোমার ছেলেরা হারিয়ে গিয়েছে পথে
ভেবো নাগো মা কবি মুস্তাফিজুর রহমান (১.১.১৯৩৯ - ১২.১২.১৯৯৮)। সুর ও কণ্ঠ - হেমন্ত মুখোপাধ্যায়।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভের ঠিক পরবর্তী সময়েরই সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য একটি সংকলন হল একটি এলপি রেকর্ড যার নাম
ছিল “বাংলাদেশের হৃদয় হতে”, প্রকাশিত হয়েছিল গ্রামোফোন কোম্পানি থেকে। সেই সংকলনের গান। ভিডিওটি সৌজন্যে Md.
Mansur Ali Biswas YouTube Channel.
চেয়ে দেখ রাঙা প্রাতে
দুঃখ কোরো না মাগো আমার
চেয়ে দেখ রাঙা প্রাতে
ভেবো নাগো মা
তোমার ছেলেরা হারিয়ে গিয়েছে পথে
ভেবো নাগো মা
তোমার ছেলেরা হারিয়ে গিয়েছে পথে
ওরা এঁকে গেছে সবুজ মাটিতে
সজীব প্রাণের স্বপ্ন
ওরা এঁকে গেছে সবুজ মাটিতে
সজীব প্রাণের স্বপ্ন
দলে দলে ফুটি সে ফুল এবার
দলে দলে ফুটি সে ফুল এবার
বিলায়ে মধুর গন্ধ
দুঃখ কোরো না মাগো আমার
দুঃখ কোরো না মাগো আমার
এই পাতার পশ্চাৎপটের ছবিটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের কিছু বিখ্যাত ছবির কৃষ্ণকায় করা কোলাজ! রয়েছে বাংলাদেশের বীর নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা সৈনিকদের ছবির পাশে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ আত্মবলিদানের কথা কখনোই ভুলবার নয়। এই পাতার গান কবিতা ও তথ্য, কবি-গণসঙ্গীতকার রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ সংগ্রহ।
|
|
|
(আমি) তাক্ দুম তাক্ দুম বাজাই বাংলা দেশের ঢোল
সব ভুলে যাই, তাও ভুলি না বাংলা মায়ের কোল॥
বাংলা ! জনম দিলা আমারে ---
তোমার পরাণ আমার পরাণ এক নাড়ীতেই বাঁধা রে।
মা-পুতের এই বাঁধন ছেঁড়ার সাধ্য কারও নাই ---
সব ভুলে যাই, তাও ভুলি না বাংলা মায়ের কোল॥
মা, তোমার মাটির সুরে সুরেতে,
আমার জীবন জুড়াইলা বাউল-ভাটিয়ালিতে।
পরান খুইল্যা মেঘনা, তিতাস, পদ্মারই গান গাই---
সব ভুলে যাই, তাও ভুলি না বাংলা মায়ের কোল॥
বাজে ঢোল নরম গরম তালেতে,
বিসর্জনের ব্যথা ভোলায় আগমনীর খুশিতে।
বাংলাদেশের ঢোলের বোলে ছন্দপতন নাই---
সব ভুলে যাই, তাও ভুলি না বাংলা মায়ের কোল॥
১৯৭১-এর বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে 'ট্রায়ো ফিল্মস'-এর নির্মিত ঋত্বিক ঘটকের
তথ্যচিত্র : ‘দুর্বার-গতি পদ্মা’ তে এই গানটি যেভাবে তোলা হয়েছিল। কাহিনি, চিত্রনাট্য,
সংগীত ও পরিচালনা : ঋত্বিক ঘটক। প্রযোজনা: বিশ্বজিৎ। অভিনয়ে ছিলেন বিশ্বজিৎ,
নার্গিস দত্ত প্রমুখ। ভিডিওটি সৌজন্যে GaroHill Cine-Theatre YouTube Channel.
এই পাতার পশ্চাৎপটের ছবিটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের কিছু বিখ্যাত ছবির কৃষ্ণকায় করা কোলাজ! রয়েছে বাংলাদেশের বীর নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা সৈনিকদের ছবির পাশে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ আত্মবলিদানের কথা কখনোই ভুলবার নয়। এই পাতার গান কবিতা ও তথ্য, কবি-গণসঙ্গীতকার রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ সংগ্রহ।
|
|
|
কান্দে আমার মন রে,
এ পার কান্দে রে, ওই পারের লাগিয়া
রাম কান্দে রহিমের লাগিয়া
রাম কান্দে রহিমের লাগিয়া
ভুলিতে কি পার গঙ্গা
ভুলিতে কি পার গঙ্গা
কথার ঢেউয়ের কাতারেতে
রাম কান্দে রহিমের লাগিয়া
রাম কান্দে রহিমের লাগিয়া . . .
. . . গানটি শুনে লেখা। এর পরের অংশ
এবং শিল্পীর নাম আমরা যোগাড় করে
উঠতে পারিনি।
১৯৭১-এর বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে 'ট্রায়ো ফিল্মস'-এর নির্মিত ঋত্বিক ঘটকের
তথ্যচিত্র : ‘দুর্বার-গতি পদ্মা’ তে এই গানটি যেভাবে তোলা হয়েছিল। কাহিনি, চিত্রনাট্য,
সংগীত ও পরিচালনা : ঋত্বিক ঘটক। প্রযোজনা: বিশ্বজিৎ। অভিনয়ে ছিলেন বিশ্বজিৎ,
নার্গিস দত্ত প্রমুখ। ভিডিওটি সৌজন্যে GaroHill Cine-Theatre YouTube Channel.
এই পাতার পশ্চাৎপটের ছবিটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের কিছু বিখ্যাত ছবির কৃষ্ণকায় করা কোলাজ! রয়েছে বাংলাদেশের বীর নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা সৈনিকদের ছবির পাশে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ আত্মবলিদানের কথা কখনোই ভুলবার নয়। এই পাতার গান কবিতা ও তথ্য, কবি-গণসঙ্গীতকার রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ সংগ্রহ।
|
|
|
আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি।
চিরদিন তোমার আকাশ, তোমার বাতাস, আমার প্রাণে বাজায় বাঁশি॥
ও মা, ফাগুনে তোর আমের বনে ঘ্রাণে পাগল করে,
মরি হায়, হায় রে--
ও মা, অঘ্রানে তোর ভরা ক্ষেতে আমি কী দেখেছি মধুর হাসি . . .
. . . এই তথ্যচিত্রে এই গানটি এই অবধিই রয়েছে।
আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি - কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, শিল্পী: হেমন্ত মুখোপাধ্যায়। ১৯৭১-এর
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে 'ট্রায়ো ফিল্মস'-এর নির্মিত ঋত্বিক ঘটকের তথ্যচিত্র : ‘দুর্বার-গতি পদ্মা’ তে এই গানটি যেভাবে তোলা হয়েছিল। কাহিনি,
চিত্রনাট্য, সংগীত ও পরিচালনা : ঋত্বিক ঘটক। প্রযোজনা: বিশ্বজিৎ। অভিনয়ে ছিলেন বিশ্বজিৎ, নার্গিস দত্ত প্রমুখ। ভিডিওটি সৌজন্যে GaroHill Cine-
Theatre YouTube Channel. গানের কথা, সৌজন্যে ট্যাগোরওয়েব.ইন ওয়েবসাইট।
আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি।
চিরদিন তোমার আকাশ, তোমার বাতাস, আমার প্রাণে বাজায় বাঁশি॥
ও মা, ফাগুনে তোর আমের বনে ঘ্রাণে পাগল করে,
মরি হায়, হায় রে--
ও মা, অঘ্রানে তোর ভরা ক্ষেতে আমি কী দেখেছি মধুর হাসি॥
কী শোভা, কী ছায়া গো, কী স্নেহ, কী মায়া গো--
কী আঁচল বিছায়েছ বটের মূলে, নদীর কূলে কূলে।
মা, তোর মুখের বাণী আমার কানে লাগে সুধার মতো,
মরি হায়, হায় রে--
মা, তোর বদনখানি মলিন হলে, ও মা, আমি নয়নজলে ভাসি॥
তোমার এই খেলাঘরে শিশুকাল কাটিলে রে,
তোমারি ধুলামাটি অঙ্গে মাখি ধন্য জীবন মানি।
তুই দিন ফুরালে সন্ধ্যাকালে কী দীপ জ্বালিস ঘরে,
মরি হায়, হায় রে--
তখন খেলাধুলা সকল ফেলে, ও মা, তোমার কোলে ছুটে আসি॥
ধেনু-চরা তোমার মাঠে, পারে যাবার খেয়াঘাটে,
সারা দিন পাখি-ডাকা ছায়ায়-ঢাকা তোমার পল্লীবাটে,
তোমার ধানে-ভরা আঙিনাতে জীবনের দিন কাটে,
মরি হায়, হায় রে--
এই পাতার পশ্চাৎপটের ছবিটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের কিছু বিখ্যাত ছবির কৃষ্ণকায় করা কোলাজ! রয়েছে বাংলাদেশের বীর নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা সৈনিকদের ছবির পাশে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ আত্মবলিদানের কথা কখনোই ভুলবার নয়। এই পাতার গান কবিতা ও তথ্য, কবি-গণসঙ্গীতকার রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ সংগ্রহ।
|
|
|
আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি - কথা ও সুর: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। শিল্পী: মান্না দে ও সমবেত সহশিল্পীবৃন্দ।
১৯৭১ সালে 'এইচএমভি গ্রামোফোন রেকর্ড কোম্পানি' থেকে প্রকাশিত রেকর্ড। রবীন্দ্রনাথের এই অমর গানটি মুখ্যত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের
নির্দেশেই বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত হিসেবে নির্বাচিত ও নির্ধারিত হয়। ভিডিওটি সৌজন্যে Surajit Sen - YouTube Channel.
গানের কথা, সৌজন্যে ট্যাগোরওয়েব.ইন ওয়েবসাইট।
ও মা, আমার যে ভাই তারা সবাই, ও মা, তোমার রাখাল তোমার চাষি॥
ও মা, তোর চরণেতে দিলেম এই মাথা পেতে--
দে গো তোর পায়ের ধূলা, সে যে আমার মাথার মানিক হবে।
ও মা, গরিবের ধন যা আছে তাই দিব চরণতলে,
মরি হায়, হায় রে--
আমি পরের ঘরে কিনব না আর, মা, তোর ভূষণ ব'লে গলার ফাঁসি॥
আজি বাংলাদেশের হৃদয় হতে কখন আপনি
তুমি এই অপরূপ রূপে বাহির হলে জননী!
ওগো মা, তোমায় দেখে দেখে আঁখি না ফিরে!
তোমার দুয়ার আজি খুলে গেছে সোনার মন্দিরে॥
ডান হাতে তোর খড়্গ জ্বলে, বাঁ হাত করে শঙ্কাহরণ,
দুই নয়নে স্নেহের হাসি, ললাটনেত্র আগুনবরণ।
ওগো মা, তোমার কী মুরতি আজি দেখি রে!
তোমার দুয়ার আজি খুলে গেছে সোনার মন্দিরে॥
তোমার মুক্তকেশের পুঞ্জ মেঘে লুকায় অশনি,
তোমার আঁচল ঝলে আকাশতলে রৌদ্রবসনী!
ওগো মা, তোমায় দেখে দেখে আঁখি না ফিরে!
তোমার দুয়ার আজি খুলে গেছে সোনার মন্দিরে॥
যখন অনাদরে চাই নি মুখে ভেবেছিলেম দুঃখিনী মা
আছে ভাঙা ঘরে একলা পড়ে, দুখের বুঝি নাইকো সীমা।
কোথা সে তোর দরিদ্র বেশ, কোথা সে তোর মলিন হাসি--
আকাশে আজ ছড়িয়ে গেল ওই চরণের দীপ্তিরাশি!
এই পাতার পশ্চাৎপটের ছবিটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের কিছু বিখ্যাত ছবির কৃষ্ণকায় করা কোলাজ! রয়েছে বাংলাদেশের বীর নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা সৈনিকদের ছবির পাশে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ আত্মবলিদানের কথা কখনোই ভুলবার নয়। এই পাতার গান কবিতা ও তথ্য, কবি-গণসঙ্গীতকার রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ সংগ্রহ।
|
|
|
ওগো মা, তোমার কী মুরতি আজি দেখি রে!
তোমার দুয়ার আজি খুলে গেছে সোনার মন্দিরে॥
আজি দুখের রাতে সুখের স্রোতে ভাসাও ধরণী--
তোমার অভয় বাজে হৃদয়মাঝে হৃদয়হরণী!
ওগো মা, তোমায় দেখে দেখে আঁখি না ফিরে!
তোমার দুয়ার আজি খুলে গেছে সোনার মন্দিরে॥
আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি।
চিরদিন তোমার আকাশ, তোমার বাতাস, আমার প্রাণে বাজায় বাঁশি॥
ও মা, ফাগুনে তোর আমের বনে ঘ্রাণে পাগল করে,
মরি হায়, হায় রে--
ও মা, অঘ্রানে তোর ভরা ক্ষেতে আমি কী দেখেছি মধুর হাসি॥
কী শোভা, কী ছায়া গো, কী স্নেহ, কী মায়া গো--
কী আঁচল বিছায়েছ বটের মূলে, নদীর কূলে কূলে।
মা, তোর মুখের বাণী আমার কানে লাগে সুধার মতো,
মরি হায়, হায় রে--
মা, তোর বদনখানি মলিন হলে, ও মা, আমি নয়নজলে ভাসি॥
তোমার এই খেলাঘরে শিশুকাল কাটিলে রে,
তোমারি ধুলামাটি অঙ্গে মাখি ধন্য জীবন মানি।
তুই দিন ফুরালে সন্ধ্যাকালে কী দীপ জ্বালিস ঘরে,
মরি হায়, হায় রে--
তখন খেলাধুলা সকল ফেলে, ও মা, তোমার কোলে ছুটে আসি॥
ধেনু-চরা তোমার মাঠে, পারে যাবার খেয়াঘাটে,
সারা দিন পাখি-ডাকা ছায়ায়-ঢাকা তোমার পল্লীবাটে,
তোমার ধানে-ভরা আঙিনাতে জীবনের দিন কাটে,
মরি হায়, হায় রে--
এই পাতার পশ্চাৎপটের ছবিটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের কিছু বিখ্যাত ছবির কৃষ্ণকায় করা কোলাজ! রয়েছে বাংলাদেশের বীর নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা সৈনিকদের ছবির পাশে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ আত্মবলিদানের কথা কখনোই ভুলবার নয়। এই পাতার গান কবিতা ও তথ্য, কবি-গণসঙ্গীতকার রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ সংগ্রহ।
|
|
|
আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি - কথা ও সুর: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। শিল্পী: সুচিত্রা মিত্র। ১.১২.১৯৪৮ তারিখে
'এইচএমভি গ্রামোফোন রেকর্ড কোম্পানি' থেকে প্রকাশিত রেকর্ড (পরবর্তিতে সারেগামা)। রবীন্দ্রনাথের এই অমর গানটি মুখ্যত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর
রহমানের নির্দেশেই বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত হিসেবে নির্বাচিত ও নির্ধারিত হয়। ভিডিওটি সৌজন্যে Suchitra Mitra - Topic YouTube Channel.
গানের কথা, সৌজন্যে ট্যাগোরওয়েব.ইন ওয়েবসাইট।
ও মা, আমার যে ভাই তারা সবাই, ও মা, তোমার রাখাল তোমার চাষি॥
ও মা, তোর চরণেতে দিলেম এই মাথা পেতে--
দে গো তোর পায়ের ধূলা, সে যে আমার মাথার মানিক হবে।
ও মা, গরিবের ধন যা আছে তাই দিব চরণতলে,
মরি হায়, হায় রে--
আমি পরের ঘরে কিনব না আর, মা, তোর ভূষণ ব'লে গলার ফাঁসি॥
इस पन्ना का पृष्ठभूमि छवि बंगलादेश के मुक्तियुद्ध के कई प्रसिद्ध छविओं का गुलदस्ता है। इस में बंगलादेश के बीर नारी तथा पुरुषों के साथ भारतीय सेना के जवानों के छवि भी रखा गया है, जिनका निःस्वार्थ आत्म- बलिदान हम कभी नहीं भूल सकते। यह पन्ना कवि राजेश दत्ता के अनुसंधान का फल है।
|
|
|
सुनो सुनो सुनो भाई मेरे हिन्दु मुसलमान
सुनो सुनो सुनो भाई मेरे हिन्दु मुसलमान
क्या पिला रहा है तु ज़मीन को
पिला रहा है तु ज़मीन को
होगा प्यासा
या यहां बड़े होगा प्यासा
या यहां हिन्दू मुसलमान
सुनो सुनो
. . . इस गीत, इस भिडिओ में बस यहां तक ही है। इस गीत
का पुरा रेकर्ड अब तक हमें प्राप्त नहीं हुआ।
सुनो सुनो सुनो भाई मेरे हिन्दु मुसलमान
गीतकार तथा संगीतकार - सलिल चौधरी। गीत गाये थे मन्ना दे, सबिता चौधरी तथा अन्य कलाकारों। 1971 में रिलीज़ हुआ, बंगलादेश के
मुक्तियुद्ध को लेकर “ट्रायो फिल्म” का, ऋत्विक घटक द्वारा निर्देशित, विश्वजित द्वारा निर्मित, विश्वजित, नर्गिस दत्त प्रमूख द्वारा अभिनय किया
हुआ बंगला तथ्यचित्र “दुर्बार गति पद्मा” का इस गीत का पूरा रेकर्ड अब तक हमें प्राप्त नहीं हुआ। “दुर्बार गति पद्मा” फिल्म के भिडिओ, GaroHill
Cine-Theatre YouTube Channel. के सौजन्य से प्राप्त।
১৯৭১-এর বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে 'ট্রায়ো ফিল্মস'-এর নির্মিত ঋত্বিক ঘটকের তথ্যচিত্র : ‘দুর্বার-গতি পদ্মা’ তে এই গানটি যেভাবে তোলা হয়েছিল। কাহিনি, চিত্রনাট্য, সংগীত ও পরিচালনা : ঋত্বিক ঘটক। প্রযোজনা: বিশ্বজিৎ। অভিনয়ে ছিলেন বিশ্বজিৎ, নার্গিস দত্ত প্রমুখ। ভিডিওটি সৌজন্যে GaroHill Cine-Theatre YouTube Channel.
|
|
সম্পূর্ণ গান - ১৯৫০ সালে HMV থেকে প্রকাশিত সলিল চৌধুরীর সুরে, হেমন্ত
মুখোপাধ্যায়ের কণ্ঠে। ভিডিওটি সৌজন্যে Saroj Sanyal YouTube Channel.
<< সুর ও শিল্পী -
অংশুমান রায়।
^ সুর - অংশুমান রায়।
শিল্পী - মোহাম্মদ আবদুল জব্বার
A comment on the YouTube page ...
https://www.youtube.com/watch?v=cbXhaGekrWc
by Deepayan Banik.
***This song was written over a cigarette pack on a tea stall at
Kolkata. Angshuman Roy, Gouriprasanna Majumder & others
were sitting on a tea stall & some one brought Ananda Bazar
Patrika. They read about Mukti Juddho on that paper. Suddenly
Angshuman said, How about do something on this issue.
Angshuman was a chain smoker. Gouriprasanna took a cigarette
pack from him & wrote first four lines & gave back to Angshuman.
Angshuman on that tea stall composed the music & sung the
song. Later that day they went to Angshuman's house &
completed the song. None of the artists, composer,music players
claimed any royalty for this song. Total money was given to
Udbastu kalyan Fund of 71 war.
ধন্য আমি জন্মেছি মা তোমার ধূলিতে
(আমার) জীবন-মরণে তোমায় চাই না ভুলিতে।
(আমি) তোমার তরে স্বপ্ন রচি আমার যত গান
তোমার কারণেই দেব জীবন বলিদান।
ওগো জন্মভূমি মাগো মা !.....
মাটি তোমার সোনা খাঁটি, মাঠে সোনার ধান
খেত-খামারে কলে খাটে কোটি সোনার প্রাণ |
(তবু) নিজভূমে পরবাসে হায়রে দিনমান /
মাগো তোমার পানে চেয়ে যায় ||
....(তাই) হিমালয় আর নিদ্রা নয়
কোটি প্রাণ চেতনায় বরাভয়
জাগো ক্রান্তির হয়েছে সময়
আনো মুক্তির খরবন্যা॥....
তোমারি সন্তান মোরা তোমারি সন্তান
তুচ্ছ বিভেদ বিষে কত হয়েছি হয়রান।
(তখন) দেখিনি মা ঘরে ঘরে কেঁদে কাটাও কাল
(আর) গোপনে মরণে কাটে সর্বনাশের খাল।
ওগো জন্মভূমি মাগো মা !
এই পাতার পশ্চাৎপটের ছবিটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের কিছু বিখ্যাত ছবির কৃষ্ণকায় করা কোলাজ! রয়েছে বাংলাদেশের বীর নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা সৈনিকদের ছবির পাশে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ আত্মবলিদানের কথা কখনোই ভুলবার নয়। এই পাতার গান কবিতা ও তথ্য, কবি-গণসঙ্গীতকার রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ সংগ্রহ।
|
|
|
ধন্য আমি জন্মেছি মা তোমার ধূলিতে -- কথা ও সুর: কবি সলিল চৌধুরী। শিল্পী: মান্না দে, সবিতা চৌধুরী ও
অন্যান্য সহশিল্পীবৃন্দ। ১৯৭১ সালে 'এইচএমভি গ্রামোফোন রেকর্ড কোম্পানি' থেকে 'বাংলা! আমার বাংলা!' শীর্ষক ইপি রেকর্ডে প্রকাশিত।
ভিডিওটি সৌজন্যে Surer Bhuban YouTube Channel. । গানের কথা, সৌজন্যে মানসী চক্রবর্তীর কমেন্ট এই ভিডিওটির পাতায়।
(আজ) তোমার ঘরে শিশুর হাসি, মায়ের যত প্রাণ
বন্ধ্যা মাটি, না ফোটা প্রেম, অগীত সব গান,
(তাই) দিয়েছে ডাক এবার মোরা পেলাম সমাধান
মাগো সবার মিলন মোহনায়॥
....আমাদের দেশ , আমার মাটি
খেত-খামারে কলে আমরা খাটি
আমাদের দেশে যা কিছু খাঁটি---
হবে সবার পরশে ধন্যা॥
আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি।
চিরদিন তোমার আকাশ, তোমার বাতাস, আমার প্রাণে বাজায় বাঁশি॥
ও মা, ফাগুনে তোর আমের বনে ঘ্রাণে পাগল করে,
মরি হায়, হায় রে--
ও মা, অঘ্রানে তোর ভরা ক্ষেতে আমি কী দেখেছি মধুর হাসি॥
কী শোভা, কী ছায়া গো, কী স্নেহ, কী মায়া গো--
কী আঁচল বিছায়েছ বটের মূলে, নদীর কূলে কূলে।
মা, তোর মুখের বাণী আমার কানে লাগে সুধার মতো,
মরি হায়, হায় রে--
মা, তোর বদনখানি মলিন হলে, ও মা, আমি নয়নজলে ভাসি॥
তোমার এই খেলাঘরে শিশুকাল কাটিলে রে,
তোমারি ধুলামাটি অঙ্গে মাখি ধন্য জীবন মানি।
তুই দিন ফুরালে সন্ধ্যাকালে কী দীপ জ্বালিস ঘরে,
মরি হায়, হায় রে--
তখন খেলাধুলা সকল ফেলে, ও মা, তোমার কোলে ছুটে আসি॥
ধেনু-চরা তোমার মাঠে, পারে যাবার খেয়াঘাটে,
সারা দিন পাখি-ডাকা ছায়ায়-ঢাকা তোমার পল্লীবাটে,
এই পাতার পশ্চাৎপটের ছবিটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের কিছু বিখ্যাত ছবির কৃষ্ণকায় করা কোলাজ! রয়েছে বাংলাদেশের বীর নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা সৈনিকদের ছবির পাশে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ আত্মবলিদানের কথা কখনোই ভুলবার নয়। এই পাতার গান কবিতা ও তথ্য, কবি-গণসঙ্গীতকার রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ সংগ্রহ।
|
|
|
॥ আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি॥ বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত॥ কথা ও সুর: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর মাহেন্দ্রক্ষণে বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উদ্যোগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত সংগীত পরিচালক কৌশিক হোসেন
তাপসের সংগীতায়োজনে দেশবরেণ্য ৫০জন শিল্পীর সশ্রদ্ধ নিবেদন। রয়েছেন --- রফিকুল আলম, খুরশীদ আলম, ফকির আলমগীর, মাহমুদ সেলিম, হামিন আহমেদ, মাকসুদুল
হক, হাসান, এস আই টুটুল, সুজিত মুস্তাফা, বালাম, রবি চৌধুরী, মিজান, অর্ণব, মিলন মাহমুদ, আরিফিন রুমি, অটমনাল মুন, রাফা, পারভেজ, অদিত, শামিম, প্রিয়, হাসিব,
এবিডি, পুলক। শাহিন সামাদ, ফাতেমা তুজ জোহরা, আবিদা সুলতানা, রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা, শামা রহমান, ফাহমিদা নবী, দিলশাদ নাহার কাকলী, আঁখি আলমগীর,
মেহরিন, রুমানা ইসলাম, তাশফি, লুইপা, দোলা, রেশমি, আনিকা, সিঁথি সাহা, সুনিধি নায়েক, টিনা রাসেল, অনিমা রায়, ঐশি, এলিটা, জুলি, আর্নিক, পুতুল, আয়শা মৌসুমী।
ভিডিওটি সৌজন্যে Suchitra Mitra - Topic YouTube Channel.। গানের কথা, সৌজন্যে ট্যাগোরওয়েব.ইন ওয়েবসাইট।
তোমার ধানে-ভরা আঙিনাতে জীবনের দিন কাটে,
মরি হায়, হায় রে--
ও মা, আমার যে ভাই তারা সবাই, ও মা, তোমার রাখাল তোমার চাষি॥
ও মা, তোর চরণেতে দিলেম এই মাথা পেতে--
দে গো তোর পায়ের ধূলা, সে যে আমার মাথার মানিক হবে।
ও মা, গরিবের ধন যা আছে তাই দিব চরণতলে,
মরি হায়, হায় রে--
আমি পরের ঘরে কিনব না আর, মা, তোর ভূষণ ব'লে গলার ফাঁসি॥
মানব না এ বন্ধনে
মানবো না এ শৃঙ্খলে
মুক্ত মানুষের স্বাধীনতা অধিকার
খর্ব করে যারা ঘৃণ্য কৌশলে।
দুই শতাব্দীর নাগপাশ বন্ধন
নিঃস্ব হল কত অগণিত প্রাণমন
দুঃশাসন ভেঙে মুক্তির তরে হায়
লাখো শহীদের অমূল্য প্রাণ যায়
মূল্যে তার যারা মসনদে গদীয়ান
. জনতার দাবি দুই পায়ে দলে॥
আজ দিকে দিকে আর্তের হাহাকার---হায় রে
মাতা শিশু কাঁদে ঘরে ঘরে অনাহার
বিদেশীর পাতে উচ্ছিষ্টের ভোজে
স্বার্থবাদী তার লুটের স্বরাজ খোঁজে
. অন্ন দেয় নাকো বুভুক্ষু জনতায়
. কণ্ঠরোধ করে লাঠি রাইফেলে॥
মানবো না এ বন্ধনে -- কথা ও সুর: কবি সলিল চৌধুরী। শিল্পী: মান্না দে, সবিতা চৌধুরী ও অন্যান্য
সহশিল্পীবৃন্দ। ১৯৭১ সালে "এইচএমভি গ্রামোফোন রেকর্ড কোম্পানি" থেকে "বাংলা! আমার বাংলা!" শীর্ষক ইপি
রেকর্ডে প্রকাশিত। ভিডিওটি সৌজন্যে Gaaner Dali YouTube Channel.
এই পাতার পশ্চাৎপটের ছবিটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের কিছু বিখ্যাত ছবির কৃষ্ণকায় করা কোলাজ! রয়েছে বাংলাদেশের বীর নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা সৈনিকদের ছবির পাশে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ আত্মবলিদানের কথা কখনোই ভুলবার নয়। এই পাতার গান কবিতা ও তথ্য, কবি-গণসঙ্গীতকার রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ সংগ্রহ।
|
|
|
ও আলোর পথ যাত্রী এ যে রাত্রি এখানে থেম না
এ বালুর চরে আশার তরণী তোমার যেন বেঁধ না॥
. আমি শ্রান্ত যে তবু হাল ধরো
. আমি রিক্ত যে সেই সান্ত্বনা
তব ছিন্নপালে জয় পতাকা তুলে সূর্যতোরণ দাও হানা
আহা বুক ভেঙে ভেঙে পথে ঢেলে শোণিত কণা।
কত যুগ ধরে ধরে করেছে তারা সূর্য রচনা॥
. আর কত দূর ঐ মোহানা
. এযে কুয়াসা এ যে ছলনা
এই বঞ্চনার দ্বীপ পার হলেই পাবে জনসমুদ্রের ঠিকানা
ও আলোর পথযাত্রী - কথা ও সুর: কবি সলিল চৌধুরী। শিল্পী: মান্না দে, সবিতা চৌধুরী ও অন্যান্য সহশিল্পীবৃন্দ।
১৯৭১ সালে "এইচএমভি গ্রামোফোন রেকর্ড কোম্পানি" থেকে "বাংলা! আমার বাংলা!" শীর্ষক ইপি রেকর্ডে প্রকাশিত।
ভিডিওটি সৌজন্যে mh music archive - Indian, Legend YouTube Channel. গানটি ফেব্রুয়ারী ২০১৭ সালে প্রকাশিত, স্বাধীন
বাংলা বেতার কেন্দ্র পরিষদের সভাপতি ডঃ জাহিদ হোসেন প্রধান দ্বারা সম্পাদিত, “স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের গান”
সংকলনের অন্তর্ভুক্ত। পাঠক ইন্টারনেটে এই গ্রন্থটি পাবেন “মুক্তিযুদ্ধ ই আর্কাইভ” ওয়েবসাইটে।
এই পাতার পশ্চাৎপটের ছবিটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের কিছু বিখ্যাত ছবির কৃষ্ণকায় করা কোলাজ! রয়েছে বাংলাদেশের বীর নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা সৈনিকদের ছবির পাশে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ আত্মবলিদানের কথা কখনোই ভুলবার নয়। এই পাতার গান কবিতা ও তথ্য, কবি-গণসঙ্গীতকার রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ সংগ্রহ।
|
|
|
আহ্বান, শোন আহ্বান
আসে মাঠ ঘাট বন পেরিয়ে
দুস্তর বাধা প্রস্তর ঠেলে বন্যার মতো পেরিয়ে।
যুগ সঞ্চিত সুপ্তি দিয়েছে সাড়া, হিমগিরি শুনলো কি
. সূর্যের ইশারা।
যাত্রা শুরু, উচ্ছ্বল রোলে, দুর্বার বেগে তটিনী
উত্তাল তালে উদ্দাম নাচে মুক্ত শত নটিনী।
এ শুধু সুপ্ত যে নবপ্রাণে জেগেছে রণসাজে সেজেছে
অধিকার অর্জনে, আহ্বান, শোন আহ্বান।
আহ্বান, শোন আহ্বান
আসে মাঠ ঘাট বন পেরিয়ে
দুস্তর বাধা প্রস্তর ঠেলে বন্যার মতো পেরিয়ে।
আহ্বান শোন আহ্বান - কথা ও সুর: কবি সলিল চৌধুরী। শিল্পী: মান্না দে, সবিতা চৌধুরী ও অন্যান্য সহশিল্পীবৃন্দ।
১৯৭১ সালে "এইচএমভি গ্রামোফোন রেকর্ড কোম্পানি" থেকে "বাংলা! আমার বাংলা!" শীর্ষক ইপি রেকর্ডে প্রকাশিত। ভিডিওটি
সৌজন্যে Manna Dey - Topic YouTube Channel.
এই পাতার পশ্চাৎপটের ছবিটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের কিছু বিখ্যাত ছবির কৃষ্ণকায় করা কোলাজ! রয়েছে বাংলাদেশের বীর নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা সৈনিকদের ছবির পাশে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ আত্মবলিদানের কথা কখনোই ভুলবার নয়। এই পাতার গান কবিতা ও তথ্য, কবি-গণসঙ্গীতকার রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ সংগ্রহ।
|
|
|
এ দেশের মাটির ‘পরে
অনেক জাতের অনেক দিনের লোভ আছে
এ দেশের মাটির ‘পরে
অনেক জাতের অনেক দিনের লোভ আছে
এ কথা ইতিহাসই বলে
এ মাটি সোনার মাটি
এ মাটি সোনার মাটি, এই মাটিতে সোনাই শুধু ফলে
এ মাটি সোনার মাটি
অনাদিকাল থেকে রে ভাই কত যুগ গেল
এই সোনার মাটি লুঠ করিতে কত টাকা পেল
অনাদিকাল থেকে রে ভাই কত যুগ গেল
এই সোনার মাটি লুঠ করিতে কত টাকা পেল
তারা সব বুঝে গেছে
তারা সব বুঝে গেছে, এই মাটিতে বজ্র শুধু জ্বলে
এ কথা ইতিহাসই বলে
এ মাটি সোনার মাটি
এ মাটি সোনার মাটি, এই মাটিতে সোনাই শুধু ফলে
এ মাটি সোনার মাটি
এ দেশের মাটির ‘পরে কবি গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার (৫.১২.১৯২৪ - ২০.৮.১৯৮৬), সুর ও শিল্পী - হেমন্ত মুখোপাধ্যায়। ১৯৬১ সালে ভারত-চীন যুদ্ধের
পরিপ্রেক্ষিতে রচিত ও রেকর্ড করা এই গানটি 'আকাশবাণী'তে প্রথম সম্প্রচারিত হয়। পরবর্তী কালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় এই গান নতুন করে প্রাণসঞ্চার
করেছিল বাঙালি জাতির জীবনে। সমর দাসের সংগীত পরিচালনায় 'এইচএমভি গ্রামোফোন কোম্পানি' থেকে প্রকাশিত 'বাংলাদেশের হৃদয় হতে' শীর্ষক এলপি
রেকর্ডে এই গানখানি সংকলিত হয়। গানের ভিডিওটি সৌজন্যে Hemanta Mukherjee & His Contemporaries YouTube Channel.
এই পাতার পশ্চাৎপটের ছবিটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের কিছু বিখ্যাত ছবির কৃষ্ণকায় করা কোলাজ! রয়েছে বাংলাদেশের বীর নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা সৈনিকদের ছবির পাশে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ আত্মবলিদানের কথা কখনোই ভুলবার নয়। এই পাতার গান কবিতা ও তথ্য, কবি-গণসঙ্গীতকার রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ সংগ্রহ।
|
|
|
এ মাটি ফোটায় রে ফুল যেমন ফাগুন কালে
বোশেখ মাসে এই মাটি ভাই আবার আগুন জ্বালে
এ মাটি ফোটায় রে ফুল যেমন ফাগুন কালে
বোশেখ মাসে এই মাটি ভাই আবার আগুন জ্বালে
এ মাটি যেমন কোমল
এ মাটি যেমন কোমল তেমন কঠিন কোন সে মন্ত্র বলে
এ কথা ইতিহাসই বলে
এ মাটি সোনার মাটি
এ মাটি সোনার মাটি, এই মাটিতে সোনাই শুধু ফলে
এ দেশের মাটির ‘পরে
অনেক জাতের অনেক দিনের লোভ আছে
এ কথা ইতিহাসই বলে
এ মাটি সোনার মাটি
এ মাটি সোনার মাটি, এই মাটিতে সোনাই শুধু ফলে
এ মাটি সোনার মাটি, এ মাটি সোনার মাটি
পূর্ব দিগন্তে সূর্য উঠেছে
রক্ত লাল, রক্ত লাল, রক্ত লাল,
জোয়ার এসেছে জন-সমুদ্রে
রক্ত লাল, রক্ত লাল, রক্ত লাল
বাঁধন ছেঁড়ার হয়েছে কাল
হয়েছে কাল, হয়েছে কাল, হয়েছে কাল
জোয়ার এসেছে জন-সমুদ্রে
রক্ত লাল, রক্ত লাল, রক্ত লাল
শোষণের দিন শেষ হয়ে আসে
অত্যাচারীরা কাঁপে আজ ত্রাসে
শোষণের দিন শেষ হয়ে আসে
অত্যাচারীরা কাঁপে আজ ত্রাসে
রক্তে আগুন প্রতিরোধ গড়ে
রক্তে আগুন প্রতিরোধ গড়ে
রক্তে আগুন প্রতিরোধ গড়ে
রক্তে আগুন প্রতিরোধ গড়ে
পূর্ব দিগন্তে সূর্য উঠেছে কবি গোবিন্দ হালদার। সুর - সমর দাস। শিল্পী - অজিত রায়, রথীন রায়, সলিল মিত্র, রণজিৎ পাল, সুশান্ত
ভট্টাচার্য, সৌরীন পাল, নিভা ঘোষ, রিক্তা সরকার, সুমিত্রা বসু, শিবানী পাল, আরতি বন্দ্যোপাধ্যায়, উমা চৌধুরী, কল্যাণী ঘোষ, মীনা মুখোপাধ্যায় প্রমুখ
সমবেত শিল্পীবৃন্দ। ১৯৭১ সালে 'স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র' থেকে এই গানটি প্রথম সম্প্রচারিত হয়। ১৯৭২ সালে সমর দাসের সংগীত
পরিচালনায় ১২টি গান নিয়ে, "এইচএমভি গ্রামোফোন কোম্পানি" থেকে প্রকাশিত "বাংলাদেশের হৃদয় হতে" শীর্ষক এলপি রেকর্ডে এই গানখানি সংকলিত
হয়। গানের ভিডিওটি সৌজন্যে Golden Song Lyrics YouTube Channel. গানটি ফেব্রুয়ারী ২০১৭ সালে প্রকাশিত, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র পরিষদের
সভাপতি ডঃ জাহিদ হোসেন প্রধান দ্বারা সম্পাদিত, “স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের গান” সংকলনের অন্তর্ভুক্ত। এই গানটি বিপ্রদাশ বড়ুয়া সংকলিত ও
সম্পাদিত “স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র ও শব্দসৈনিক” গ্রন্থে সংকলিত স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র প্রচারিত গানেও সংকলিত হয়েছে।
এই পাতার পশ্চাৎপটের ছবিটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের কিছু বিখ্যাত ছবির কৃষ্ণকায় করা কোলাজ! রয়েছে বাংলাদেশের বীর নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা সৈনিকদের ছবির পাশে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ আত্মবলিদানের কথা কখনোই ভুলবার নয়। এই পাতার গান কবিতা ও তথ্য, কবি-গণসঙ্গীতকার রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ সংগ্রহ।
|
|
|
নয়া বাংলার নয়া সকাল
নয়া সকাল, নয়া সকাল
পূর্ব দিগন্তে সূর্য উঠেছে
রক্ত লাল, রক্ত লাল, রক্ত লাল,
জোয়ার এসেছে জন-সমুদ্রে
রক্ত লাল, রক্ত লাল, রক্ত লাল
আর দেরি নয় উড়াও নিশান
রক্তে বাজুক প্রলয় বিষাণ
আর দেরি নয় উড়াও নিশান
রক্তে বাজুক প্রলয় বিষাণ
বিদ্যুৎ গতি হউক অভিযান
বিদ্যুৎ গতি হউক অভিযান
বিদ্যুৎ গতি হউক অভিযান
বিদ্যুৎ গতি হউক অভিযান
ছিঁড়ে ফেলো সব শত্রু জাল
এক সাগর এ রক্তের বিনিময়ে
বাংলার স্বাধীনতা আনলে যারা
আমরা তোমাদের ভুলবো না
আমরা তোমাদের ভুলবো না
দুঃসহ বেদনার এ কণ্টক পথ বেয়ে
শোষণের নাগপাশ ছিঁড়লে যারা
আমরা তোমাদের ভুলবো না
আমরা তোমাদের ভুলবো না
যুগের নিষ্ঠুর বন্ধন হতে
মুক্তির এ বারতা আনলে যারা
আমরা তোমাদের ভুলবো না
ভুলবো না ভুলবো না
এক সাগর এ রক্তের বিনিময়ে
বাংলার স্বাধীনতা আনলে যারা
আমরা তোমাদের ভুলবো না
আমরা তোমাদের ভুলবো না
এক সাগর এ রক্তের বিনিময়ে বাংলার স্বাধীনতা আনলে যারা কবি গোবিন্দ হালদার। সুর - আপেল মাহমুদ।
কণ্ঠশিল্পী: স্বপ্না রায়, আপেল মাহমুদ ও সহশিল্পীবৃন্দ। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাক বাহিনীর আত্মসমর্থনের পরে ২৩ অথবা ২৪ ডিসেম্বরে স্বাধীন বাংলা
বেতার কেন্দ্রে এই গানটি প্রথম সম্প্রচারিত হয়। পরে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের পটভূমিতে নির্মিত ১৯৭২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত বিখ্যাত পরিচালক চাষী
নজরুল ইসলাম নির্দেশিত স্বাধীনতাত্তোর প্রথম চলচ্চিত্র "ওরা ১১ জন"-এ গানটি শোনা যায়। গানের ভিডিওটি সৌজন্যে Anupam Movie Songs YouTube
Channel. গানটি ফেব্রুয়ারী ২০১৭ সালে প্রকাশিত, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র পরিষদের সভাপতি ডঃ জাহিদ হোসেন প্রধান দ্বারা সম্পাদিত, “স্বাধীন বাংলা
বেতার কেন্দ্রের গান” সংকলনের অন্তর্ভুক্ত। পাঠক ইন্টারনেটে এই গ্রন্থটি পাবেন “মুক্তিযুদ্ধ ই আর্কাইভ” ওয়েবসাইটে। এই গানটি বিপ্রদাশ বড়ুয়া
সংকলিত ও সম্পাদিত “স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র ও শব্দসৈনিক” গ্রন্থে সংকলিত স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র প্রচারিত গানেও সংকলিত হয়েছে। এখানে
গানের কথা রয়েছে - "এক সাগর রক্তের বিনিময়ে" ।
এই পাতার পশ্চাৎপটের ছবিটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের কিছু বিখ্যাত ছবির কৃষ্ণকায় করা কোলাজ! রয়েছে বাংলাদেশের বীর নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা সৈনিকদের ছবির পাশে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ আত্মবলিদানের কথা কখনোই ভুলবার নয়। এই পাতার গান কবিতা ও তথ্য, কবি-গণসঙ্গীতকার রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ সংগ্রহ।
|
|
|
কৃষাণ-কৃষাণীর গানে গানে
পদ্মা-মেঘনার কলতানে
বাউলের একতারাতে
আনন্দ ঝংকারে
তোমাদের নাম ঝংতৃত হবে
ঝংকৃত হবে
নতুম স্বদেশে হড়ার পথে
তোমরা চিরদিন দিশারী রবে
আমরা তোমাদের ভুলবো না
ভুলবো না ভুলবো না
এক সাগর এ রক্তের বিনিময়ে
বাংলার স্বাধীনতা আনলে যারা
আমরা তোমাদের ভুলবো না
আমরা তোমাদের ভুলবো না
এই সূর্যোদয়ের ভোরে এসো আজ
সবে মিলে নিই এ শপথ
এই ধ্বংসস্তুপ মাঝারে গড়ব ইমারত
গড়ব ইমারত
এই সূর্যোদয়ের ভোরে এসো আজ
সবে মিলে নিই এ শপথ
এই ধ্বংসস্তুপ মাঝারে গড়ব ইমারত
গড়ব ইমারত॥
কার কি আছে বুকে বুকে যত আশা
স্বপ্ন এবার পাবে নতুন করে ভাষা
কার কি আছে বুকে বুকে যত আশা
স্বপ্ন এবার পাবে নতুন করে ভাষা
ভেঙে গেছে ঘর তাদের হারায়ে গেছে সব
লাখো শহীদের আত্মার শোনো কলরব
দু'বাহুতে আনো বল ভুলে যাই দলাদল
দু'বাহুতে আনো বল ভুলে যাই দলাদল
এসো পূর্ণ করি মনোরথ॥
এই সূর্যোদয়ের ভোরে এসো আজ
সবে মিলে নিই এ শপথ
এই ধ্বংসস্তুপ মাঝারে গড়ব ইমারত
গড়ব ইমারত, গড়ব ইমারত॥
এই সূর্যোদয়ের ভোরে এসো আজ - কথা ও সুর: কবি সলিল চৌধুরী। মূল রেকর্ডের কণ্ঠশিল্পী ছিলেন: অজিত রায়, রথীন রায়, সলিল মিত্র, রণজিৎ
পাল, সুশান্ত ভট্টাচার্য, সৌরীন পাল, নিভা ঘোষ, রিক্তা সরকার, সুমিত্রা বসু, শিবানী পাল, আরতি বন্দ্যোপাধ্যায়, উমা চৌধুরী, কল্যাণী ঘোষ, মীনা মুখোপাধ্যায় প্রমুখ
সমবেত শিল্পীবৃন্দ। এই ভিডিওতে গানটির শিল্পীরা হলেন আপেল মাহমুদ, মোহাম্মদ আবদুল জব্বার প্রমুখ শিল্পীবৃন্দ। ভিডিওটি সৌজন্যে Tarak KB YouTube Channel.
এই পাতার পশ্চাৎপটের ছবিটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের কিছু বিখ্যাত ছবির কৃষ্ণকায় করা কোলাজ! রয়েছে বাংলাদেশের বীর নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা সৈনিকদের ছবির পাশে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ আত্মবলিদানের কথা কখনোই ভুলবার নয়। এই পাতার গান কবিতা ও তথ্য, কবি-গণসঙ্গীতকার রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ সংগ্রহ।
|
|
|
নতুন ফসল মাঠে মাঠে হবে বোনা
খেতে খামারে ভরে ভরে রবে সোনা
নতুন ফসল মাঠে মাঠে হবে বোনা
খেতে খামারে ভরে ভরে রবে সোনা
বাংলা মাগো নতুন সাজে তে সাজাবো
মণি-মুক্তায় ও আঁচল ভরিয়ে দেবো
যত কারখানা কল মুখরিত অবিরল
যত কারখানা কল মুখরিত অবিরল
হবে মুক্ত এ মুক্তির পথ॥
এই সূর্যোদয়ের ভোরে এসো আজ
সবে মিলে নিই এ শপথ
এই ধ্বংসস্তুপ মাঝারে গড়ব ইমারত
গড়ব ইমারত, গড়ব ইমারত, গড়ব ইমারত॥
তোমাদের উড়িয়ে দিলাম
ওগো শান্তির দূত পায়রা
উড়ে গিয়ে বলে এসো সারা পৃথিবীর কাছে
শান্তি স্বপ্ন সে তো শুধু এই বাংলাদেশেই আছে
বাংলাদেশেই আছে
তোমাদের উড়িয়ে দিলাম
হরিতে হিরণে সোনালী কিরণে
এ এক সোনার দেশ
হাসিতে বাঁশীতে আলোতে ছায়াতে
রঙের সে সমাবেশ
হরিতে হিরণে সোনালী কিরণে
এ এক সোনার দেশ
হাসিতে বাঁশীতে আলোতে ছায়াতে
রঙের সে সমাবেশ
বাংলাদেশ সোনার বাংলাদেশ
বাংলাদেশ সোনার বাংলাদেশ
বাংলাদেশ সোনার বাংলাদেশ
বাংলাদেশ সোনার বাংলাদেশ
কল কল ছল ছল কারো পদ্মা এখানে
সুর তুলে দুলে দুলে আনন্দে নাচে
তোমাদের উড়িয়ে দিলাম কবি গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার (৫.১২.১৯২৪ - ২০.৮.১৯৮৬), সুর - সমর দাস। শিল্পী - শ্যামল মিত্র ও আরতি মুখোপাধ্যায়।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভের পরে ১৯৭২ সালে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য একটি গানের সংকলন হল একটি এলপি রেকর্ড, যার নাম ছিল "বাংলাদেশের হৃদয় হতে"।
প্রকাশিত হয়েছিল "এইচএমভি গ্রামোফোন কোম্পানি" থেকে। এই রেকর্ডের দুই পিঠ মিলিয়ে ছিল মোট ১২টি গান। সংগীত পরিচালক ছিলেন সমর দাস। গানের
ভিডিওটি সৌজন্যে Various Artists - Topic YouTube Channel.
এই পাতার পশ্চাৎপটের ছবিটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের কিছু বিখ্যাত ছবির কৃষ্ণকায় করা কোলাজ! রয়েছে বাংলাদেশের বীর নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা সৈনিকদের ছবির পাশে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ আত্মবলিদানের কথা কখনোই ভুলবার নয়। এই পাতার গান কবিতা ও তথ্য, কবি-গণসঙ্গীতকার রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ সংগ্রহ।
|
|
|
উড়ে গিয়ে বলে এসো সারা পৃথিবীর কাছে
শান্তি স্বপ্ন সে তো শুধু এই বাংলাদেশেই আছে
বাংলাদেশেই আছে
তোমাদের উড়িয়ে দিলাম
মধুর হৃদতে সুরভি বিলাতে
এখানে যে ফোটে ফুল
পারের খেয়াতে পারে যে দেয়াতে
খুঁজে মাঝি তার কূল
বাংলাদেশ সোনার বাংলাদেশ
বাংলাদেশ সোনার বাংলাদেশ
বাংলাদেশ সোনার বাংলাদেশ
বাংলাদেশ সোনার বাংলাদেশ
রিনি ঝিনি কিনি কিনি বধুর গগন ওই
হেসে হেসে ভালবেসে মন শুধু জাগে
উড়ে গিয়ে বলে এসো সারা পৃথিবীর কাছে
শান্তি স্বপ্ন সে তো শুধু এই বাংলাদেশেই আছে
বাংলাদেশেই আছে
তোমাদের উড়িয়ে দিলাম
ওরা দুটি পাখির মতো কবি আবিদুর রহমান (জন্মকাল অজ্ঞাত)। সুর - সমর দাস। শিল্পী: মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায়। বাংলাদেশের
স্বাধীনতা লাভের পরে ১৯৭২ সালে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য একটি গানের সংকলন হল একটি এলপি রেকর্ড, যার নাম ছিল "বাংলাদেশের হৃদয় হতে"।
প্রকাশিত হয়েছিল "এইচএমভি গ্রামোফোন কোম্পানি" থেকে। এই রেকর্ডের দুই পিঠ মিলিয়ে ছিল মোট ১২টি গান। সংগীত পরিচালক ছিলেন সমর
দাস। ভিডিওটি সৌজন্যে Pradip Nag Panchasayar YouTube Channel.।
এই পাতার পশ্চাৎপটের ছবিটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের কিছু বিখ্যাত ছবির কৃষ্ণকায় করা কোলাজ! রয়েছে বাংলাদেশের বীর নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা সৈনিকদের ছবির পাশে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ আত্মবলিদানের কথা কখনোই ভুলবার নয়। এই পাতার গান কবিতা ও তথ্য, কবি-গণসঙ্গীতকার রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ সংগ্রহ।
|
|
|
ওরা দুটি পাখির মতো স্বপ্ন দেখেছিল
একসাথে মিশে যাবে একটি নীড়ে ভেবেছিল
একটি নদী হয়ে ওরা যাবে সাগরের তীরে
ওরা দুটি পাখির মতো স্বপ্ন দেখেছিল
ওরা পথে যেতে যেতে কাছাকাছি এসেছিল
ওরা যে দুজনে ভালবেসেছিল, ভালবেসেছিল
সুখী এক জীবনের ছবি এঁকেছিল দুজনে দোহারি ফিরে
ওরা যাবে সাগরের তীরে
তারপর একদিন বাংলার মুক্তির রণে দুদিকে ঝাঁপিয়ে পরে ওরা দুজনে . . .
সেই দুজনার কেউ আজও ঘরে ফেরে নাই
নীরব মাটি যে আজও কাঁদে তাই
সেই দুজনার কেউ আজও ঘরে ফেরে নাই
রেখে গেছে পথে দুটি হদয়ে একটি গোলাপ ছিঁড়ে
ওরা যাবে সাগরের তীরে
ওরা দুটি পাখির মতো স্বপ্ন দেখেছিল
শত্রু জাল, শত্রু জাল
পূর্ব দিগন্তে সূর্য উঠেছে
রক্ত লাল, রক্ত লাল, রক্ত লাল,
জোয়ার এসেছে জন-সমুদ্রে
রক্ত লাল, রক্ত লাল, রক্ত লাল
রক্ত লাল, রক্ত লাল, রক্ত লাল
রক্ত লাল, রক্ত লাল, রক্ত লাল
সোনায় মোড়ানো বাংলা মোদের শ্মশান করেছে কে কথা সুর ও শিল্পী - কবি মকসুদ আলী খান সাঁই। ১৯৭১ সালে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে প্রথম
সম্প্রচারিত। গানটি বিপ্রদাশ বড়ুয়া সংকলিত ও সম্পাদিত “স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র ও শব্দসৈনিক” গ্রন্থে সংকলিত স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র প্রচারিত গানে (পৃষ্ঠা ৫১২-৫২৭) এবাবেই
লিপিবদ্ধ করা রয়েছে। এই ভিডিওটিতে স্বাধীন বাংলা বেতার থেকে প্রচারিত গানে গীতিকার ও সুরকার - কবি মোকসুদ আলী খান সাঁই। শিল্পী - মোহাম্মদ আবদুল জব্বার ও সমবেত
শিল্পীবৃন্দ। ভিডিওটি সৌজন্যে Arshad Ali YouTube Channel.। ১৯৭২ সালে 'হিন্দুস্তান রেকর্ড কোম্পানি'র থেকে প্রকাশিত 'বিক্ষুব্ধ বাংলা' রেকর্ডে এই গানটি গেয়েছিলেন করবী নাথ,
অংশুমান রায় ও সমবেত শিল্পীবৃন্দ। ভাষ্যপাঠে প্রখ্যাত বাচিক শিল্পী ও সংবাদ পাঠক দেবদুলাল বন্দ্যোপাধ্যায়। সংগীত পরিচালনা করেন আপেল মাহমুদ ও মোহাম্মদ আবদুল জব্বার।
ভিডিওটি সৌজন্যে HINDUSTHAN MUSIC YouTube Channel.।
এই পাতার পশ্চাৎপটের ছবিটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের কিছু বিখ্যাত ছবির কৃষ্ণকায় করা কোলাজ! রয়েছে বাংলাদেশের বীর নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা সৈনিকদের ছবির পাশে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ আত্মবলিদানের কথা কখনোই ভুলবার নয়। এই পাতার গান কবিতা ও তথ্য, কবি-গণসঙ্গীতকার রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ সংগ্রহ।
|
|
|
সোনায় মোড়ানো বাংলা মোদের
শ্মশান করছে কে?
পৃথিবী তোমায় আসামীর মতো
জবাব দিতে হবে॥
শ্যামল বরণী সোনালী ফসলে
ছিল যে সেদিন ভরা
নদী নির্ঝর সদা ব’য়ে যেত
পূত অমৃত ধারা
অগ্নিদাহনে সে সুখ স্বপ্ন
দগ্ধ করেছে কে?
আমরা চেয়েছি ক্ষুধার অন্ন
একটি স্নেহের নীড়
নগদ পাওনা হিসেব কষিতে
ছিল না লোভের ভীড়॥
দেশের মাটিতে আমরা ফলাবো
ফসলের কাঁচা সোনা
চিরদিন তুমি নিয়ে যাবে কেড়ে
হয়রে উন্মাদনা
এই বাঙালির বুকের রক্তে
বন্যা বহালো কে?
পৃথিবী তোমার আসামীর মতো
জবাব দিতে হবে॥
বলো বলো রে বলো সবে বলো রে বাঙালির জয় কথা কবি মহম্মদ মোসাদ আলি। সুর - সমর দাস।
শিল্পী - মাহমুদুর রহমান, এনামুল হক, শাজিদুল ইসলাম, শাহীন আখতার, কুমকুম রায়, লতা চৌধুরী প্রমুখ সমবেত শিল্পীবৃন্দ। এই গানটি
বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভের পরে ১৯৭২ সালে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য এলপি রেকর্ড, ‘বাংলাদেশের হৃদয় হতে’ সংকলনের গান।
প্রকাশিত হয়েছিল 'এইচএমভি গ্রামোফোন কোম্পানি' থেকে। এই রেকর্ডের দুই পিঠ মিলিয়ে ছিল মোট ১২টি গান। সংগীত পরিচালক
ছিলেন সমর দাস। ভিডিওটি সৌজন্যে Various Artists - Topic YouTube Channel.।
এই পাতার পশ্চাৎপটের ছবিটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের কিছু বিখ্যাত ছবির কৃষ্ণকায় করা কোলাজ! রয়েছে বাংলাদেশের বীর নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা সৈনিকদের ছবির পাশে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ আত্মবলিদানের কথা কখনোই ভুলবার নয়। এই পাতার গান কবিতা ও তথ্য, কবি-গণসঙ্গীতকার রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ সংগ্রহ।
|
|
|
বলো বলো রে বলো সবে বলো রে বাঙালির জয়
বাংলাদেশের নদীর বুকে এই বলি গান গাহিয়া যাই
বলো বলো রে বলো সবে বলো রে বাঙালির জয়
বাংলাদেশের নদীর বুকে এই বলি গান গাহিয়া যাই
বলো বলো রে বলো সবে বলো রে বাঙালির জয়
বাংলাদেশের নদীর বুকে এই বলি গান গাহিয়া যাই
হেই হেই হেইয়া, হেই হেই হেইয়া, হেই হেই হেইয়া
ওরে কণ্ঠ ভরা গান মোদের গোলা ভরা ধান
ওরে কণ্ঠ ভরা গান মোদের গোলা ভরা ধান
ও . . . .
কতই সুখে এক সাথেতে বাস করি রে ভাই
হেই হেই হেইয়া, হেই হেই হেইয়া, হেই হেই হেইয়া,
বলো বলো রে বলো সবে বলো রে বাঙালির জয়
বাংলাদেশের নদীর বুকে এই বলি গান গাহিয়া যাই
ওরে নদী ভরা মাছ মোদের ফলে ভরা গাছ
ওরে নদী ভরা মাছ মোদের ফলে ভরা গাছ
ও . . .
ফুল ফসলের তুলনা আর এমন কোথাও নাই
হেই হেই হেইয়া, হেই হেই হেইয়া, হেই হেই হেইয়া,
বলো বলো রে বলো সবে বলো রে বাঙালির জয়
বাংলাদেশের নদীর বুকে এই বলি গান গাহিয়া যাই
ওরে মাঠে মাঠে কত সোনা আছে সবার জানা
ওরে মাঠে মাঠে কত সোনা আছে সবার জানা
ও . . .
সোনার দ্যাশে বাস করি ভাই অভাব মোদের নাই
হেই হেই হেইয়া, হেই হেই হেইয়া, হেই হেই হেইয়া,
বলো বলো রে বলো সবে বলো রে বাঙালির জয়
বাংলাদেশের নদীর বুকে এই বলি গান গাহিয়া যাই
বলো বলো রে বলো সবে বলো রে বাঙালির জয়
বাংলাদেশের নদীর বুকে এই বলি গান গাহিয়া যাই
বাংলাদেশের নদীর বুকে এই বলি গান গাহিয়া যাই
মাটির প্রদীপ থেকে কথা কবি গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার। সুরকার: অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় ও অনল চট্টোপাধ্যায়। কণ্ঠশিল্পী: অজিত রায়,
রথীন রায়, সলিল মিত্র, রণজিৎ পাল, সুশান্ত ভট্টাচার্য, সৌরীন পাল, নিভা ঘোষ, রিক্তা সরকার, সুমিত্রা বসু, শিবানী পাল, আরতি বন্দ্যোপাধ্যায়,
উমা চৌধুরী, কল্যাণী ঘোষ, মীনা মুখোপাধ্যায় প্রমুখ সমবেত শিল্পীবৃন্দ। ভিডিওটি সৌজন্যে Various Artists - Topic YouTube Channel.।
এই পাতার পশ্চাৎপটের ছবিটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের কিছু বিখ্যাত ছবির কৃষ্ণকায় করা কোলাজ! রয়েছে বাংলাদেশের বীর নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা সৈনিকদের ছবির পাশে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ আত্মবলিদানের কথা কখনোই ভুলবার নয়। এই পাতার গান কবিতা ও তথ্য, কবি-গণসঙ্গীতকার রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ সংগ্রহ।
|
|
|
মাটির প্রদীপ থেকে,
মাটির প্রদীপ থেকে,
মাটির প্রদীপ থেকে অগ্নি-শপথে যেন
সূর্যকে জ্বেলে দিলে, বন্ধু।
লাঞ্ছিতা রমণীর ক্রুদ্ধ দৃষ্টি থেকে
বুলেট কুড়িয়ে নিলে, বন্ধু।
মাটির প্রদীপ থেকে,
মাটির প্রদীপ থেকে।।
বন্ধুর পথ, বন্ধুর পথ
যাও হয়ে পার ছিঁড়ে কাঁটাতার।
বন্ধুর পথ, বন্ধুর পথ
যাও হয়ে পার ছিঁড়ে কাঁটাতার।
দিগন্তে আলোর ওই যে পাখি,
নির্ভয়ে তাকে নাও যে ডাকি।
দিগন্তে আলোর ওই যে পাখি,
নির্ভয়ে তাকে নাও যে ডাকি।
রক্তেরই বন্যায়
পদ্মা-মেঘনা-যমুনা ---
মুছে দিল অন্যায়।
পদ্মা-মেঘনা-যমুনা --
রক্তেরই বন্যায়
মুছে দিল অন্যায়।
মুক্তিবাহিনী ভাই, রক্তকাহিনী লেখো
তোমরা সকলে মিলে, বন্ধু।
তোমরা সকলে মিলে, বন্ধু।
মাটির প্রদীপ থেকে,
মাটির প্রদীপ থেকে….
বন্দিতা মা, ক্রন্দিতা মা
মুক্ত যে আজ, ফুল হ'ল বাজ।
বন্দিতা মা, ক্রন্দিতা মা
মুক্ত যে আজ, ফুল হ'ল বাজ।
শান্তির উৎসবে নাও গো সেলাম।
জয়ের এই ঊৎসবে নাও গো সেলাম।
চিরকাল বয়ে যাবে
পদ্মা-মেঘনা-যমুনা ---
ইতিহাসে রয়ে যাবে
পদ্মা-মেঘনা-যমুনা ---
চিরকাল বয়ে যাবে,
ইতিহাসে রয়ে যাবে।
মেঘ-ছায়া মুছে দিয়ে
এনেছো নতুন আলো
মুক্ত আকাশ নীলে, বন্ধু।
মুক্ত আকাশ নীলে, বন্ধু।
মুক্তিবাহিনী ভাই, তোমরা সেলাম নাও।
মুক্তিবাহিনী ভাই, তোমরা সেলাম নাও।
মুক্তিবাহিনী ভাই, তোমরা সেলাম নাও।
মুক্তিবাহিনী ভাই, তোমরা সেলাম নাও।।
পালা, পালা, পালা, পালা, পালা --
আরে দে দে মুজিব ভাই, পায়ে ধরি ছাইড়া দে,
ইয়াহিয়া মরে লাজেতে
আরে দে দে মুজিব ভাই, পায়ে ধরি ছাইড়া দে,
ইয়াহিয়া মরে লাজেতে
ওরে, তুমি গিয়া ইয়াহিয়া, তোমার ছাড়ান নাই
পায়ে ধরো, কাইন্দা মরো, তোমার ক্ষ্যামা নাই
আরে দে দে মুজিব ভাই, পায়ে ধরি ছাইড়া দে,
ইয়াহিয়া মরে লাজেতে
আরে দে দে মুজিব ভাই, পায়ে ধরি ছাইড়া দে,
ইয়াহিয়া মরে লাজেতে
আমার সোনার বাংলা করলা শ্মশান
নাদির শাহের চ্যালা
সোনার বাংলা করলা শ্মশান
নাদির শাহের চ্যালা
এই শ্মশানে মুক্তিসেনার বুঝবো এবার ঠ্যালা
আরে দে দে মুজিব ভাই, পায়ে ধরি ছাইড়া দে,
ইয়াহিয়া মরে লাজেতে
ওরে, বাঙ্গালিকে ভাবছিলা কি তোমার মতো বোকা
জুলুম শাসন চলব দিয়া ইসলামের ধোঁকা
আরে দে দে মুজিব ভাই, পায়ে ধরি ছাইড়া দে,
ইয়াহিয়া মরে লাজেতে
ওরে, তুমি ধুরন্ধর মিঞা, চালাক অতি বড়ো
আরে দে দে মুজিব ভাই, পায়ে ধরি ছাইড়া দে কথা ও সুর - কবি সলিল চৌধুরী (১১.১১.১৯২৫ - ৫.৯.১৯৯৫)। শিল্পী - সরদার আলাউদ্দিন। স্বাধীন
বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে প্রথম সম্প্রচারিত এবং পরে 'পলিডোর গ্রামোফোন রেকর্ড কোম্পানি' থেকে প্রকাশিত গান। ভিডিওটি সৌজন্যে mh music archive - Indian, Legend
YouTube Channel.
এই পাতার পশ্চাৎপটের ছবিটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের কিছু বিখ্যাত ছবির কৃষ্ণকায় করা কোলাজ! রয়েছে বাংলাদেশের বীর নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা সৈনিকদের ছবির পাশে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ আত্মবলিদানের কথা কখনোই ভুলবার নয়। এই পাতার গান কবিতা ও তথ্য, কবি-গণসঙ্গীতকার রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ সংগ্রহ।
|
|
|
তুমি ধুরন্ধর মিঞা, চালাক অতি বড়ো
দ্যাখছো ঘুঘু, ফাঁদ দ্যাখো নাই, এইবার নিজেই মরো
আরে দে দে মুজিব ভাই, পায়ে ধরি ছাইড়া দে,
ইয়াহিয়া মরে লাজেতে
আমার মায়ের মুখের ভাষা কাইড়া উর্দু চাপাও ঘাড়ে
মায়ের মুখের ভাষা কাইড়া উর্দু চাপাও ঘাড়ে
আল্লা কি কও উর্দুই বুঝেন, বাংলা বুঝেন না রে
আরে দে দে মুজিব ভাই, পায়ে ধরি ছাইড়া দে,
ইয়াহিয়া মরে লাজেতে
দ্যাখো কত ধানে চাউল কত জাইন্যা গেছি গিয়া
কত ধানে চাউল কত জাইন্যা গেছি গিয়া
যেমন কুকুর তেমন মুগুর, শুনো ইয়াহিয়া
আরে দে দে মুজিব ভাই, পায়ে ধরি ছাইড়া দে,
ইয়াহিয়া মরে লাজেতে
আরে পাকিস্তানের বাদশা তুমি মসনদে বসিয়া
চ্যাটাং চ্যাটাং কইলা কথা হেলিয়া দুলিয়া
আরে দে দে মুজিব ভাই, পায়ে ধরি ছাইড়া দে,
ইয়াহিয়া মরে লাজেতে
ওরে, গণতন্ত্র বলতে তুমি গুনাহর তন্ত্র বোঝো
ভাই গুনাহর তন্ত্র, বুঝলেন
গণতন্ত্র বলতে তুমি গুনহার তন্ত্র বোঝো
মেশিনগানের তালে তালে তা-ধিন তা-ধিন নাচো
আরে দে দে মুজিব ভাই, পায়ে ধরি ছাইড়া দে,
ইয়াহিয়া মরে লাজেতে
না না মিঞা ইয়াহিয়া, তোমার ক্ষ্যামা নাই
কবর যখন খুড়ছো, হে হে
কবর যখন খুড়ছো নিজের সুমন (সমন) তোমার চাই
আরে দে দে মুজিব ভাই, পায়ে ধরি ছাইড়া দে,
ইয়াহিয়া মরে লাজেতে
আরে দে দে মুজিব ভাই, পায়ে ধরি ছাইড়া দে,
ইয়াহিয়া মরে লাজেতে
জয় বাংলা বাংলার জয়॥
হবে হবে হবে, হবে নিশ্চয়
কোটি প্রাণ একসাথে জেগেছে অন্ধরাতে
নতুন সূর্য উঠার এই তো সময়॥
বাংলার প্রতিঘর ভরে দিতে
চাই মোরা অন্নে॥
আমাদের রক্ত টকবক দুলছে
মুক্তির রিক্ত তারুণ্যে॥
নেই---ভয়।
হয় হউক রক্তের প্রখ্যাত ক্ষয়।
আমি করি না করি না করি না ভয়।
অশোকের ছায় যেন রাখালের বাঁশরী
হয়ে গেছে একেবারে স্তব্ধ॥
চারিদিকে শুনি আজ নিদারুণ হাহাকার
আর ঐ কান্নার শব্দ॥
জয় বাংলা বাংলার জয় কবি গাজী মাজহারুল আনোয়ার। সুর - আনোয়ার পারভেজ। কণ্ঠ: সমবেত শিল্পীবৃন্দ। ১৯৭১ সালে 'স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র' থেকে এই
গানখানি প্রথম সম্প্রচারিত হয়। প্রখ্যাত শিল্পী শাহনাজ রহমতুল্লাহর কণ্ঠে গানটি বিপুল জনপ্রিয় হয়। এই গানটিকে 'স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে'র 'সিগনেচার টিউন' হিসেবে ধরা হতো।
বেতারের গানের অনুষ্ঠানের সূচনা হতো এই গানটি দিয়ে। ফেব্রুয়ারী ২০১৭ সালে প্রকাশিত, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র পরিষদের সভাপতি ডঃ জাহিদ হোসেন প্রধান দ্বারা সম্পাদিত,
“স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের গান” সংকলনের অন্তর্ভুক্ত। গানের ভিডিওটি সৌজন্যে বাংলা YouTube Channel. গানটি ফেব্রুয়ারী ২০১৭ সালে প্রকাশিত, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র
পরিষদের সভাপতি ডঃ জাহিদ হোসেন প্রধান দ্বারা সম্পাদিত, “স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের গান” সংকলনের অন্তর্ভুক্ত। পাঠক ইন্টারনেটে এই গ্রন্থটি পাবেন “মুক্তিযুদ্ধ ই আর্কাইভ”
ওয়েবসাইটে। এই গানটি বিপ্রদাশ বড়ুয়া সংকলিত ও সম্পাদিত “স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র ও শব্দসৈনিক” গ্রন্থে সংকলিত স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র প্রচারিত গানেও সংকলিত হয়েছে।
এই পাতার পশ্চাৎপটের ছবিটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের কিছু বিখ্যাত ছবির কৃষ্ণকায় করা কোলাজ! রয়েছে বাংলাদেশের বীর নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা সৈনিকদের ছবির পাশে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ আত্মবলিদানের কথা কখনোই ভুলবার নয়। এই পাতার গান কবিতা ও তথ্য, কবি-গণসঙ্গীতকার রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ সংগ্রহ।
|
|
|
শাসনের নামে চলে শোষণের
সুকঠিন যন্ত্র॥
বজ্রের হুংকারে শৃঙ্খল ভাঙতে
সংগ্রামী জনতা অতন্দ্র।
আর---নয়।
তিলে তিলে মানুষের এই পরাজয়॥
আমি করি না করি না করি না ভয়।
জয় বালা বাংলার জয়॥
জয় বাংলা বাংলার জয়
ভুখা আর বেকারের মিছিলটা
যেন ঐ দিন দিন শুধু বেড়ে যাচ্ছে
রোদে পুড়ে জলে ভেজে অসহায়
হয়ে আজ ফুটপাতে তারা স্থান পাচ্ছে॥
বার বার ঘুঘু এসে খেয়ে যেতে দেব
নাকো আর ধান।
বাংলার দুশমন তোষামোদি চাটুকার
সাবধান সাবধান সাবধান॥
সেই---ভয়
দৃষ্টির উল্লাসে হবে রঙিন
আজ মানি না মানি না কোনো সংশয়॥
মায়েদের বুকে আজ শিশুদের দুধ নেই
অনাহারে তাই শিশু কাঁদছে॥
গরিবের পেটে আজ ভাত নেই ভাত নেই
দ্বারে দ্বারে তাই ফিরে যাচ্ছে॥
মা বোনের পরনে কাপড়ের লেশ নেই
লজ্জায় কেঁদে কেঁদে ফিরছে॥
ওষুধের অভাবে প্রতিটি ঘরে ঘরে
রোগে শোকে ধুকে ধুকে মরছে॥
অন্ন দাও, বস্ত্র দাও
বাঁচার মতো বাঁচতে দাও
অত্যাচারী শোষকদের আর
মুক্তি নাই মুক্তি নাই মুক্তি নাই।
আমায় একটি ক্ষুদিরাম দাও বলে কাঁদিস নে আর মা
আমরা তো আছি তোর সাত কোটি সন্তান
জনমের ঋণ মাগো শুধি বা রক্ত দিয়ে যায় যদি যাক প্রাণ
আমায় একটি ক্ষুদিরাম দাও বলে কাঁদিস নে আর মা
তোর কোলে এসে জুড়াইল তোর দেহ ছায়ে মিলেছে আসন
শোষন তোষণে সুধাময়ী মা অভাগিনী হলি আজ
তোর ছেলে হয়ে সইবো না মা
তোর ছেলে হয়ে সইবো না মা, সইবো না অপমান
আমায় একটি ক্ষুদিরাম দাও বলে কাঁদিস নে আর মা
তোর চোখে মাগো কেন এত জল
রক্তের এই ধারা যাবে না বিফল
এই মাটি ছুঁয়ে শপথ নিলাম, সাত কোটি সন্তান
একজনও যদি বেঁচে থাকি মা
একজনও যদি বেঁচে থাকি মা, গাইবো তোর এ গান
আমায় একটি ক্ষুদিরাম দাও বলে কাঁদিস নে আর মা
আমরা তো আছি তোর সাত কোটি সন্তান
জনমের ঋণ মাগো শুধি বা রক্ত দিয়ে যায় যদি যাক প্রাণ
আমায় একটি ক্ষুদিরাম দাও বলে কাঁদিস নে আর মা
'আমায় একটি ক্ষুদিরাম দাও বলে কাঁদিস নে আর মা কবি গাজী মাজহারুল আনোয়ার। সুর -
খোন্দকার নুরুল আলম। শিল্পী - আবদুল রউফ। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের পটভূমিকায় রচিত ১৯৭২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত বিখ্যাত
পরিচালক চাষী নজরুল ইসলাম নির্দেশিত স্বাধীনতাত্তোর প্রথম চলচ্চিত্র "ওরা ১১ জন"-এর গান। গানের ভিডিওটি সৌজন্যে Anupam
Movie Songs Youtube Channel.
এই পাতার পশ্চাৎপটের ছবিটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের কিছু বিখ্যাত ছবির কৃষ্ণকায় করা কোলাজ! রয়েছে বাংলাদেশের বীর নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা সৈনিকদের ছবির পাশে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ আত্মবলিদানের কথা কখনোই ভুলবার নয়। এই পাতার গান কবিতা ও তথ্য, কবি-গণসঙ্গীতকার রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ সংগ্রহ।
|
|
|
এক নদী রক্ত পেরিয়ে
বাংলার আকাশে রক্তিম সূর্য আনলে যারা
তোমাদের এই ঋণ কোন দিন শোধ হবে না
না না না শোধ হবে না
মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে
সাত কোটি মানুষের জীবনের সন্ধান আনলে যারা
সে দানের মহিমা কোন দিন ম্লান হবে না
না না না ম্লান হবে না
হয়তো বা ইতিহাসে
তোমাদের নাম লেখা রবে না
হয়তো বা ইতিহাসে
তোমাদের নাম লেখা রবে না
বড় বড় লোকেদের ভীড়ে
জ্ঞানী আর গুণীদের আসরে
তোমাদের কথা কেউ কবে না
তবু হে বিজয়ী বীর মুক্তি সেনা
তোমাদের এই ঋণ কোন দিন শোধ হবে না
না না না শোধ হবে না
থাক ওরা পড়ে থাক ইতিহাস নিয়ে
জীবনের দীনতা হীনতা নিয়ে
থাক ওরা পড়ে থাক ইতিহাস নিয়ে
এক নদী রক্ত পেরিয়ে কথা ও সুর - কবি খান আতাউর রহমান। এই গানটি প্রখ্যাত শিল্পী শাহনাজ রহমতুল্লাহ ১৯৭৩
সালে মুক্তিপ্রাপ্ত বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পটভূমিকার কাহিনি অবলম্বনে নির্মিত এবং খান আতাউর রহমান পরিচালিত "আবার
তোরা মানুষ হ" নামক ছায়াছবিতে গেয়েছিলেন। সমবেত কণ্ঠে গানের ভিডিওটি সৌজন্যে Golden Song Lyrics Youtube Channel.
এই পাতার পশ্চাৎপটের ছবিটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের কিছু বিখ্যাত ছবির কৃষ্ণকায় করা কোলাজ! রয়েছে বাংলাদেশের বীর নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা সৈনিকদের ছবির পাশে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ আত্মবলিদানের কথা কখনোই ভুলবার নয়। এই পাতার গান কবিতা ও তথ্য, কবি-গণসঙ্গীতকার রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ সংগ্রহ।
|
|
|
জীবনের দীনতা হীনতা নিয়ে
তোমাদের কথা রবে সাধারণ মানুষের ভীড়ে
তোমাদের কথা রবে সাধারণ মানুষের ভীড়ে
মাঠে মাঠে কিষাণের মুখে
ঘরে ঘরে কিষাণীর বুকে
স্মৃতি বেদনার আঁখি নীড়ে
তবু এই বিজয়ী বীর মুক্তি সেনা
তোমাদের এই ঋণ কোন দিন শোধ হবে না
না না না শোধ হবে না
এক নদী রক্ত পেরিয়ে
বাংলার আকাশে রক্তিম সূর্য আনলে যারা
তোমাদের এই ঋণ কোন দিন শোধ হবে না
না না না শোধ হবে না
নোঙর তোল তোল সময় যে হলো হলো
হাওয়ার বুকে নৌকা এবার
জোয়ারে ভাসিয়ে দাও
শক্ত মুঠি বাঁধনে বজ্র বাঁধিয়া নাও
সমুখে এবার দৃষ্টি তোমার পেছনের কথা ভোল
দূর দিগন্তে সূর্যধ রথে
দৃষ্টি রেখেছ স্থির
সবুজ আশায় স্বপ্নেরা আজ
নয়নে করেছে ভিড়
হৃদয়ে তোমার মুক্তি আলো
আলোর দুয়ার খোল॥
নোঙর তোল তোল সময় যে হোল হোলো কথা - কবি নঈম গহর। সুর - সমর দাস। ১৯৭১ সালে
'স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র' থেকে এই গানখানি প্রথম সম্প্রচারিত হয়। গানের কথা আমরা নিয়েছি বিপ্রদাশ বড়ুয়া সংকলিত
ও সম্পাদিত “স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র ও শব্দসৈনিক” গ্রন্থে সংকলিত স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র প্রচারিত গান থেকে (পৃষ্ঠা
৫১২-৫২৭)। গানের ভিডিওটি সৌজন্যে Pink & Murad Youtube Channel. গানটি ফেব্রুয়ারী ২০১৭ সালে প্রকাশিত,
স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র পরিষদের সভাপতি ডঃ জাহিদ হোসেন প্রধান দ্বারা সম্পাদিত, “স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের গান”
সংকলনের অন্তর্ভুক্ত। পাঠক ইন্টারনেটে এই গ্রন্থটি পাবেন “মুক্তিযুদ্ধ ই আর্কাইভ” ওয়েবসাইটে।
এই পাতার পশ্চাৎপটের ছবিটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের কিছু বিখ্যাত ছবির কৃষ্ণকায় করা কোলাজ! রয়েছে বাংলাদেশের বীর নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা সৈনিকদের ছবির পাশে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ আত্মবলিদানের কথা কখনোই ভুলবার নয়। এই পাতার গান কবিতা ও তথ্য, কবি-গণসঙ্গীতকার রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ সংগ্রহ।
|
|
|
সাড়ে সাত কোটি মানুষের আজ একটি নাম ---
মুজিবর, মুজিবর, মুজিবর।
সাড়ে সাত কোটি প্রশ্নের জবাব পেয়ে গেলাম ---
মুজিবর, মুজিবর, মুজিবর।
সাড়ে সাত কোটি মানুষের আজ একটি নাম ---
মুজিবর, মুজিবর, মুজিবর।
সাড়ে সাত কোটি প্রশ্নের জবাব পেয়ে গেলাম ---
মুজিবর, মুজিবর, মুজিবর।
এ যে শপথের রক্তের স্বাক্ষর,
এ যে আগুনের মন্ত্রের অক্ষর
এ যে শপথের রক্তের স্বাক্ষর,
এ যে আগুনের মন্ত্রের অক্ষর
অগ্রগামীর মুক্তিকামীর মনস্কাম ---
মুজিবর, মুজিবর।
অগ্রগামীর মুক্তিকামীর মনস্কাম ---
মুজিবর, মুজিবর।
সাড়ে সাত কোটি মানুষের আজ একটি নাম ---
মুজিবর, মুজিবর, মুজিবর।
সাড়ে সাত কোটি প্রশ্নের জবাব পেয়ে গেলাম ---
মুজিবর, মুজিবর, মুজিবর।
এ যে লাঞ্ছিত নিপীড়িত গণসত্তার জাগরণ ---
মুজিবর, মুজিবর।
সাড়ে সাত কোটি মানুষের আজ একটি নাম মুজিবর কথা কবি শ্যামল গুপ্ত। সুর বাপ্পী লাহিড়ী। শিল্পী: মোহাম্মদ আবদুল জব্বার। গানের কথা
আমরা নিয়েছি ২০১৭ সালে প্রকাশিত, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র পরিষদের সভাপতি ডঃ জাহিদ হোসেন প্রধান দ্বারা সম্পাদিত, “স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের গান” সংকলন থেকে।
পাঠক ইন্টারনেটে এই গ্রন্থটি পাবেন “মুক্তিযুদ্ধ ই আর্কাইভ” ওয়েবসাইটে। গানের ভিডিওটি সৌজন্যে Mohammed Abdul Jabbar - محمدعبدالجبار Youtube Channel. ।
এই পাতার পশ্চাৎপটের ছবিটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের কিছু বিখ্যাত ছবির কৃষ্ণকায় করা কোলাজ! রয়েছে বাংলাদেশের বীর নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা সৈনিকদের ছবির পাশে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ আত্মবলিদানের কথা কখনোই ভুলবার নয়। এই পাতার গান কবিতা ও তথ্য, কবি-গণসঙ্গীতকার রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ সংগ্রহ।
|
|
|
মোরা একটি ফুলকে বাঁচাবো বলে যুদ্ধ করি
মোরা একটি সুখের হাসির জন্য অস্ত্র ধরি॥
যে মাটির চির মমতা আমার অঙ্গে মাখা।
যার নদী জলে ফুলে ফলে মোর স্বপ্ন আঁকা
যে নদীর নীল অম্বরে মোর মেলছে পাখা
সারাটি জীবন সে মাটির গানে অস্ত্র ধরি॥
নতুন একটি কবিতা লিখতে যুদ্ধ করি---
মোরা নতুন একটি গানের জন্য যুদ্ধ করি
মোরা একখানা ভালো ছবির জন্য যুদ্ধ করি
মোরা সারা বিশ্বের শান্তি বাঁচাতে আজকে লড়ি॥
যে নারীর মধু প্রেমেতে আমার রক্ত দোলে
যে শিশুর মায়া হাসিতে আমার বিশ্ব ভুলে
যে গৃহকপোত সুখ স্বর্গের দুয়ার খুলে
সেই শন্তির শিবির বাঁচাতে শপথ করি॥
মোরা একটি ফুলকে বাঁচাবো বলে যুদ্ধ করি
মোরা একটি সুখের হাসির জন্য অস্ত্র ধরি॥
মোরা একটি ফুলকে বাঁচাবো বলে যুদ্ধ করি কথা কবি গোবিন্দ হালদার। সুরকার ও শিল্পী - আপেল
মাহমুদ। (১৯৭১ সালে 'স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র' থেকে এই গানখানি প্রথম সম্প্রচারিত হয়। গানের কথা আমরা নিয়েছি বিপ্রদাশ
বড়ুয়া সংকলিত ও সম্পাদিত “স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র ও শব্দসৈনিক” গ্রন্থে সংকলিত স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র
প্রচারিত গান (পৃষ্ঠা ৫১২-৫২৭) থেকে। গানটি রয়েছে ২০১৭ সালে প্রকাশিত, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র পরিষদের সভাপতি ডঃ
জাহিদ হোসেন প্রধান দ্বারা সম্পাদিত, “স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের গান” সংকলনেও। পাঠক ইন্টারনেটে এই গ্রন্থটি পাবেন
“মুক্তিযুদ্ধ ই আর্কাইভ” ওয়েবসাইটে। গানের ভিডিওটি সৌজন্যে G Series Music Youtube Channel. ।
এই পাতার পশ্চাৎপটের ছবিটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের কিছু বিখ্যাত ছবির কৃষ্ণকায় করা কোলাজ! রয়েছে বাংলাদেশের বীর নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা সৈনিকদের ছবির পাশে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ আত্মবলিদানের কথা কখনোই ভুলবার নয়। এই পাতার গান কবিতা ও তথ্য, কবি-গণসঙ্গীতকার রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ সংগ্রহ।
|
|
|
১৯৭২ সালে 'হিন্দুস্তান রেকর্ড কোম্পানি'র থেকে প্রকাশিত 'বিক্ষুব্ধ বাংলা'
রেকর্ডে এই গানটি গেয়েছিলেন করবী নাথ, অংশুমান রায় ও সমবেত শিল্পীবৃন্দ।
ভাষ্যপাঠে প্রখ্যাত বাচিক শিল্পী ও সংবাদ পাঠক দেবদুলাল বন্দ্যোপাধ্যায়।
সংগীত পরিচালনা করেন আপেল মাহমুদ ও মোহাম্মদ আবদুল জব্বার।
তীরহারা এই ঢেউয়ের সাগর পাড়ি দেব রে কথা ও সুর কবি আপেল মাহমুদ। শিল্পী আপেল মাহমুদ ও রথীন্দ্রনাথ রায়। ১৯৭১ সালে স্বাধীন বাংলা বেতার
কেন্দ্র থেকে প্রথম সম্প্রচারিত। গানটির কথা আমরা নিয়েছি বিপ্রদাশ বড়ুয়া সংকলিত ও সম্পাদিত “স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র ও শব্দসৈনিক” গ্রন্থে সংকলিত স্বাধীন বাংলা
বেতার কেন্দ্র প্রচারিত গানের (পৃষ্ঠা ৫১২-৫২৭) থেকে। ভিডিওটি সৌজন্যে Md. Mansur Ali Biswas YouTube Channel.। ১৯৭২ সালে 'হিন্দুস্তান রেকর্ড কোম্পানি'র থেকে প্রকাশিত 'বিক্ষুব্ধ
বাংলা' রেকর্ডে এই গানটি গেয়েছিলেন করবী নাথ, অংশুমান রায় ও সমবেত শিল্পীবৃন্দ। ভাষ্যপাঠে প্রখ্যাত বাচিক শিল্পী ও সংবাদ পাঠক দেবদুলাল বন্দ্যোপাধ্যায়। সংগীত পরিচালনা
করেন আপেল মাহমুদ ও মোহাম্মদ আবদুল জব্বার। ভিডিওটি সৌজন্যে HINDUSTHAN MUSIC YouTube Channel.।
এই পাতার পশ্চাৎপটের ছবিটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের কিছু বিখ্যাত ছবির কৃষ্ণকায় করা কোলাজ! রয়েছে বাংলাদেশের বীর নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা সৈনিকদের ছবির পাশে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ আত্মবলিদানের কথা কখনোই ভুলবার নয়। এই পাতার গান কবিতা ও তথ্য, কবি-গণসঙ্গীতকার রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ সংগ্রহ।
|
|
|
তীরহারা এই ঢেউয়ের সাগর
পাড়ি দিবরে
আমরা ক'জন নবীন মাঝি
হাল ধরেছি শক্ত করে রে॥
জীবন কাটি যুদ্ধ করি
প্রাণের মায়া সাঙ্গ করি
জীবনের সাধ নাহি পাই।
ঘর-বাড়ির ঠিকানা নাই।
দিন-রাত্রি জানা নাই
চলার ঠিকানা সঠিক নাই॥
জানি শুধু চলতে হবে
এ তরী বাইতে হবে
আমি যে সাগর মাঝি রে॥
জীবনের রঙে মনকে টানে না
ফুলের ঐ গন্ধ কেমন জানি না
জ্যোৎস্নার দৃশ্য চোখে পড়ে না।
তারাও তো ভুলে কভু ডাকে না॥
বৈশাখেরই রৌদ্র (রুদ্র) ঝড়ে
আকাশ হখন ভেঙে পড়ে
ছেঁড়া পাল আরও ছিঁড়ে যায়॥
হাতছানি দেয় বিদ্যুৎ আমায়
হাঠৎ কে যে শান্ত সোনার (শঙ্খ শোনায়)
দেখি ভোরের পাখি গায়॥
তবু তরী বাইতে হবে
খেয়া পারে নিতে হবে
যতই ঝড় উঠুক সাগরে।
তীরহারা এই ঢেউয়ের
সাগর পাড়ি দিব রে॥
১৯৭২ সালে 'হিন্দুস্তান রেকর্ড কোম্পানি'র থেকে প্রকাশিত 'বিক্ষুব্ধ বাংলা'
রেকর্ডে এই গানটি গেয়েছিলেন করবী নাথ, অংশুমান রায় ও সমবেত শিল্পীবৃন্দ।
ভাষ্যপাঠে প্রখ্যাত বাচিক শিল্পী ও সংবাদ পাঠক দেবদুলাল বন্দ্যোপাধ্যায়।
সংগীত পরিচালনা করেন আপেল মাহমুদ ও মোহাম্মদ আবদুল জব্বার।
সালাম সালাম হাজার সালাম
সকল শহীদ স্মরণে,
আমার হৃদয় রেখে যেতে চাই
তাদের স্মৃতির চরণে॥
মায়ের ভাষায় কথা বলাতে
স্বাধীন আশায় পথ চলাতে
হাসি মুখে যারা দিয়ে গেল প্রাণ
সেই স্মৃতি নিয়ে গেয়ে যাই গান
তাদের বিজয় মরণে॥
ভাইয়ের বুকের রক্তে আজিকে
রক্ত মশাল জ্বলে দিকে দিকে
সংগ্রামী আজ মহা জনতা
কণ্ঠে তাদের নব বারতা
শহীদ ভাইয়ের স্মরণে॥
সালাম সালাম হাজার সালাম কথা কবি ফজল-এ-খোদা। সুরকার ও শিল্পী মোহাম্মদ আবদুল জব্বার। ১৯৭১
সালে 'স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র' থেকে গানটি প্রথম সম্প্রচারিত হয়। গানের কথা আমরা নিয়েছি বিপ্রদাশ বড়ুয়া সংকলিত ও
সম্পাদিত “স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র ও শব্দসৈনিক” গ্রন্থে সংকলিত স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র প্রচারিত গান (পৃষ্ঠা ৫১২-৫২৭)
থেকে। গানটি রয়েছে ২০১৭ সালে প্রকাশিত, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র পরিষদের সভাপতি ডঃ জাহিদ হোসেন প্রধান দ্বারা
সম্পাদিত, “স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের গান” সংকলনেও। পাঠক ইন্টারনেটে এই গ্রন্থটি পাবেন “মুক্তিযুদ্ধ ই আর্কাইভ”
ওয়েবসাইটে। গানের ভিডিওটি সৌজন্যে Golden Song Lyrics Youtube Channel. ।
এই পাতার পশ্চাৎপটের ছবিটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের কিছু বিখ্যাত ছবির কৃষ্ণকায় করা কোলাজ! রয়েছে বাংলাদেশের বীর নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা সৈনিকদের ছবির পাশে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ আত্মবলিদানের কথা কখনোই ভুলবার নয়। এই পাতার গান কবিতা ও তথ্য, কবি-গণসঙ্গীতকার রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ সংগ্রহ।
|
|
|
বাংলাদেশের লাখো বাঙালি
জয়ের নেশায় চলে রক্ত ঢালি
আলোর দেয়ালী ঘরে ঘরে জ্বালি
ঘুচিয়ে মনের আঁধার কালি---
শহীদ স্মৃতি বরণে॥
মুজিব বাইয়া যাও রে
নির্যাতিত দেশের মাঝে
জনগণের নাও ওরে
. মুজিব বাইয়া যাও রে॥
ও মুজিব রে, ছলে-কলে চব্বিশ বছর রক্ত খাইল চুষি
জাতি রেবে বাঁচাইতে যাইয়া
মুজিব হইল দোষী রে
. মুজিব বাইয়া যাও রে।
ও মুজিব রে, খিদের জ্বালা হৃদয় কালা রক্ত কালা মুখে
কথায় কথায় চালার গুলি
বাঙালিদের বুকে রে
. মুজিব বাইয়া যাও রে।
ও মুজিব রে, আকাশ কান্দে বাতাস কান্দে
কান্দে রে বাঙালি॥
নিপীড়িত মানুষ কান্দে
মুজিব মুজিব বলি রে
. মুজিব বাইয়া যাও রে।
মুজিব বাইয়া যাও রে নির্যাতিত দ্যাশের মাঝে জনগণের নাও কথা কবি মোহাম্মদ শাহ
বাঙালী (চারণ কবি শফী বা মহম্মদ শফিউল্লাহ)। সুরকার ও শিল্পী - মোহাম্মদ আবদুল জব্বার। গানের কথা আমরা নিয়েছি ২০১৭
সালে প্রকাশিত, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র পরিষদের সভাপতি ডঃ জাহিদ হোসেন প্রধান দ্বারা সম্পাদিত, “স্বাধীন বাংলা বেতার
কেন্দ্রের গান” সংকলন থেকে। এই গ্রন্থে সুরকারের নাম দেওয়া রয়েছে আপেল মাহমুদ। পাঠক ইন্টারনেটে এই গ্রন্থটি পাবেন
“মুক্তিযুদ্ধ ই আর্কাইভ” ওয়েবসাইটে। গানের ভিডিওটি সৌজন্যে Md. Mansur Ali Biswas Youtube Channel. ।
এই পাতার পশ্চাৎপটের ছবিটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের কিছু বিখ্যাত ছবির কৃষ্ণকায় করা কোলাজ! রয়েছে বাংলাদেশের বীর নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা সৈনিকদের ছবির পাশে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ আত্মবলিদানের কথা কখনোই ভুলবার নয়। এই পাতার গান কবিতা ও তথ্য, কবি-গণসঙ্গীতকার রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ সংগ্রহ।
|
|
|
ও মুজিব রে, বাঙালিদের ভাগ্যাকাশে এলো দুঃখের নিশি॥
তুমি বাংলার চির সম্রাট
অন্ধকারের শশী রে
. মুজিব বাইয়া যাও রে।
ও মুজিষ রে, অত্যাচারীর উৎপীড়নে দিক না যতই ব্যথা
সাত কোটি বাঙালির প্রাণে
মুজিব তুমি নেতা রে
. মুজিব বাইয়া যাও রে।
হাজার বছর পরে আবার এসেছি ফিরে
. বাংলার বুকে আছি দাঁড়িয়ে
টেনেছে দুদিক থেকে বুক করা ভালোবাসা
. আবার দু'হাত হেন বাড়িয়ে।
দেখছি আকাশ নীল, সাদা সাদা মেঘ
শিউলি গন্ধে দোলা হাওয়ার আবেগ
পুরনো দিনের চেনা ঐ বনছায়াপথ
. লুকোচুরি খেলা খেলে হারিয়ে।
অনেক জমানো কথা সুরের সোহাগ পেয়ে
. গান হয়ে মন ছুঁয়ে গেল
কি যেন একটি সুখে অভিমান ব্যথা জ্বালা
. আঁখিজল সব ধুয়ে গেল
আবার দেখছি এ ভেজা ভেজা চোখ
এনেছে ক্লান্তি ভোলা সোনার আলোক
শুনছি তোমার ডাকে জীবন ডাকছে যেন
. মরণের সীমানাটা ছাড়িয়ে
হাজার বছর পরে আবার এসেছি ফিরে কথা কবি শ্যামল গুপ্ত। সুর বাপ্পী লাহিড়ী। শিল্পী: মোহাম্মদ
আবদুল জব্বার। গানের কথা আমরা নিয়েছি ২০১৭ সালে প্রকাশিত, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র পরিষদের সভাপতি ডঃ
জাহিদ হোসেন প্রধান দ্বারা সম্পাদিত, “স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের গান” সংকলন থেকে। এই গ্রন্থে সুরকারের নাম দেওয়া
রয়েছে অপরেশ লাহিড়ী। পাঠক ইন্টারনেটে এই গ্রন্থটি পাবেন “মুক্তিযুদ্ধ ই আর্কাইভ” ওয়েবসাইটে। গানের ভিডিওটি সৌজন্যে
Mohammed Abdul Jabbar Youtube Channel. ।
এই পাতার পশ্চাৎপটের ছবিটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের কিছু বিখ্যাত ছবির কৃষ্ণকায় করা কোলাজ! রয়েছে বাংলাদেশের বীর নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা সৈনিকদের ছবির পাশে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ আত্মবলিদানের কথা কখনোই ভুলবার নয়। এই পাতার গান কবিতা ও তথ্য, কবি-গণসঙ্গীতকার রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ সংগ্রহ।
|
|
|
এই পাতার পশ্চাৎপটের ছবিটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের কিছু বিখ্যাত ছবির কৃষ্ণকায় করা কোলাজ! রয়েছে বাংলাদেশের বীর নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা সৈনিকদের ছবির পাশে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ আত্মবলিদানের কথা কখনোই ভুলবার নয়। এই পাতার গান কবিতা ও তথ্য, কবি-গণসঙ্গীতকার রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ সংগ্রহ।
|
|
|
ও আমার দেশের মাটি, তোমার 'পরে ঠেকাই মাথা।
তোমাতে বিশ্বময়ীর, তোমাতে বিশ্বমায়ের আঁচল পাতা॥
তুমি মিশেছ মোর দেহের সনে,
তুমি মিলেছ মোর প্রাণে মনে,
তোমার ওই শ্যামলবরণ কোমল মূর্তি মর্মে গাঁথা॥
ওগো মা, তোমার কোলে জনম আমার, মরণ তোমার বুকে।
তোমার 'পরেই খেলা আমার দুঃখে সুখে।
তুমি অন্ন মুখে তুলে দিলে,
তুমি শীতল জলে জুড়াইলে,
তুমি ষে সকল-সহা সকল-বহা মাতার মাতা॥
অনেক তোমার খেয়েছি গো, অনেক নিয়েছি মা!
তবু জানি নে-যে কী বা তোমায় দিয়েছি মা!
আমার জনম গেল বৃথা কাজে,
আমি কাটানু দিন ঘরের মাঝে---
তুমি বৃথা আমায় শক্তি দিলে শক্তিদাতা॥
ও আমার দেশের মাটি তোমার পরে ঠেকাই মাথা - কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, শিল্পী সইফুল ইসলাম।
১৯৭১ সালে "স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র" থেকে গানটি৷ প্রথম সম্প্রচারিত হয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের পটভূমিকায় নির্মিত
১৯৭২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত বিখ্যাত পরিচালক চাষী নজরুল ইসলাম নির্দেশিত স্বাধীনতাত্তোর প্রথম চলচ্চিত্র "ওরা ১১ জন"-এ
গানটি শোনা যায়। ভিডিওটি সৌজন্যে Anupam Movie Songs YouTube Channel.
স্বাধীনতা, তোমার জন্যে
হাড্ডিসার এক অনাথ কিশোরী শূন্য থালা হাতে
বসে আছে পথের ধারে।
তোমার জন্যে,
সগীর আলী, শাহবাজপুরের সেই জোয়ান কৃষক,
কেষ্ট দাস, জেলেপাড়ার সবচেয়ে সাহসী লোকটা,
মতলব মিয়া, মেঘনা নদীর দক্ষ মাঝি,
গাজী গাজী ব'লে নৌকা চালায় উদ্দান ঝড়ে
রুস্তম শেখ, ঢাকার রিকশাওয়ালা, যার ফুসফুস
এখন পোকার দখলে
আর রাইফেল কাঁধে বনে জঙ্গলে ঘুড়ে বেড়ানো
সেই তেজী তরুণ যার পদভারে
একটি নতুন পৃথিবীর জন্ম হ'তে চলেছে --
সবাই অধীর প্রতীক্ষা করছে তোমার জন্যে, হে স্বাধীনতা।
পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে জলন্ত
ঘোষণার ধ্বনি-প্রতিধ্বনি তুলে,
মতুন নিশান উড়িয়ে, দামামা বাজিয়ে দিগ্বিদিক
এই বাংলায়
তোমাকেই আসতে হবে, হে স্বাধীনতা।
মনের মতন সব কবিতা লেখার
অধিকার ওরা
করেছে হরণ।
প্রকাশ্য রাস্তায় যদি তারস্বরে চাঁদ ফুল পাখি
এমন কি ‘নারী’ ইত্যাকার শব্দাবলী
করি উচ্চারণ, কেউ করবে না বারণ কখনো।
কিন্তু কিছু শব্দকে করেছে
সেসব কবিতাবলী যেন রাজহাঁস,
দৃপ্ত ভঙ্গিমায় মানুষের
অত্যন্ত নিকটে যায়, কুড়ায় আদর
অথচ এ দেশে আমি আজ দমবন্ধ
এ বন্দী-শিবিরে
মাথা খুঁড়ে মড়লেও পারি না করতে উচ্চারণ
মনের মতন শব্দ কোনো।
আরো একজনকে জানতাম- সে কুমিল্লা থেকে
বেরিয়ে পড়েছিল যুদ্ধের দিকে। গুলিটা লেগেছিল
তার কোমরে। আগরতলা হাসপাতালে আমি তাকে
দেখতে গিয়েছিলাম। ডাক্তাররা বিষাক্ত শিশার টুকরো
নিখুঁতভাবে বের করতে পারলেও সে আর হাঁটতে পারেনি।
তাকে হুইল চেয়ারে বসিয়ে আমি নিয়ে গিয়েছিলাম
মুক্তির উৎসবে। ওই পতাকার লাল অংশে তার খানিকটা
রক্ত আছে। আমি সব সময় দেখি আর তার কথা ভাবি।
কী অবলীলায় তার নাম বাদ দিয়ে লেখা হয়ে যায়
মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস! সে ছিল কুমিল্লার একটি
হিন্দু পরিবারের মেয়ে। তার পিতার উপজীব্য ছিল
সংগীত। আমি সাক্ষ্য দেই যে, পতাকার ঐ লাল অংশে
তার রক্তের লোহিত কণিকা মিশ্রিত আছে।
হে ইতিহাস, লেখো তার নাম।
এই পাতার পশ্চাৎপটের ছবিটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের কিছু বিখ্যাত ছবির কৃষ্ণকায় করা কোলাজ! রয়েছে বাংলাদেশের বীর নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা সৈনিকদের ছবির পাশে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ আত্মবলিদানের কথা কখনোই ভুলবার নয়। এই পাতার গান কবিতা ও তথ্য, কবি-গণসঙ্গীতকার রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ সংগ্রহ।
|
|
|
পাঠকদের জানাচ্ছি যে এই ভাষণটি কোনোও ভিডিও ইউটিউব চ্যানেলে
সম্পূর্ণরূপে পাওয়া যায়নি। নামে “পূর্ণাঙ্গ ভাষণ” লেখা থাকলেও তা বহুল
সম্পাদিত, কাটছাট করা। এমন কি অতি নির্ভযোগ্য সূত্র থেকে আপলোড
করা ভিডিওতেও পুরো ভাষণটি, এখনও আমরা পাই নি। বিভিন্ন
ওয়েবসাইট ও ব্লগে, ভাষণের লিখিত রূপগুলিতেও এত সম্পাদনা করা
হয়েছে যে তা আর বঙ্গবন্ধু মুজিবর রহমানের, একটি অলিখিত সরাসরি
দেওয়া (extemporate) ভাষণ আর বলা চলে না। তাই ভাষণটি আমরা
ইনটারনেটে প্রাপ্ত বিভিন্ন ভিডিও থেকে শুনে শুনে লিখেছি। বানানের
দিকে বিশেষ লক্ষ্য রাখা হয়েছে যাতে বঙ্গবন্ধুর ভাষা ও উচ্চারণ সুরক্ষিত
রাখা হয়। তিনি যে মাটির কাছাকাছি বিরাজ করতেন তা তাঁর ভাষণের
ভাষা ও উচ্চারণ থেকেই স্পষ্ট হয়ে যায়। যে কথাগুলি ভিডিওর
সম্পাদনার জন্য বোঝা যাচ্ছে না সেই সেই সম্পাদিত অন্য রঙে লেখা
স্থানে, আমরা বন্ধনীর মধ্যে কিছু টীকা-টিপ্পনী করেছি পাঠকের সুবিধার
জন্য।
আমরা মানছি যে এই ভাষণটি শেষ হবার পর থেকেই বাংলাদেশে
মানুষের জীবন ও ভবিষ্যৎ এত মারাত্মকভাবে উত্তপ্ত ও অনিশ্চিত হয়ে
পড়েছিল যে এই ভিডিওটা (ফিল্মটা) যে পুরোপুরি ধ্বংস বা নষ্ট হয়ে
যায়নি, সেটাই বড় কথা। যাঁরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তা রক্ষা করেছিলেন
তাঁদের আমরা জানাই সশ্রদ্ধ প্রণাম ও কৃতজ্ঞতা।
১। ভিডিও সৌজন্যে Jabed Haidar Jeorje জাবেদ হায়দার জর্জ
YouTube Channel. ।
২। ভিডিও সৌজন্যে VAT Intelligence YouTube Channel. ।
কবি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান
|
এবারের সংগ্রাম, স্বাধীনতার সংগ্রাম, জয় বাংলা কবি শেখ মুজিবর রহমান (১৭.৩.১৯২০ - ১৫.৮.১৯৭৫)
১৯৭১ সালের ৭ মার্চ ঢাকার রমনায়, রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) দেওয়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের
ঐতিহাসিক ভাষণ কে আমরা কবিতা রূপে তুললাম।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণকে কবি নির্মলেন্দু গুণ বলেছেন "অমর কবিতা"। তিনি তাঁর "স্বাধীনতা, এই শব্দটি কীভাবে আমাদের হলো"
কবিতাটি রচনা করেছেন বঙ্গবন্ধুর এই ভাষণকে কেন্দ্র করেই। মিলনসাগরে আমরাও কবি নির্মলেন্দু গুণের সঙ্গে পরিপূর্ণ সহমত পোষণ করে বঙ্গবন্ধুর এই ভাষণটি
এখানে একটি কবিতার রূপে উপস্থাপন করলাম। ৭ মার্চ ১৯৭১ এর এই ভাষণটিকে ঐতিহাসিক দলিল হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেস্কো। ভাষণটিকে “মেমরি অব
দ্য ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্টারে” (এম.ও.ডাব্লিউ.) তালিকাভুক্তও করা হয়েছে।
এই পাতার পশ্চাৎপটের ছবিটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের কিছু বিখ্যাত ছবির কৃষ্ণকায় করা কোলাজ! রয়েছে বাংলাদেশের বীর নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা সৈনিকদের ছবির পাশে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ আত্মবলিদানের কথা কখনোই ভুলবার নয়। এই পাতার গান কবিতা ও তথ্য, কবি-গণসঙ্গীতকার রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ সংগ্রহ।
|
|
|
ভায়েরা আমার,
আজ দুঃখ-ভারাক্রান্ত মন নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি।
আপনারা সবই জানেন এবং বোঝেন। আমরা আমাদের জীবন দিয়ে
চেষ্টা করেছি - কিন্তু দুঃখের বিষয় আজ ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা,
রাজশাহী, রংপুরে আমার ভাইয়ের রক্তে রাজপথ রঞ্জিত হয়েছে।
আজ বাংলার মানুষ মুক্তি চায়। বাংলার মানুষ বাঁচতে চায়।
বাংলার মানুষ তার অধিকার চায়।
কি অন্যায় করেছিলাম?
নির্বাচনের পরে বাংলাদেশের মানুষ সম্পূর্ণভাবে আমাকে আওয়ামি
লীগকে ভোট দেয়। আমাদের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি বসবে। আমরা
সেখানে গণতন্ত্র প্রয়োগ করবো এবং এ দেশকে আমরা গড়ে তুলবো।
এ দেশের মানুষ অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক মুক্তি পাবে।
কিন্তু দুঃখের বিষয় আজ দুঃখের সঙ্গে বলতে হয় তেইশ বচ্ছরের
করুণ ইতিহাস বাংলার অত্যাচারের, বাংলার মানুষের রক্তের
ইতিহাস। তেইশ বচ্ছরের ইতিহাস মুমূর্ষ নরনারীর আর্তনাদের
ইতিহাস। বাংলার ইতিহাস এদেশের মানুষের রক্ত দিয়ে রাজপথ
রঞ্জিত করার ইতিহাস। ১৯৫২ সালে রক্ত দিয়েছি। ১৯৫৪ সালে
নির্বাচনে জয় লাভ করেও আমরা গদিতে বসতে পারি নাই। ১৯৫৮
সালে আইয়ুব খান মার্শাল ল জারি করে দশ বচ্ছর পর্যন্ত আমাদের
গোলাম করে রেখেছে। ১৯৬৬ সালে ৬-দফা আন্দোলনে ৭ই জুনে
আমার ছেলেদের গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। ১৯৬৯ এর
আন্দোলনে আইয়ুব খানের পতন হওয়ার পরে যখন ইয়াহিয়া খান
সাহেব সরকার নিলেন, তিনি বলেলেন, দেশে শাসনতন্ত্র দেবেন,
গণতন্ত্র দেবেন, আমরা মেনে নিলাম।
এপার বাংলার কলকাতায়, ভারতমাতার অন্যতম শ্রেষ্ঠ সন্তান নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর মূর্তির সামনে, ভারতবর্ষের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান।
দিল্লীর গেটওয়ে অফ ইণ্ডিয়াতে, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হওয়া ভারতীয় সেনার স্মৃতিতে বিগত ৫০ বছর যাবৎ প্রজ্বলিত "অমর জওয়ান জ্যোতি" নামক অনির্বাণ অগ্নিশিখাকে নিভিয়ে দিয়ে, আমাদের ইতিহাস থেকে, মুক্তিযূদ্ধের কালে, ভারত ও বাংলাদেশের মৈত্রী, সহযোগিতা ও ভারতীয় সেনার আত্মবলিদান এবং ইন্দিরা গান্ধীর অবিস্মরণীয় অবদান মুছে ফেলার বর্তমান ভারতের ক্ষমতাসীন সরকারের আপ্রাণ চেষ্টার প্রতিবাদে আমরা এই ছবিটি এখানে তুলে দিলাম।
মোদী সরকার বলছেন যে তাঁরা নাকি ওই অনির্বাণ অগ্নিশিখাটিকে অন্যত্র নিয়ে গিয়ে অন্যান্য সেনাদের সৌধের অগ্নিশিখার সঙ্গে মিলিয়ে দিয়েছেন। যা আমরা হাস্যকর মনে করি।
দুর্ভাগ্যজনকভাবে, সারা ভারত তথা এপার বাংলায়, দেশের শাসকদলের ছড়ানো বিদ্বেষ-বিষে বুঁদ হয়ে থাকা নাগরিক সমাজ ও বিরোধী দলগুলি থেকে এই সিদ্ধান্তের কোনো জোরালো প্রতিবাদ চোখে পড়ে নি।
|
২২:২৪ মিনিটের ঐতিহাসির ৭ই মার্চের ভাষণের দীর্ঘতর অডিওর ভিডিও
|
১১:৫৩ মিনিটের ঐতিহাসির ৭ই মার্চের ভাষণের তথ্যচিত্রের ভিডিও
|
তারপরে অনেক ইতিহাস হয়ে গেল, নির্বাচন হলো। আপনারা জানেন।
দোষ কি আমাদের?
আজকে তিনি, (এই অংশ অন্য রেকর্ডিঙে আছে) আমি প্রেসিডেন্ট
ইয়াহিয়া খান সাহেবের সঙ্গে দেখা করেছি, আপনারা জানেন আলাপ
আলোচনা করেছি। আমি শুধু বাংলার নয়, পাকিস্তানের মেজরিটি
পার্টির নেতা হিসাবে তাঁকে অনুরোধ করলাম ১৫ই ফেব্রুয়ারি তারিখে
আপনি জাতীয় পরিষদের অধিবেশন দেন। তিনি আমার কথা
রাখলেন না। তিনি রাখলেন ভুট্টো সাহেবের কথা। তিনি বললেন
প্রথম সপ্তাহে মার্চ মাসে হবে। তিনি মাইনা নিলেন। আমরা বললাম
ঠিক আছে আমরা অ্যাসেম্বলিতে বসবো। আমি বললাম বক্তৃতার
মধ্যে অ্যাসেম্বলির মধ্যে আলোচনা করবো। এমন কি আমি এ পর্যন্ত
বললাম যদি কেউ ন্যায্য কথা বলে, আমরা সংখ্যায় বেশী হলেও,
একজন যদিও সে হয়, তার ন্যায্য কথা আমরা মেনে নেবো। আসুন
বসি।
জনাব ভুট্টো সাহেব এখানে এসেছিলেন। আলোচনা করলেন। বলে
গেলেন যে আলোচনার দরজা বন্ধ নাই। আরও আলোচনা হবে।
তারপর অন্য যারা এসেচিলেন, তাঁদের সঙ্গে আলাপ করলাম --
আপনারা আসুন বসুন, আমরা আলাপ করে শাসনতন্ত্র তৈয়ার করি।
তিনি বললেন পশ্চিম পাকিস্তানের মেম্বাররা যদি এখানে আসেন
তাহলে কসাই খানা হবে অ্যাসেম্বলি। তিনি বললেন যে যাবে তাকে
মেরে ফেলে দেওয়া হবে। যদি কেউ অ্যসেম্বলিতে আসে তাহলে
পেশাওয়ার থেকে করাচি পর্যন্ত দোকান জোর করে বন্ধ করা হবে।
তার পরেও যদি কেউ আসে, তবে ছন্নছাড় করা হবে।(এই অংশ
অন্য রেকর্ডিঙে আছে) আমি বললাম অ্যাসেম্বলি চলবে। তার পরে
হঠাৎ এক তারিখে অ্যাসেম্বলি বন্ধ করে দেওয়া হলো।
ইয়াহিয়া সাহেব প্রেসিজেন্ট হিসাবে অ্যাসেম্বলি ডেকেছিলেন। আমি
বললাম যে আমি যাবো। ভুট্টো সাহেব বললেন যে তিনি যাবেন না।
৩৫জন সদস্য পশ্চিম পাকিস্তানের থেকে এখানে আসলেন। তারপরে
হঠাৎ বন্দুকেনাহল (কিছু অংশ কেটে গেছে)। জোর দেওয়া হলো
বাংলার মানুষকে। জোর দেওয়া হলো আমাকে। বন্দুকের দায়ে পড়ে
দেশের মানুষ প্রতিবাদমুখর হয়ে উঠলো। আমি বললাম
শান্তিপূর্ণভাবে আপনারা হরতাল পালন করেন। আমি বললাম
আপনারা জল কারখানা সবকিছু বন্ধ করে দ্যান। জনগণ সাড়া দিল।
আপন ইচ্ছায় জনগণ রাস্তায় বেরিয়ে পড়লো হ্যাঁ শান্তিপূর্ণভাবে
সংগ্রাম চালিয়ে যাবার জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞবদ্ধ হলো।
কি পেলাম আমরা?
আমার/জামার(কিছু অংশ কেটে গেছে) পয়সা দিয়ে অস্ত্র কিনেছি।
ওই শত্রুর আক্রমণ থেকে দেশকে অক্ষত রাখবার জন্য। আজ
সে অস্ত্র ব্যবহার হচ্ছে আমার দেশের গরীব দুঃখী নিরস্ত্র মানুষের
মধ্যে, তার বুকের উপরে হচ্ছে গুলি। আমরা পাকিস্তানের সংখ্যাগুরু।
আমরা বাঙ্গালিরা যখনই ক্ষমতায় যাওয়ার চেষ্টা করেছি, যখনই
মালিক হবার চেষ্টা করেছি (এই অংশ কোথাও কোথাও নেই), তখনই
তাঁরা আমাদের উপরে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন।
তাঁরা আমাদের ভাই। আমি বলেছি তাঁদের কাছে এই কথা --- যে
আপনারা কেন আপনার ভাইয়ের বুকে গুলি মারবেন? আপনাদের
রাখা হয়েছে, যদি বহিঃশত্রু আক্রমণ করে, তার থেকে দেশ কে রক্ষা
করার জন্য।
তারপরে উনি বললেন --- যে আমার নামে বলেছেন, আমি নাকি বলে
স্বীকার করেছি যে ১০ই তারিখে (মার্চ) তারিখে রাউণ্ডটেবিল
কনফারেন্স হবে। আমি ওনাকে একথা বলে দেবার চাই যে তা বলি
নাই। টেলিফোনে আমার সঙ্গে তাঁর কথা হয়। (এই অংশ অন্য
রেকর্ডিঙে আছে)
তাঁকে আমি বলেছিলাম --- জেনারেল ইয়াহিয়া খান সাহেব, আপনি
পাকিস্তানের প্রেসিডেণ্ট, দেখে যান, ঢাকায় আসেন, (এই অংশ অন্য
রেকর্ডিঙে আছে) কী ভাবে আমার গরীবের উপরে, আমার বাংলার
মানুষের বুকের উপরে গুলি করা হয়েছে। কী করে আমার মায়ের
কোল খালি করা হয়েছে। কী করে মানুষকে হত্যা করা হয়েছে।
আপনি আসুন, দেখুন, বিচার করুন, তার পরে আপনি ঠিক করুন,
আমি এই কথা বলেছিলাম।(এই অংশ অন্য রেকর্ডিঙে আছে)
উনি বললেন আমিনিখুনবিচারতারিখে (কিছু অংশ কেটে গেছে) রাউণ্ড
টেবিল কনফারেন্স হবে।
আমি তো অনেক আগে বলেছি কিসেরআকতি (কিছু অংশ কেটে
গেছে)? কার সঙ্গে বসবো? যারা আমার মানুষের বুকের রক্ত নিয়েছে
তার সঙ্গে বসবো?
হঠাৎ আমার সঙ্গে পরামর্শ না করে, আমাদের সঙ্গে আলোচনা না
করে, (এই অংশ অন্য রেকর্ডিঙে আছে) পাঁচ ঘন্টা গোপনে
বৈঠক করে, যে বক্তৃতা তিনি করেছেন, এবং যে বক্তৃতা তিনি
অ্যাসেম্বলিতে করেছেন,(এই অংশ অন্য রেকর্ডিঙে আছে) সমস্ত দোষ
তিনি আমার উপরে দিয়েছেন। বাংলার মানুষের উপরে দিয়েছেন।
আমি পরিস্কার মিটিংএ বলেছি --- এবারের সংগ্রাম আমার মুক্তির
সংগ্রাম। এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।
ভায়েরা আমার,
২৫ তারিখে অ্যাসেম্বলি কল করেছে। রক্তের দাগ শুকায় নাই। আমি
১০ তারিখে বলে দিয়েছি যে ওই শহীদের রক্তের উপর দিয়ে পাড়া
দিয়ে আর কিছুতে মুজিবর রহমান যোগদান করতে পারে না।
অ্যাসেম্বলি কল করেছেন, আমার দাবী মানতে হবে - প্রথম সামরিক
আইন মার্শাল ল উইড্র করতে হবে। সমস্ত সামরিক বাহিনীর
লোকদের ব্যারাকে ফেরত নিতে হবে। যে ভাবে হত্যা করা হয়েছে,
তার তদন্ত করতে হবে। আর জনগণের প্রতিনিধির কাছে ক্ষমতা
হস্তান্তর করতে হবে। তার পরে মিমাংসা করে দেখবো আমরা
অ্যাসেম্বলিতে বসতে পারবো কি পারবো না। এর পূর্বে, এর পূর্বে
অ্যাসেম্বলিতে বসা, আমরা অ্যাসেম্বলিতে বসতে আমরা পারি না।
জনগণ সে অধিকার আমাকে দেয় নাই।
ভায়েরা আমার! তোমরা আমাদের উপর বিশ্বাস আছে?
বিশাল জনতার সমস্বরে উত্তর এল --- হ্যাঁ, আছে। (এই অংশ অন্য
রেকর্ডিঙে আছে)
আমি, আমি প্রধানমন্ত্রিত্ব চাই না। আমরা দেশের মানুষের অধিকার
চাই। আমি পরিস্কার অক্ষরে বলে দেবার চাই যে আজ থেকে এই
বাংলা দেশে কোর্ট-কাচারী, আদালত, হোয়েসদারি, (কিছু অংশ কেটে
গেছে) শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে। কোন
কর্মচারী অফিস যাবেন না। এ আমার নির্দেশ। গরীবের যাতে কষ্ট
না হয়, যাতে আমার মানুষ কষ্ট না করে সেই জন্য সমস্ত অন্য অন্য
জিনিষগুলো আছে, সেগুলোর হরতাল কাল থেকে চলবে না। রিক্সা
ব্রাদারি(কিছু অংশ কেটে গেছে) চলবে, রেল চলবে, রঙ চলবে। শুধু
সেক্রেটারিয়েট, সুপ্রীম কোর্ট, হাইকোর্ট, জজকোর্ট, সেমিগভার্নমেন্ট
দফতরগুলো, ওয়াপ্তা(কিছু অংশ কেটে গেছে) কোনো কিছু চলবে না।
২৮ তারিখে কর্মচারিরা গিয়ে বেতন নিয়ে আসবেন। এর পরে যদি
বেতন দেওয়া না হয়, আর যদি একটা গুলি চলে আর যদি আমার
লোকদেরকে হত্যা করা হয়, তোমাদেরপরকাছে (কিছু অংশ কেটে
গেছে) আমার অনুরোধ রইলো --- প্রত্যেক ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোলো
। তোমাদের যা কিছু আছে, তাই নিয়ে শত্রুর মুকাবিলা করতে হবে।
এবং জীবনেরতোরে (কিছু অংশ কেটে গেছে) রাস্তাঘাটা যা যা আছে,
সব কিছু, আমি যদি হুকুম দিবার নাও পারি, তোমরা বন্ধ করে দেবে।
আমরা ভাতে মারবো। আমরা পানিতে মারবো।
তোমরা আমার ভাই। তোমরা ব্যারাকে থাকো। কেউ তোমাদের কিছু
বলবে না। কিন্তু আর আমার বুকের উপর গুলি চালাবার চেষ্টা করো
না। ভালো হবে না।(এই অংশ অন্য রেকর্ডিঙে আছে) সাত কোটি
মানুষকে দাবায়ে রাখতে পারবা না।
আমরা যখন মরতে শিখেছি, তখন কেউ আমাদের দাবাতে পারবে না।
আজ যে সমস্ত লোক শহীদ হয়েছেন, শাহাদাৎপ্রাপ্ত হয়েছেন, আমরা
ওনাদিগের থেকে যতদুর পারি তাদের সাহায্য করতে চেষ্টা করবো।
যারা পারেন আমাদের বিপ্লবীদের সামান্য টাকা পয়সা ফর্জ দিয়ে
দেবেন। আর এই সাত দিন হরতালে যে সমস্ত শ্রমিকভাইরা যোগদান
করেছেন, প্রত্যেকটা শিল্পের মালিক তাঁদের বেতন পৌঁছাইয়া দেবেন।
সরকারি কর্মচারিদের বলি, আমি যা বলি তা মানতে হবে। এ পর্যন্ত
আমার এই দেশের মুক্তি না হলে, আপনার ট্যাক্স বন্ধ করে দেওয়া
হলো। কেউ দেবে না।
শুনি (কিছু অংশ কেটে গেছে) মনে রাখবেন, শত্রু বাহিনী ঢুকেছে,
নিজেদের মধ্যে আত্মকলহের সৃষ্টি করবে। লুঠতরাজ করবে। এই
বাংলায় হিন্দু-মুসলমান, বাঙ্গালী-অবাঙ্গালী, যারা আছে, তারা
আমাদের ভাই, তাদের রক্ষার দায়িত্ব আপনাদের উপরে। আমাদের
যেন বদনাম না হয়।
মনে রাখবেন রেডিও টেলিভিশনের কর্মচারিরা, যদি রেডিওতে
আমাদের কথা না শোনে, তাহলে কোনো বাঙ্গালী রেডিও স্টেশনে
যাবেন না। যদি টেলিভিশন, আমাদের নিউজ না দেয়, কোনো বাঙ্গালী
টেলিভিশনে যাবেন না।
দুইঘন্টা ব্যাঙ্কগুলো খোলা থাকবে যাতে মানুষ তাদের মায়নাপত্র
নেবার পারে। পূর্ববাংলা থেকে পশ্চিম পাকিস্তানে এক পয়সাও চালান
হতে পারবে না।
টেলিফোন, টেলিগ্রাম আমাদের এই পূর্ব বাংলায় চলবে। এবং
বিদেশের সঙ্গে নিউজপাতালে (কিছু অংশ কেটে গেছে) চালাবেন।
কিন্তু যদি এ দেশের মানুষকে খতম করার চেষ্টা করা হয়, বাঙ্গালীরা
ভুদেশিতাগ্রাসকরবেন।(কিছু অংশ কেটে গেছে)
আমি অনুরোধ করছি --- আপনারা আমাদের ভাই। আপনারা দেশকে
একেবারে জাহান্নামে ধ্বংস করে দিয়েন না। জীবনে আর কোনো দিন
আপনাদের মুখ দেখাদেখি হবে না। যদিও আমরা শান্তিপূর্ণভাবে
আমাদের ফায়সলা করতে পারি, তাহলে অন্ততপক্ষে ভাই ভাই সেজে
বাঁচতে সম্ভাবনা আছে। সেই জন্য অনুরোধ করছি আমার এই দেশে
আপানরা মিলিটারি শাসন চালাবার চেষ্টা করবেন না।
দ্বিতীয় কথা - প্রত্যেক গ্রামে, প্রত্যেক মহল্লায়, প্রত্যেক ইউনিয়নে, প্রত্যেক
সাবডিভিশনে, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে সংগ্রাম পরিষদ গড়ে তোলো।
এবং তোমাদের যা কিছু আছে তাই নিয়ে প্রস্তুত থাকো। মনে রাখবা ---
রক্ত যখন দিয়েছি, রক্ত আরও দেবো।
এদেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো, ইনশাল্লাহ।
এবারের সংগ্রাম, আমাদের মুক্তির সংগ্রাম।
এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।
জয় বাংলা !
ঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃ
“আপনারা আমার উপর বিশ্বাস নিশ্চয়ই রাখেন, জীবনে আমার রক্তের
বিনিময়েও আপনাদের সঙ্গে বেইমানি করি নাই। প্রধানমন্ত্রিত্ব দিয়া
আমাকে নিতে পারে নাই। ফাঁসী কাষ্ঠে আসামী দিয়েও আমাকে নিতে
পারে নাই। যে রক্ত দিয়ে আপনারা আমায় ষড়যন্ত্র মামলা থেকে বার
কইরে নিয়ে এসেছিলেন। এই রেসকোর্স ময়দানে আমি বলেছিলাম - আমার
রক্ত দিয়ে আমার রক্তের ঋণ শোধ করবো, মনে আছে? আমি রক্ত
দেবার জন্য প্রস্তুত। আমাদের মিটিং এইখানেই শেষ।
আস্সালামওয়ালেইকুম! জয় বাংলা! "
ভাষণের শেষে নীচের এই অংশটিও কোনো কোনো ভিডিওতে রয়েছে। এটা সম্ভবত অন্য
কোনো পরবর্তী ভাষণ থেকে যুক্ত করা হয়েছে। কারণ মূল ভাষণটি এই ভাবে শেষ করা
হয়নি। ১৯৭১ সালে আমরা যারা এই ভাষণ শুনেছিলাম তাঁদের স্মৃতিতে তা গাঁথা রয়েছে।
তবুও আমরা তুলে দিলাম।
ভারতবর্ষের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান।
দিল্লীর গেটওয়ে অফ ইণ্ডিয়াতে, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হওয়া ভারতীয় সেনার স্মৃতিতে বিগত ৫০ বছর যাবৎ প্রজ্বলিত "অমর জোয়ান জ্যোতী" নামক অনির্বাণ অগ্নিশিখাকে নিভিয়ে দিয়ে, আমাদের ইতিহাস থেকে, মুক্তিযূদ্ধের কালে, ভারত ও বাংলাদেশের মৈত্রী, সহযোগিতা ও ভারতীয় সেনার আত্মবলিদান এবং ইন্দিরা গান্ধীর অবিস্মরণীয় অবদান মুছে ফেলার বর্তমান ভারতের ক্ষমতাসীন সরকারের আপ্রাণ চেষ্টার প্রতিবাদে আমরা এই ছবিটি এখানে তুলে দিলাম।
মোদী সরকার বলছেন যে তাঁরা নাকি ওই অনির্বাণ অগ্নিশিখাটিকে অন্যত্র নিয়ে গিয়ে অন্যান্য সেনাদের সৌধের অগ্নিশিখার সঙ্গে মিলিয়ে দিয়েছেন। যা আমরা হাস্যকর মনে করি।
দুর্ভাগ্যজনকভাবে, সারা ভারত তথা এপার বাংলায়, দেশের শাসকদলের ছড়ানো বিদ্বেষ-বিষে বুঁদ হয়ে থাকা বাংলার নাগরিক সমাজ ও বিরোধী দলগুলি থেকে এই সিদ্ধান্তের কোনো জোরালো প্রতিবাদ চোখে পড়ে নি।
|
|
|
বেআইনী ওরা
ভয়ানক বিস্ফোরক ভেবে
স্বাধীনতা নামক শব্দটি
ভরাট গলায় দীপ্ত উচ্চারণ ক’রে বারবার
তৃপ্তি পেতে চাই। শহরের আনাচে কানাচে
প্রতিটি রাস্তায়
অলিতে গলিতে
রঙিন সাইনবোর্ডে, প্রত্যেক বাড়িতে
স্বাধীনতা নামক শব্দটি
লিখে দিতে চাই
বিশাল অক্ষরে
স্বাধীনতা শব্দ এত প্রিয় যে আমার
কখনো জানি নি আগে। উঁচিয়ে বন্দুক
স্বাধীনতা, বাংলা দেশ---- এই মতো শব্দ থেকে ওরা
আমাকে বিচ্ছিন্ন ক’রে রাখছে সর্বদা।
অথচ জানে না ওরা কেউ
গাছের পাতায়, ফুটপাতে
পাখির পালকে কিংবা নারীর দু-চোখে
পথের ধুলোয়,
বস্তির দুরন্ত ছেলেটার
হাতের মুঠোয়
সর্বদাই দেখি জ্বলে স্বাধীনতা নামক শব্দটি।
কাক শামসুর রাহমান (মজলুম আদীব) ২৪.১০.১৯২৮ - ১৭.৮.২০০৬। রচনা ২১.৭.১৯৭১। কবির “বন্দী শিবির থেকে” কাব্য
সংকলনের কবিতা। কবিতাটি প্রথম প্রকাশিত হয় কবির স্বনামের পরিবর্তে মজলুম আদীব ছদ্মনামে, "বন্দী শিবির থেকে"
শিরোনামের অপর একটি কবিতার সঙ্গে, অশোককুমার সরকার ও সাগরময় ঘোষ সম্পাদিত দেশ পত্রিকার ২রা পৌষ ১৩৭৮
সংখ্যায় (১৬ই ডিসেম্বর ১৯৭১)।
"দেশ" পত্রিকার সেই সংখ্যায় কবিতার পাতায় সম্পাদক লিখেছিলেন --- "কবিতাগুলি আশুপ্রকাশিতব্য একটি কাব্যসংকলনের অক্তভুক্ত। সংকলন গ্রন্থটি
গত আট মাসকাল যাবৎ পাকিস্তানী সামরিক যন্ত্রের অকথ্য নিষ্পেষণের মধ্যে রচিত। কোথাও খোলাখুলি কোথাও আভাসে ইঙ্গিতে এমন ক্রোধ-ধিক্কার
বিক্ষোভ বেদনা ব্যক্ত হযেছে যে লেখকের স্বনামে প্রাকশ করে বাংলাদেশে বেঁচে থাকা সম্ভব ছিল না। মজলুম আদীব অর্থাৎ নির্যাতিত লেখক যাঁর ছদ্মনাম
তিনি বাংলা দেশের একজন স্বনামধন্য কবি, এখনো স্বদেশেই আছেন। পাণ্ডুলিপি মুক্তিফৌজের এক তরুণ ছাত্রের হাতে পাঠিয়েছেন কলকাতায় ---
সম্পাদক"
পরের ৯ই পৌষ ১৩৭৮ সংখ্যায় (২৩শে ডিসেম্বর ১৯৭১) এই কবির "পথের কুকুর" ও "প্রতিশ্রুতি" নামক দুটি কবিতার পাতায় লেখা ছিল --- "গত সপ্তাহে
মজলুম আদীব এই ছদ্মনামে দুটি কবিতা প্রকাশিত হয়েছিল, তার কারণ তখনও তিনি হানাদার দখলীকৃত বাংলাদেশের ভেতর থেকেই তাঁর কবিতা লিখে
পাঠিয়েছিলেন। আজ আর সে দিন নেই বলে তিনি এ সংখায় স্বনামে কবিতা লিখেছেন। মজলুম আদীবই বাংলাদেশের প্রখ্যাত কবি শামসুর রাহমান।---
সম্পাদক"
এই পাতার পশ্চাৎপটের ছবিটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের কিছু বিখ্যাত ছবির কৃষ্ণকায় করা কোলাজ! রয়েছে বাংলাদেশের বীর নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা সৈনিকদের ছবির পাশে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ আত্মবলিদানের কথা কখনোই ভুলবার নয়। এই পাতার গান কবিতা ও তথ্য, কবি-গণসঙ্গীতকার রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ সংগ্রহ।
|
|
|
গ্রাম্যপথে পদচিহ্ন নেই, গোঠে গরু
নেই কোনো, রাখাল উধাও, রুক্ষ সরু
আল খাঁ খাঁ, পথপার্শ্বে বৃক্ষেরা নির্বাক।
নগ্ন রৌদ্র চতুর্দিকে, স্পন্দমান কাক, শুধু কাক।
মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে সংকলক, কবি গণসঙ্গীতকার রাজেশ দত্তর কী সম্পর্ক?
|
মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে মিলনসাগর.কম এর পরিচালক মিলন সেনগুপ্তর কী সম্পর্ক?
|
মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে সংকলক, কবি গণসঙ্গীতকার রাজেশ দত্তর কী সম্পর্ক?
|
মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে মিলনসাগর.কম এর পরিচালক মিলন সেনগুপ্তর কী সম্পর্ক?
|
এ যে নির্ভয় দুর্জয় গণসংগ্রাম আমরণ ---
মুজিবর, মুজিবর।
এ যে লাঞ্ছিত নিপীড়িত গণসত্তার জাগরণ ---
মুজিবর, মুজিবর।
এ যে নির্ভয় দুর্জয় গণসংগ্রাম আমরণ ---
মুজিবর, মুজিবর।
এ যে সূর্যের দীপ্তিতে ভাস্বর,
এ যে আত্মার মতো অবিনশ্বর
এ যে সূর্যের দীপ্তিতে ভাস্বর,
এ যে আত্মার মতো অবিনশ্বর
তোলে হুংকার জয় বাংলার ---
জয় বাংলা, জয় বাংলা।
তোলে হুংকার জয় বাংলার নগর গ্রাম ---
মুজিবর, মুজিবর।
সাড়ে সাত কোটি মানুষের আজ একটি নাম ---
মুজিবর, মুজিবর, মুজিবর।
সাড়ে সাত কোটি প্রশ্নের জবাব পেয়ে গেলাম ---
মুজিবর, মুজিবর, মুজিবর।
সাড়ে সাত কোটি মানুষের আজ একটি নাম ---
মুজিবর, মুজিবর, মুজিবর।
সাড়ে সাত কোটি প্রশ্নের জবাব পেয়ে গেলাম ---
জয় বাংলা, জয় মুজিবর, জয় বাংলা,
জয় মুজিবর, জয় বাংলা॥