.
.
মুক্তিযুদ্ধের গান ও কবিতার দেয়ালিকা
এই পাতাটি পাশাপাশি, ডাইনে-বামে ও কবিতাগুলি উপর-নীচ স্ক্রল করে!
This page scrolls sideways < Left - Right >. Poems scroll ^ Up - Down v.
এই পাতার পশ্চাৎপটের ছবিটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের কিছু বিখ্যাত ছবির কৃষ্ণকায় করা
কোলাজ! রয়েছে বাংলাদেশের বীর নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা সৈনিকদের ছবির পাশে ভারতীয়
সেনাবাহিনীর ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ আত্মবলিদানের কথা কখনোই ভুলবার নয়। এই পাতার গান
কবিতা ও তথ্য,
কবি-গণসঙ্গীতকার রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ সংগ্রহ।
HOME
বাংলা প্রথম পাতা। HOME BANGLA
<<<দেয়ালিকার সূচীতে যেতে
এই পাতার
পশ্চাৎপটের ছবিটি
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের
কিছু বিখ্যাত ছবির
কৃষ্ণকায় করা কোলাজ!
রয়েছে বাংলাদেশের বীর
নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা
সৈনিকদের ছবির পাশে
ভারতীয় সেনাবাহিনীর
ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ
আত্মবলিদানের কথা
কখনোই ভুলবার নয়।
এই পাতার গান কবিতা ও
তথ্য,
কবি-গণসঙ্গীতকার
রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ
সংগ্রহ।
HOME
বাংলা প্রথম পাতা। HOME BANGLA
ভালোই করেছ তোমরা এমনি করে
আমাদের ভয় দেখিয়ে নেহাত
বন্ধুর কাজ করেছ।
তোমরা ভয় না দেখালে
আমাদের ভয় ভাঙত কেমন করে?

ভালোই করেছ তোমরা এমনি করে
আগুন জ্বালিয়ে ভালোই করেছ।
তোমরা আগুন না দিলে
আমরা রাগে ও ঘৃণায়
জ্বলে উঠতাম কখনো এমন করে?

ভালোই করেছ তোমরা এমনি করে
আমাদের মেরে পথ দেখিয়েছ।
তোমরা যদি না মারতে
আমরা এমন সহজে
মৃত্যুকে পার হতাম কেমন করে?
কবি আবুল হোসেন
ভালোই করেছ  কবি আবুল হোসেন। আবুল হাসনাত সম্পাদিত
২০০০ সালে প্রকাশিত, মুক্তিযুদ্ধের কবিতা সংকলন থেকে।
.
এপার বাংলার কলকাতায়, ভারতমাতার অন্যতম
শ্রেষ্ঠ সন্তান নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর
মূর্তির
সামনে, ভারতবর্ষের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতী
ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান।

দিল্লীর গেটওয়ে অফ ইণ্ডিয়াতে, বাংলাদেশের
মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হওয়া ভারতীয় সেনার স্মৃতিতে
বিগত ৫০ বছর যাবৎ প্রজ্বলিত "অমর জওয়ান
জ্যোতি" নামক অনির্বাণ অগ্নিশিখাকে নিভিয়ে
দিয়ে, আমাদের ইতিহাস থেকে, মুক্তিযূদ্ধের কালে,
ভারত ও বাংলাদেশের মৈত্রী, সহযোগিতা ও
ভারতীয় সেনার আত্মবলিদান এবং ইন্দিরা গান্ধীর
অবিস্মরণীয় অবদান মুছে ফেলার বর্তমান
ভারতের ক্ষমতাসীন সরকারের আপ্রাণ চেষ্টার
প্রতিবাদে আমরা এই ছবিটি এখানে তুলে দিলাম।

মোদী সরকার বলছেন যে তাঁরা নাকি
ওই অনির্বাণ অগ্নিশিখাটিকে অন্যত্র নিয়ে গিয়ে
অন্যান্য সেনাদের সৌধের অগ্নিশিখার সঙ্গে মিলিয়ে
দিয়েছেন। যা আমরা হাস্যকর মনে করি।

দুর্ভাগ্যজনকভাবে, সারা ভারত তথা এপার
বাংলায়, দেশের শাসকদলের ছড়ানো বিদ্বেষ-বিষে
বুঁদ হয়ে থাকা নাগরিক সমাজ ও বিরোধী দলগুলি
থেকে এই সিদ্ধান্তের কোনো জোরালো প্রতিবাদ
চোখে পড়ে নি।
 
মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে সংকলক, কবি গণসঙ্গীতকার রাজেশ দত্তর কী সম্পর্ক?
মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে মিলনসাগর.কম এর পরিচালক মিলন সেনগুপ্তর কী সম্পর্ক?
<<<দেয়ালিকার সূচীতে যেতে
এই পাতার
পশ্চাৎপটের ছবিটি
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের
কিছু বিখ্যাত ছবির
কৃষ্ণকায় করা কোলাজ!
রয়েছে বাংলাদেশের বীর
নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা
সৈনিকদের ছবির পাশে
ভারতীয় সেনাবাহিনীর
ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ
আত্মবলিদানের কথা
কখনোই ভুলবার নয়।
এই পাতার গান কবিতা ও
তথ্য,
কবি-গণসঙ্গীতকার
রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ
সংগ্রহ।
HOME
বাংলা প্রথম পাতা। HOME BANGLA
বুদোয়ার ঝোড়ো হাওয়া দিনরাত্রি উচ্ছল,
গ্রীষ্মে পিচ গলে ; অকস্মাৎ বর্ষা নামে।
তারপর শরৎ, মহৎ নীল আকাশ অখন্ড প্রতীক্ষায় স্তব্ধ।
ধানক্ষেতে হেমন্তের ঈষৎ-বিষণ্ণ হাত, দূর গ্রামে কুয়াশা।
বাঙলার ঘরে ঘরে গুপ্তচর এ জিজ্ঞাসা ;
এত সবুজ বাসা ! ভিটে ভাঙার পালা কি এল এবার?

তোমার পাখি এসে ডাকে
আমার বাগানে,
সূর্য ওঠে, হলুদ আলো সবুজ ধানে----
কিন্তু দুর্দিন এল,  কী দুর্দিন এল।
মেঘে মেঘে অন্ধকার, ঝড়বৃষ্টি, বিদ্যুৎহুঙ্কার.
এ কী আকাশ,
ভয়াল ভবিতব্যতায় ঘোর আকাশের
শাক্ত গোধূলিতে
ভয়ঙ্কর মন্দিরে দিগম্বরী কালী,
শবাসনে তান্ত্রিকেরা স্তব্ধ,
দিনের ভাগাড়ে নামে রাত্রের শকুন।

নষ্টনীড় পাখি কাঁদে আমাদের গ্রামে
রক্তমাখা হাড় দেখি সাজানো বাগানে।
কবি সমর সেন
মিলনসাগরে কবির পাতা . . .   
নষ্টনীড়  কবি সমর সেন (১০.১০.১৯১৬ - ২৩.৮.১৯৮৭) ।
.
<<<দেয়ালিকার সূচীতে যেতে
এই পাতার
পশ্চাৎপটের ছবিটি
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের
কিছু বিখ্যাত ছবির
কৃষ্ণকায় করা কোলাজ!
রয়েছে বাংলাদেশের বীর
নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা
সৈনিকদের ছবির পাশে
ভারতীয় সেনাবাহিনীর
ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ
আত্মবলিদানের কথা
কখনোই ভুলবার নয়।
এই পাতার গান কবিতা ও
তথ্য,
কবি-গণসঙ্গীতকার
রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ
সংগ্রহ।
HOME
বাংলা প্রথম পাতা। HOME BANGLA
ও আমার বাংলা মাগো
দেখি তোমায় নয়ন ভরে

তোমার ছলো ছলো নদীর জলে
প্রাণ জুড়ানো সুধা ধরে---
ওমা তোমার বটের ছায়ায়
শ্যামল বনের কোমল মায়ায়,
মধুর স্নেহের আঁচলখানি বিছিয়ে দিলে
সবার তরে---

অন্নপূর্ণা রূপ দেখ মা
ভিখারী শিব দাঁড়ায় আসি,
কাজলা মেয়ের শঙ্খরবে
ডাক শুনেছে বিশ্ববাসী।

তোমার সোনার ধানের ক্ষেতে
দিলে সবার আসন পেতে,
ছড়িয়ে দিলে অরুণ রাগে---
তরুণ রবির করুণ হাসি।
কবি নারায়ণ
গঙ্গোপাধ্যায়
মিলনসাগরে কবির পাতা . . .   
ও আমার বাংলা মা গো  কবি নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় (২৭.১.১৯১৭ - ৮.১১.১৯৭০)। গানটি হেমন্ত
মুখোপাধ্যায়ের কণ্ঠে শুনুন, ভিডিওটি সৌজন্যে
Bengali Movies- Angel Digital YouTube Channel । ১৯৫৪ সালে প্রকাশিত,
পিনাকী মুখোপাধ্যায় নির্দেশিত, সুচিত্রা সেন, মালা সিনহা, ছবি বিশ্বাস, পাহাড়ী সান্যাল, অনিল চট্টোপাধ্যায়, নীতিশ
মুখোপাধ্যায়, বিকাশ রায় অভিনীত  “ঢুলী” সিনেমার এই গানটি ৭১-এর মুক্তিযুদ্ধে পুনরায় জনপ্রিয় হয়েছিল।
.
সাঁধ সকালে নদীর ঘাটে
কলস ভরে তোমার বধু
কান্না হাসির ফোটায় কমল---
ছড়ায় তাতে প্রেমের মধু।

আমার (সুখে) আমার দুখে
দেখি তোমায় আমার বুকে (মা)
আমার জনম-মরণ তোমার কোলে (মা গো)
(এই) শিউলি ঝরা মাটির পরে মা---
বর্ণমালা, আমার দুঃখিনী বর্ণমালা  কবি শামসুর রাহমান (২৪.১০.১৯২৮ - ১৭.৮.২০০৬)। আবৃত্তি শুনুন বাচিকশিল্পী
শিমূল মুস্তাফার কণ্ঠে, ভিডিওটি সৌজন্যে  
Shimul Mustafa - Topic YouTube Channel । কবির “নিজ বাসভূমে” কাব্য সংকলনের কবিতা।
আমরা পেয়েছি দেজ থেকে ২০০৫ সালে প্রকাশিত (প্রথম প্রকাশ ১৯৮৫) “শামসুর রাহমানের শ্রেষ্ঠ কবিতা” সংকলন থেকে।
HOME
<<<দেয়ালিকার সূচীতে যেতে
বাংলা প্রথম পাতা। HOME BANGLA
এই পাতার
পশ্চাৎপটের ছবিটি
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের
কিছু বিখ্যাত ছবির
কৃষ্ণকায় করা কোলাজ!
রয়েছে বাংলাদেশের বীর
নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা
সৈনিকদের ছবির পাশে
ভারতীয় সেনাবাহিনীর
ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ
আত্মবলিদানের কথা
কখনোই ভুলবার নয়।
এই পাতার গান কবিতা ও
তথ্য,
কবি-গণসঙ্গীতকার
রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ
সংগ্রহ।
কবি শামসুর রাহমান
মিলনসাগরে কবির পাতা . . .   
HOME
নক্ষত্রপুঞ্জের মতো জলজ্বলে পতাকা উড়িয়ে আছো আমার সত্তায়।
মমতা নামের প্রুত  প্রদেশের শ্যামলিমা তোমাকে নিবিড়
ঘিরে রয় সর্বদাই। কালো রাত পোহানোর পরের প্রহরে
শিউলিশৈশবে 'পাখী সব করে রব' ব'লে মদনমোহন
তর্কালঙ্কার কী ধীরোদাত্ত স্বরে প্রত্যহ দিতেন ডাক। তুমি আর আমি,
অবিচ্ছিন্ন পরস্পর মমতায় লীন,
ঘুরেছি কাননে তাঁ নেচে নেচে, যেখানে কুসুম-কলি সবই
ফোটে, জোটে অলি ঋতুর সংকেতে।

আজন্ম আমার সাথী তুমি,
আমাকে স্বপ্নের সেতু দিয়েছিলে গ'ড়ে পলে পলে,
তাইতো ত্রিলোক আজ সুনন্দ জাহাজ হয়ে ভেড়ে
আমারই বন্দরে।

গলিত কাচের মতো জলে ফাত্না দেখে দেখে রঙিন মাছের
আশায় চিকন ছিপ ধরে গেছে বেলা। মনে পড়ে কাঁচি দিয়ে
নক্সা কাটা কাগজ এবং বোতলের ছিপি ফেলে
সেই কবে আমি হাসিখুশির খেয়া বেয়ে
পৌঁছে গেছি রত্নদীপে কম্পাস বিহনে।

তুমি আসো আমার ঘুমের বাগানেও
সে কোন্ বিশাল
বাংলা প্রথম পাতা। HOME BANGLA
গাছের কোটর থেকে লাফাতে লাফাতে নেমে আসো,
আসো কাঠবিড়ালির রূপে,
ফুল্ল মেঘমালা থেকে চকিতে ঝাঁপিয়ে পড়ো ঐরাবত সেজে,
সুদূর পাঠশালার একান্নটি সতত সবুজ
মুখের মতোই দুলে দুলে ওঠো তুমি
বার বার কিম্বা টুকটুকে লঙ্কা ঠোঁট টিয়ে হ'য়ে
কেমন দুলিয়ে দাও স্বপ্নময়তায় চৈতন্যের দাঁড়।
ঘন বর্ষা, ঝড়ে ঝড়ে বিপর্যস্ত বাংলার আকাশ
ঘর ভাঙে, ভাঙে সেতু হাট ঘাট ভেঙে পড়ে
উল্টা পাল্টা ঝড়ের ধাক্কায়
আকাশ উন্মাদ হয়ে গর্জে রাত্রিদিন
ঘন ঘন বাজ পড়ে অদূরে সুদূরে।
এমন দুর্যোগে কেউ বাইরে কি থাকে?
ভাবছেন মা আমার শঙ্কিত দুরু দুরু বুকে
খোদা তাকে রক্ষা করো
জোড়াখাসি কোরবানী তোমার দরগায়।
গভীর শীতল রাত
চোখ দুটি বিনিদ্র পথিক
স্মৃতির সড়কে তিনি হেঁটে যান দেখেন দু’পাশে
সারি সারি চিত্রগুলি সাজানো সবাক
ফুটফুটে আতাউর কোলে তাঁর বোশেখের শেষে
আতাউর ধুলোকাদা নিয়ে আজও খেলছে আঙিনায়
মাছ ধরছে নয়ানজুলির জলে, ছুটছে মাঠে মাছে
সেলেট পেন্সিল আর বই নিয়ে যাচ্ছে পাঠশালায়,
কখন বা দেখছেন, আতাউর জ্বরের ঘোরে বকছে প্রলাপ
পড়ছে বহু রাত জেগে পরীক্ষার দিনে
কখনো বা দেখছেন ছেলে তাঁর পলাতক
কোন এক বিষাদের ভয়ে।
আমার এ অক্ষিগোলকের মধ্যে তুমি আঁখিতারা।
যুদ্ধের আগুণে,
মারীর তাণ্ডবে,
প্রবল বর্ষায়
কি অনাবৃষ্টিতে,
বারবনিতার
নূপুর নিক্কনে
বনিতার শান্ত
বাহুর বন্ধনে,
ঘৃণায় ধিক্কারে,
নৈরাজ্যের এলো-
ধাবাড়ি চিত্কারে,
সৃষ্টির ফাল্গুনে

হে আমার আঁখিতারা তুমি উন্মিলিত সর্বক্ষণজাগরণে।

তোমাকে উপড়ে নিলে, বলো তবে, কী থাকে আমার?
উনিশ শো' বাহন্নোর দারুণ রক্তিম পুষ্পাঞ্জলি
বুকে নিয়ে আছো সগৌরবে মহীয়সী।
সে ফুলের একটি পাপড়িও ছিন্ন হ'লে আমার সত্তার দিকে
কতো নোংরা হাতের হিংশ্রতা ধেয়ে আসে।
এখন তোমাকে নিয়ে খেঙরার নোংরামি,
এখন তোমাকে ঘিরে খিস্তি-খেউড়ের পৌষমাস !
তোমার মুখের দিকে আজ আর যায় না তাকানো,
বর্ণমালা, আমার দুঃখিনী বর্ণমালা।
কবি আতাউর
রহমান
.
মা  কবি আতাউর রহমান। কবিতার কথা সৌজন্যে Ataur Rahaman আতাউর রহমান Facebook Channel
<<<দেয়ালিকার সূচীতে যেতে
.
এই পাতার
পশ্চাৎপটের ছবিটি
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের
কিছু বিখ্যাত ছবির
কৃষ্ণকায় করা কোলাজ!
রয়েছে বাংলাদেশের বীর
নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা
সৈনিকদের ছবির পাশে
ভারতীয় সেনাবাহিনীর
ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ
আত্মবলিদানের কথা
কখনোই ভুলবার নয়।
এই পাতার গান কবিতা ও
তথ্য,
কবি-গণসঙ্গীতকার
রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ
সংগ্রহ।
আতাউর আশৈশবে শান্ত সুশীতল
রাত দিন বই পুঁথি ঘাঁটে আর কি যেন সে ভাবে
সবার ভেতরে আছে, নেই তবু কোন কিছুতেই
আমার পেটের ছেলে আমা থেকে দূরে চলে গেছে।
রাত্রি ভোর হয়
আজানের শব্দে তিনি আল্লা রসুলের নামে
ছাড়েন বিছানা,
নামাজের অন্তে ওঠে করুণ প্রার্থনা
আল্লা, তুমি, রহমান রহিম
দয়া কর, দয়া কর
ফিরে দাও ছেলেকে আমার।

এ বছর আতাউর খেতে পেলনাকো আম জাম
গাছের তলায় গেলে মনে পড়ে তার
কোথায় কিভাবে আছে জানেন খোদা-ই।
পেটের অসুখ মাথাঘোর
সর্দি-কাছি জ্বর,
আরও কত অসুবিধা আছে শারীরিক,
স্বাস্থ্যটা তো ভালো নয়, ...........
দুপুর গড়িয়ে যায় আতাউর খেয়েছে কি ভাত?
কোথাপাবে সরু চাল ; ছোট্ট মাছের ঝোল, আধাসেদ্ধ ডিম?
খাচ্ছে কি খাচ্ছেনা, আল্লা-ই জানেন।
বউমা, কেঁদোনা কেঁদোনা।
আল্লা আছে, ফিরে আসবে ও।
চিঠি লিখো, আসতে বলো তাকে।
সকাল বিকাল মা কাটান পথ চেয়ে চেয়ে
পুব থেকে পশ্চিম বার বার দৃষ্টি চলে তাঁর
উত্তর দক্ষিণের পথ বার বার ঘোড়াফেরা করে উদ্বেগে
“কই, তাকে দেখা যায় না তো?”
চোখ দুটো ঘষে নেন মা আমার আঁচলের খুঁটে
হয়তো চোখের দোষে দেখা যায় নাকো।

আতাউর আতাউর ফিরে আয় ফিরে আয় বাবা,
দুয়ারে ঘাতক দস্যু-- দেশের দুশমন।

ঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃ
ছবি  কবি আবু হেনা মোস্তফা কামাল। আবৃত্তি শুনুন বাচিকশিল্পী শিমূল মুস্তাফার কণ্ঠে, ভিডিওটি এবং কবিতার কথা, সৌজন্যে  
Shimul Mustapha Official YouTube Channel
HOME
বাংলা প্রথম পাতা। HOME BANGLA
কবি আবু হেনা
মোস্তফা কামাল
আপনাদের সবার জন্যে এই উদার আমন্ত্রণ
ছবির মতো এই দেশে একবার বেড়িয়ে যান।
অবশ্য উল্লেখযোগ্য তেমন কোনো মনোহারী স্পট আমাদের নেই,
কিন্তু তাতে কিছু আসে যায় না− আপনার স্ফীত সঞ্চয় থেকে
উপচে-পড়া ডলার মার্ক কিংবা স্টার্লিংয়ের বিনিময়ে যা পাবেন
ডাল্লাস অথবা মেম্ফিস অথবা কালিফোর্নিয়া তার তুলনায় শিশুতোষ!
আসুন, ছবির মতো এই দেশে বেড়িয়ে যান
রঙের এমন ব্যবহার, বিষয়ের এমন তীব্রতা
আপনি কোনো শিল্পীর কাজে পাবেন না, বস্তুত শিল্প মানেই নকল নয় কি?
অথচ দেখুন, এই বিশাল ছবির জন্যে ব্যবহৃত সব উপকরণ
অকৃত্রিম;
আপনাকে আরও খুলে বলি : এটা, অর্থাৎ আমাদের এই দেশ,
এবং আমি যার পর্যটন দফতরের অন্যতম প্রধান, আপনাদের খুলেই বলি,
সম্পূর্ণ নতুন একটি ছবির মতো করে
সম্প্রতি সাজানো হয়েছে :
খাঁটি আর্যবংশ সম্ভূত শিল্পীর কঠোর তত্ত্বাবধানে ত্রিশ লক্ষ কারিগর
দীর্ঘ ন’টি মাস দিনরাত পরিশ্রম করে বানিয়েছেন এই ছবি।
এখনো অনেক জায়গায় রং কাঁচা− কিন্তু কী আশ্চর্য গাঢ় দেখেছেন?
ভ্যান গগ্−যিনি আকাশ থেকে নীল আর শস্য থেকে সোনালি তুলে এনে
ব্যবহার করতেন− কখনো, শপথ করে বলতে পারি,
এমন গাঢ়তা দ্যাখেন নি :
আর দেখুন, এই যে নরমুণ্ডের ক্রমাগত ব্যবহার− ওর ভেতরেও
একটা গভীর সাজেশান আছে- আসলে ওটাই এই ছবির− অর্থাৎ
এই ছবির মতো দেশের− থিম!
.
<<<দেয়ালিকার সূচীতে যেতে
এই পাতার
পশ্চাৎপটের ছবিটি
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের
কিছু বিখ্যাত ছবির
কৃষ্ণকায় করা কোলাজ!
রয়েছে বাংলাদেশের বীর
নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা
সৈনিকদের ছবির পাশে
ভারতীয় সেনাবাহিনীর
ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ
আত্মবলিদানের কথা
কখনোই ভুলবার নয়।
এই পাতার গান কবিতা ও
তথ্য,
কবি-গণসঙ্গীতকার
রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ
সংগ্রহ।
যুদ্ধভাসান  কবি মাহবুব সাদিক। আবৃত্তি শুনুন বাচিকশিল্পী এমরান হাসান এর কণ্ঠে, ভিডিওটি সৌজন্যে  Emran
Hasan YouTube Channel । কবিতাটি শুনে লেখা। অনিচ্ছাকৃত ভুল-ভ্রান্তি মার্জনা করবেন।
HOME
বাংলা প্রথম পাতা। HOME BANGLA
কবি মাহবুব সাদিক
যেখানেই যাই সখীপুর সঙ্গে সঙ্গে থাকে
স্বপ্ন চৈতন্যের মাঝামাঝি সখীপুর
মধ্যবর্তী দূরত্বকে স্থানচ্যুত করেছিলো
কালো যুদ্ধ রাত
খুব বেশী দূরে নয় সখীপুর
শহরের থেকে দূরে সভ্যতা থেকে দূরে নয়
তরমুজের মতো সবুজ মোড়ানো ঐ শান্ত বনভূমি
কবিতার বাইরে কেউ কোথাও দেখে নি
ওতে আজ খোসার মতো
মিহিরোদের পর্দায় ঢাকা বনশোভা
প্রতিফলনের মতো আভারও ভিতরে ছিলো
আমি নিঃশর্ত ভালোবাসায় সখীপুর গেছি
তবু সে বড় ভয়ঙ্কর ভালোবাসা
সেখানে সেই তীব্র ভয়ঙ্করের বুকে
বাঙালীর সবুজের প্রেমেই আমি নিজেই ছাপ দিয়েছি
খুব বেশী দূরে নয় সখীপুর
শহর ছাড়লে গ্রাম তারপর গ্রাম
তারপর পাহাড়ের জানু ছুঁয়েই
লাঙলের মতো বাঁকানো দ্বীপ
তারপর সবুজ যুদ্ধভূমি সখীপুর
সেখানে এখনো আমার প্রাণের সই
আকাশ ভরা জ্যোত্স্নার নীচে
সোনালী খড়-গাদায় রূপালী আগুন জ্বেলে ছেঁক দেয়
<<<দেয়ালিকার সূচীতে যেতে
এই পাতার
পশ্চাৎপটের ছবিটি
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের
কিছু বিখ্যাত ছবির
কৃষ্ণকায় করা কোলাজ!
রয়েছে বাংলাদেশের বীর
নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা
সৈনিকদের ছবির পাশে
ভারতীয় সেনাবাহিনীর
ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ
আত্মবলিদানের কথা
কখনোই ভুলবার নয়।
এই পাতার গান কবিতা ও
তথ্য,
কবি-গণসঙ্গীতকার
রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ
সংগ্রহ।
গুলিবিদ্ধ কিশোরের বুক
সে কখনো বাঙ্কারে লুকোয় নি
নিথর দীঘির পাড়ে ঘাসপোকার গুঞ্জন থামিয়ে
সে যুদ্ধ করেছে
সেখানে এখনও আমার জমজ ভাই
স্বপ্ন থেকে বহু দূরে
ছিন্ন শরীর নিয়ে একা শুয়ে আছে
বাঙালী বিদ্বেষ ভরা একাত্তরের মার্চ
আগুন আর উত্তাপে ভরা মার্চ
এক দারুণ বসন্ত
চৌখুপি কাটা দাবার ছকের মতো
ছড়ানো ছিটানো ঝরা পাতা
হুটোপুটি করে আমাকে ডাক দিয়েছিলো সখীপুরে
খুব অবান্তর বসন্ত সেটা
যেন রক্ত ঝরানোর জন্য তৈরী
যেন কোনো বিমর্ষ দানবের গড়া ও অপজাত
ভর করেছিলো সবুজ সোনার দেশে
গারো রমণীর ভালোবাসার গরিমা
তারা ভেঙে দিয়েছিলো
নকুল বীলের ঢেউ ধুয়ে দিয়েছিলো
অবিশ্রান্ত হাতেমের গুলিবিদ্ধ পিঠ
আমি সেই দৃশ্যের কাছে নতজানু সখীপুরে গেছি
আমি সেই দৃশ্যের কাছে নতজানু সখীপুরে গেছি
আমি সপ্তদশী সৈভার ভাঙা স্বপ্নের কাছে
দায়বদ্ধ সখীপুরে গেছি
ইলিশ হাতে হাট-ফেরা আসিরুদ্দির ছিন্ন-ভিন্ন লাশ
আমার চৈতন্যব্যাপি পড়ে থাকে
আমি তার কাছে অঙ্গিকৃত সখীপুরে গেছি
অগ্নিদগ্ধ কুঁড়েঘর আর পোড়া থামে ঠেঁস দেওয়া
বালকের অতলান্ত দুঃখী মুখ
আমাকে সখীপুরে নিয়ে গেছে
সেখানে ক্যাম্পে মাথায় ব্যাণ্ডেজ পরে
কিশোর কুদ্দুস যখন সটান দাঁড়ালো
তাঁর উঁচু মাথা বেজন্মা পাঞ্জাবীদেরও
ছাড়িয়ে গিয়েছিলো
তাঁর সুদূর চোখে জ্বলছিলো বাংলাদেশ
কী করে ভুলবো তাঁকে?
যেখানেই যাই
সখীপুর সঙ্গে সঙ্গে থাকে
সঙ্গে সঙ্গে থাকে
.
আমি কি আমার স্বাধীনতা পাবো  কবি ওমর আলী। আবৃত্তি শুনুন অজ্ঞাত বাচিক শিল্পীর
কণ্ঠে, ভিডিওটি সৌজন্যে  
কাব্যকথার গল্প  Kabbokotha's Story YouTube Channel  । কবিতাটি শুনে লেখা।
অনিচ্ছাকৃত ভুল-ত্রুটি মার্জনা করবেন।
HOME
বাংলা প্রথম পাতা। HOME BANGLA
কবি ওমর আলী
মনে হয়েছিলো আর কোনোদিন
বাড়ী ফিরে আসতে পারবো না
দেউড়িতে প্রহরী ওই কাঁঠাল গাছের নীচে
বাড়ীর পেছনে পুকুর পাড়ে
আমার হাতের স্পর্শে
আর খুলবে না সোনা
লালন রবীন্দ্রনাথ নজরুলের সুর
বেজে উঠবে না মনে
বেগুন, আলু ও ছিম
মাছের গরম ঝোল মাখা সাদা ভাত
মুসুর কলাই ডাল কাঁচা মরিচের স্বাদে
রান্নার সুস্বাদ আবার নিশ্চিন্ত মনে
মুখে তুলে দিবে কি আমার ডান হাত?
আমি কি আমার স্বাধীনতা পাবো?
কোনোদিন খাটি উনি খাক্
মনে হয়েছিলো
আমার ঠোঁটের সামনে ফুল ফুটবে না
সাদা দুদিনের চাঁদ জুঁই বেলী মল্লিকা ধূতরা
কোনোদিন আমার পায়ের নীচে
সে প্রিয় পথ হাঁটবে না চির চেনা
<<<দেয়ালিকার সূচীতে যেতে
এই পাতার
পশ্চাৎপটের ছবিটি
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের
কিছু বিখ্যাত ছবির
কৃষ্ণকায় করা কোলাজ!
রয়েছে বাংলাদেশের বীর
নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা
সৈনিকদের ছবির পাশে
ভারতীয় সেনাবাহিনীর
ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ
আত্মবলিদানের কথা
কখনোই ভুলবার নয়।
এই পাতার গান কবিতা ও
তথ্য,
কবি-গণসঙ্গীতকার
রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ
সংগ্রহ।
গ্রীষ্মের মাঠের মধ্যে আর কি ডাকবে
সে বিটপী প্রাচীন?
আমার শহর গ্রাম মনে হয়েছিলো
ছেড়ে যাচ্ছি শেষ বার
দিনের আলো তে ভয় আর রাতে
ভুতুরে ভয়াল অন্ধকার
.
দুঃস্বপ্ন  কবি ওমর আলী। কবিতার কথা সৌজন্যে  কাব্যকথার গল্প  
https://www.prothomalo.com/  ।
HOME
বাংলা প্রথম পাতা। HOME BANGLA
কবি ওমর আলী
এখন ঘুমের মধ্যে মুখ দিয়ে কথা বের হয় না
ভয়ে গোঙাতে থাকি আঁ আঁ করে;
মনে হয়, ঊর্ধ্বশ্বাসে দৌড়াচ্ছি
আমাকে ধরতে আসছে বন্দুকধারীরা,
চিৎকার করতে যাই অ্যাপাচি অ্যাপাচি
কিন্তু কথা বের হয় না মুখ দিয়ে
শুধু গোঙাতে থাকি আঁ আঁ করে
হুইটজার কামান থেকে গোলা ছুড়ছে খুনিরা
বর্ডারের ওপার থেকে জবাব দিচ্ছে প্রতিপক্ষ,
ঊর্ধ্বশ্বাসে যেদিকে পারি দৌড়াচ্ছি—
আরও লোক আরও নরনারী প্রাণ নিয়ে;
হঠাৎ দেখি বিশাল শরীরের দুটো লাশ কুকুরে খাচ্ছে
মনে হলো, বিদেশি সৈন্য
তাদের হাড় মড় মড় করে চিবোচ্ছে কুকুর
ভেড়ামারা কলেজের উত্তর দিকে প্রস্রাবখানার দেয়াল
রাইফেলের গুলিতে ছিদ্র হয়ে আছে
যেমন দেখেছিলাম পাবনা জনতা ব্যাংকের...
নারকীয় পাবনা শহর...লাশ আর ছড়ানো ছিটানো
ট্রেসার লাইটে
ইউনিফর্ম পরা লাশগুলো ভেসে যাচ্ছে পদ্মা নদীর স্রোতে
দক্ষিণ দিকে...
<<<দেয়ালিকার সূচীতে যেতে
এই পাতার
পশ্চাৎপটের ছবিটি
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের
কিছু বিখ্যাত ছবির
কৃষ্ণকায় করা কোলাজ!
রয়েছে বাংলাদেশের বীর
নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা
সৈনিকদের ছবির পাশে
ভারতীয় সেনাবাহিনীর
ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ
আত্মবলিদানের কথা
কখনোই ভুলবার নয়।
এই পাতার গান কবিতা ও
তথ্য,
কবি-গণসঙ্গীতকার
রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ
সংগ্রহ।
.
জর্নাল ১৯৭১  কবি মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান। আবৃত্তি শুনুন বাচিক শিল্পী নজরুল ইসলাম মনজুর এর কণ্ঠে, ভিডিওটি সৌজন্যে  Nazrul Islam Manzoor
YouTube Channel  । কবিতার কথা সৌজন্যে  বাসাপ বর্ষাবরণ-১৪২৪ Facebook Channel  ।
HOME
বাংলা প্রথম পাতা। HOME BANGLA
কবি মোহাম্মদ
মনিরুজ্জামান
তেইশে মার্চ
আবার বুকের রক্তে বাংলার শ্যামল প্লাবিত,
যেন কোনো সবুজাভা নেই আর, সকল সবুজে
ছোপ ছোপ লাল রক্ত, আর সেই
সবুজের বক্ষদীর্ণ রক্তের গোলকে
সোনার বাংলার ছবি
মুহূর্তে পতাকা হয়ে দোদুল বাতাসে:
হাইকোর্ট, সেক্রেটারিয়েট, বিশ্ববিদ্যালয়, ব্যাংক,
মুদির দোকান,
বাংলার সকল ভবনে, কুঁড়েঘরে,
জনতার হাতে হাতে
সাত কোটি বাঙালির বুকের শোনিত আঁকা
উড্ডীন পতাকা।

কারফিউ, বেয়নেট, বুলেট, মেশিনগান
আর কত রক্ত নেবে বল! সব রক্তধারা
এই বাংলার সবুজ পটে
বিপুল প্রগাঢ় এক লাল বৃত্তে
হয়ে যায়, হয়ে যাচ্ছে যাবে ;
শত নদনদী ধৌত উর্বর শ্যামল বাংলা
ক্রমে ক্রমে প্রতিরোধে জমাট দুর্জয় ;
সাত কোটি ব্যারিকেড
রক্তাক্ত তরুণ সূর্য
দুর্ভেদ্য অজেয়।
<<<দেয়ালিকার সূচীতে যেতে
এই পাতার
পশ্চাৎপটের ছবিটি
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের
কিছু বিখ্যাত ছবির
কৃষ্ণকায় করা কোলাজ!
রয়েছে বাংলাদেশের বীর
নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা
সৈনিকদের ছবির পাশে
ভারতীয় সেনাবাহিনীর
ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ
আত্মবলিদানের কথা
কখনোই ভুলবার নয়।
এই পাতার গান কবিতা ও
তথ্য,
কবি-গণসঙ্গীতকার
রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ
সংগ্রহ।
.
চব্বিশে মার্চ
বাংলার বুকে উদ্যত বেয়নেট
ঘরে ঘরে তাই প্রস্তুত প্রতিরোধ ;
চির দুর্মম সাত কোটি ব্যারিকেড
রক্তের ঋণ রক্তেই হবে শোধ।

দৃঢ়প্রতিজ্ঞা নাড়া দেয় জনতারে ;
জাগে প্রত্যয় প্রতিটি শহরে গ্রামে
সব সংশয় উত্তরণের ডাকে
বাঙালি শোণিত প্রস্তুত সংগ্রামে।

কোনোখানে কেউ বিমর্ষ নয় শোকে
মৃত্যুর ভয়ে বিচলিত কেউ নয়,
জনতার জয় সে কার সাধ্য রোখে
মৃত্যু পেরিয়ে হাসে মৃত্যূঞ্জয়।
ঘাতকের চোখে আড়াল নেই তো কোনো
অত্যাচারীর মুখোশ পড়েছে খুলে ;
শেষ যুদ্ধের বন্ধুরা আজ শোনো,
শাণিত শপথ ঋজু হাতে নাও তুলে।

পঁচিশে মার্চ
অন্ধকার তো ঘোচে না অন্ধকারে
সূর্যপ্রখর দীপ্তির প্রয়োজন
তাই তো মশাল জ্বেলেছি প্রাণের স্বরে
স্লোগানে দীর্ণ কারফিউ তর্জন
ব্যর্থ সকল সন্ত্রাসী গর্জন
কাঁপায় না আর জনতার চিত্তকে
করবেই জানি শোষিতেরা অর্জন
মুক্তিপ্রতিম রক্তিম বৃত্তকে
আস্ফালকের পালাতক পদরেখা
বুকের শোণিতে করেছি সুচিহ্নিত
কোথায় পালাবে মুছে সে রক্ত-লেখা
এবার যে তার বিনাশ সুনিশ্চিত।
আজকের বাংলাদেশ  কবি বেগম সুফিয়া কামাল।  কবিতার কথা সৌজন্যে  বাসাপ বর্ষাবরণ-১৪২৪
Facebook Channel  ।
HOME
বাংলা প্রথম পাতা। HOME BANGLA
কবি বেগম সুফিয়া
কামাল
মিলনসাগরে কবির পাতা . . .   
দ্বন্দ্ব ও দ্বিধায় কেটে গেছে বহুকাল
কত যে ভয়াল
শ্বাপদসঙ্কুল মন তিমির নিশীথে
পথ পাড়ি দিয়া দিয়া হল উত্তরিতে
মুক্ত নীল আকামের তলে।
মুক্তিকামী সেই সেনাদলে
স্মরিতে আনত হয় হিয়া
যাঁরা গেছে মুক্তিমূল্য দিয়া
অশঙ্কিত প্রাণ
আজি এ পতাকা ধরি তাঁদের সম্মান
জানাইতে ভুল নাহি হয়
শতাব্দীর অন্তেও সে রহিবে অক্ষয়।
কঠোর পেষণক্লিষ্ট, বঞ্চনার তীব্র তিক্ত দিন
তিলে তিলে ক্লান্ত করি হয়েছে বিলীন
আত্মচেতনায়
পরভৃতিকার সম নিত্য মানি হীনম্মন্যতায়
বিলুপ্তির ধ্বংসস্তূপে মিশি
দীর্ঘ দিবানিশি
কাটাইয়া কাল
একদা সে স্তব্ধ সিন্ধু হইয়া উত্তাল
<<<দেয়ালিকার সূচীতে যেতে
এই পাতার
পশ্চাৎপটের ছবিটি
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের
কিছু বিখ্যাত ছবির
কৃষ্ণকায় করা কোলাজ!
রয়েছে বাংলাদেশের বীর
নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা
সৈনিকদের ছবির পাশে
ভারতীয় সেনাবাহিনীর
ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ
আত্মবলিদানের কথা
কখনোই ভুলবার নয়।
এই পাতার গান কবিতা ও
তথ্য,
কবি-গণসঙ্গীতকার
রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ
সংগ্রহ।
.
উদ্দাম প্রাণের বেগে গর্জি উঠি আঘাতিয়া তীর
আপনারে মুক্ত করি যে সংগ্রামী বীর
দাঁড়াল উন্নত হয়ে পশ্চাতে সে
আর হটিল না
সহস্য তরঙ্গসম অযুত উন্নত শির সেনা
অনিল মুক্ত দিশা রক্তাক্ত সে লেখা
আমার এ বাংলাদেশে উড়িতেছে
আমার পতাকা।
তোমাকে অভিবাদন, বাংলাদেশ  কবি সৈয়দ শামসুল হক। আবৃত্তি শুনুন অজ্ঞাত বাচিক শিল্পীর কণ্ঠে, ভিডিওটি
সৌজন্যে  
Shampratik Deshkal YouTube Channel  । কবিতার কথা সৌজন্যে  বাসাপ বর্ষাবরণ-১৪২৪ Facebook Channel  ।
HOME
বাংলা প্রথম পাতা। HOME BANGLA
কবি সৈয়দ শামসুল
হক
তোমাকে অভিবাদন, বাংলাদেশ,
তুমি ফিরে এসেছ তোমার মানচিত্রের ভেতরে
যার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তেরো শো নদীর ধারা ;
তোমাকে অভিবাদন, বাংলাদেশ,
তুমি ফিরে এসেছ তোমার করতলে পায়রাটির বুকে
যার ডানা এখন রক্ত আর অশ্রুতে ভেজা ;
তোমাকে অভিবাদন, বাংলাদেশ,
তুমি ফিরে এসেছ তোমার বৃষ্টিভেজা খড়ের কুটিরে
যার ছায়ায় কত দীর্ঘ অপেক্ষায় আছে সন্তান এবং স্বপ্ন ;
তোমাকে অভিবাদন, বাংলাদেশ,
তুমি ফিরে এসেছ তোমার নৌকার গলুইয়ে
যার গ্রীবা এখন ভবিষ্যতের দিকে কেটে চলেছে স্রোত ;
তোমাকে অভিবাদন, বাংলাদেশ,
তুমি ফিরে এসেছ তোমার মাছধরা জালের ভেতরে
যেখানে লেজে মারছে বাড়ি একটা রূপালী চিতল ;
তোমাকে অভিবাদন, বাংলাদেশ,
তুমি ফিরে এসেছ তোমার হালের লাঙলের ভেতরে
যার ফাল এখন চিরে চলেছে পৌষের নবান্নের দিকে ;
তোমাকে অভিবাদন, বাংলাদেশ ,
তুমি ফিরে এসেছ তোমার নেহাই ও হাতুড়ির সংঘর্ষের ভেতরে
যার একেকটি স্ফুলিঙ্গে এখন আগুন ধরছে অন্ধকারে ;
তোমাকে অভিবাদন, বাংলাদেশ,
তুমি ফিরে এসেছ তোমার কবিতার উচ্চারণে
যার প্রতিটি শব্দ এখন হয়ে উঠছে বল্লমের রূপালী ফলা ;
<<<দেয়ালিকার সূচীতে যেতে
এই পাতার
পশ্চাৎপটের ছবিটি
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের
কিছু বিখ্যাত ছবির
কৃষ্ণকায় করা কোলাজ!
রয়েছে বাংলাদেশের বীর
নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা
সৈনিকদের ছবির পাশে
ভারতীয় সেনাবাহিনীর
ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ
আত্মবলিদানের কথা
কখনোই ভুলবার নয়।
এই পাতার গান কবিতা ও
তথ্য,
কবি-গণসঙ্গীতকার
রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ
সংগ্রহ।
.
তোমাকে অভিবাদন, বাংলাদেশ,
তুমি ফিরে এসেছ তোমার দোতারার টান টান তারের ভেতরে
যার প্রতিটি টঙ্কার এখন ইতিহাসকে ধ্বনি করছে ;
তোমাকে অভিবাদন, বাংলাদেশ,
তুমি ফিরে এসেছ তোমার লাল সূর্য আঁকা পতাকার ভেতরে
যার আলোয় এখন রঞ্জিত হয়ে উঠছে সাহসী বদ্বীপ ;
তোমাকে অভিবাদন, বাংলাদেশ,

তুমি ফিরে এসেছ তোমার অনাহারী শিশুটির কাছে
মুঠোর ভেতরে এখন একটি ধানের বীজ ;
তোমাকে অভিবাদন, বাংলাদেশ,
তুমি ফিরে এসেছ তোমার প্লাবনের পর কোমল পলিমাটিতে
যেখানে এখন অনবরত পড়ছে কোটি কোটি পায়ের ছাপ।
ঘৃণা-ক্রোধের বারুদ  কবি মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান। কবিতার কথা সৌজন্যে  
Chakrobak Facebook Channel  ।
HOME
বাংলা প্রথম পাতা। HOME BANGLA
কবি মোহাম্মদ
মনিরুজ্জামান
ঘরের মধ্যে ঢুকলো মিলিটারি
ছড়িয়ে দিলো গুঁড়ো এবং
জ্বালিয়ে দিলো আগুন
মুহূর্তে সব ভস্ম হলো ;  

দাদার যত দলিল এবং
দাদীর যত মধুর স্মৃতি,
নকশি কাঁথা, তোরঙভরা পুঁথি,
কোরআন শরীফ ;
পিতার যত পত্রাবলি, আলমারিতে
বাঁধানো বই : রবীন্দ্রনাথ, মধুসূদন,
সুপ্রিয় শেক্সপিয়ার,
মায়ের শাড়ি, হাঁড়িকুড়ি, সাজানো সংসার
খাটের বাজু, তোশক, বালিশ,
মশারি আর উষ্ণ আমার গ্রন্থাবলি ;
কনিষ্ঠদের পাণ্ডুলিপি, নিষিদ্ধ বই,
পাঠ্যকেতাব, খাতা, কলম, টেবিল, চেয়ার,
চালের বাতায় গোঁজা টেলিগ্রাম :  
<<<দেয়ালিকার সূচীতে যেতে
এই পাতার
পশ্চাৎপটের ছবিটি
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের
কিছু বিখ্যাত ছবির
কৃষ্ণকায় করা কোলাজ!
রয়েছে বাংলাদেশের বীর
নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা
সৈনিকদের ছবির পাশে
ভারতীয় সেনাবাহিনীর
ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ
আত্মবলিদানের কথা
কখনোই ভুলবার নয়।
এই পাতার গান কবিতা ও
তথ্য,
কবি-গণসঙ্গীতকার
রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ
সংগ্রহ।
.
“আব্বা খবর খুবই খারাপ
শহর ছেড়ে আপনারা সব
গ্রামে গেলেই ভালো”।

ঘরের মধ্যে ঢুকলো মিলিটারি
ছড়িয়ে দিলো গুঁড়ো এবং
জ্বালিয়ে দিলো স্মৃতির ঘরে আগুন।
রক্তে এবং ভস্মে চাপা রইলো শুধু
কী দুঃসহ ঘৃণা-ক্রোধের বারুদ।
সাহসী জননী বাংলা  কবি কামাল চৌধুরী। আবৃত্তি শুনুন বাচিক শিল্পী সায়মা শারমিন এর কণ্ঠে, ভিডিওটি সৌজন্যে  
Songbrita Abritti Chorcha O Bikash Kendro YouTube Channel  । কবিতার কথা সৌজন্যে  https://banglakobita.com.bd/  ।
HOME
বাংলা প্রথম পাতা। HOME BANGLA
কবি কামাল চৌধুরী
তোদের অসুর নৃত্য … ঠা ঠা হাসি … ফিরিয়ে দিয়েছি
তোদের রক্তাক্ত হাত মুচড়ে দিয়েছি নয় মাসে
চির কবিতার দেশ …. ভেবেছিলি অস্ত্রে মাত হবে
বাঙালি অনার্য জাতি, খর্বদেহ … ভাত খায়, ভীতু
কিন্তু কী ঘটল শেষে, কে দেখাল মহা প্রতিরোধ
অ আ ক খ বর্ণমালা পথে পথে তেপান্তরে ঘুরে
উদ্বাস্তু আশ্রয়হীন …. পোড়াগ্রাম … মাতৃ অপমানে
কার রক্ত ছুঁয়ে শেষে হয়ে গেল ঘৃণার কার্তুজ।

সাহসী জননী বাংলা, বুকে চাপা মৃতের আগুন
রাত জাগে পাহারায় … বুড়িগঙ্গা পদ্মা নদীতীর
ডাকাত পড়েছে গ্রামে, মধ্যরাতে হানাদার আসে
ভাই বোন কে ঘুমায় ? জাগে, নীলকমলেরা জাগে।

গ্রেনেড উঠেছে হাতে… কবিতার হাতে রাইফেল
এবার বাঘের থাবা, ভোজ হবে আজ প্রতিশোধে
যার সঙ্গে যে রকম, সেরকম খেলবে বাঙালি
খেলেছি, মেরেছি সুখে… কান কেটে দিয়েছি তোদের।
এসেছি আবার ফিরে … রাতজাগা নির্বাসন শেষে
এসেছি জননী বঙ্গে স্বাধীনতা উড়িয়ে উড়িয়ে…
<<<দেয়ালিকার সূচীতে যেতে
এই পাতার
পশ্চাৎপটের ছবিটি
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের
কিছু বিখ্যাত ছবির
কৃষ্ণকায় করা কোলাজ!
রয়েছে বাংলাদেশের বীর
নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা
সৈনিকদের ছবির পাশে
ভারতীয় সেনাবাহিনীর
ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ
আত্মবলিদানের কথা
কখনোই ভুলবার নয়।
এই পাতার গান কবিতা ও
তথ্য,
কবি-গণসঙ্গীতকার
রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ
সংগ্রহ।
.
যুদ্ধে যাওয়ার গল্প  মুক্তিযোদ্ধা কবি নাসিমা সুলতানা। আবৃত্তি শুনুন বাচিক শিল্পী নাজমুল আহসান এর কণ্ঠে, ভিডিওটি সৌজন্যে  Nazmul
Ahsan YouTube Channel  । কবিতাটি শুনে লেখা। অনিচ্ছাকৃত ভুল-ত্রুটি মার্জনা করবেন।
HOME
বাংলা প্রথম পাতা। HOME BANGLA
মুক্তিযোদ্ধা কবি
নাসিমা সুলতানা
যাওয়ার আগে সব কটা গ্রাম আর
শহরকে জানিয়ে যাই---
যুদ্ধে যাচ্ছি
ওই আকাশকে দেখিয়ে দেখিয়ে বলি
যে ফুলগুলো ফোটে নি
আর যে মোরগটি ডানা ঝাপটে ডাকছে
ভোরের জন্যে, তাকেও বলি---
যুদ্ধে যাচ্ছি, যুদ্ধে যাচ্ছি, যুদ্ধে যাচ্ছি

এখন আবার পথের ক্লান্তি
ধূলো ওড়া দিন
কচুরিপানার মতো সুবর্ণ স্মৃতিরা শোনাচ্ছে
এই শিমুলতলীর মাটিতে
আমার নাখুন রাতের ঘটনা
ছোটো ছোটো পায়ে দাঁড়াতে শেখার কথা
এ কব্জি আর পায়ের গোড়ালি
বৃক্ষের বিশালতা পাওয়ার কথা
একটু একটু করে শিকড় বাকর
আর মাটির সঙ্গে জড়ানো চুম্বন
একটু একটু করে আল ভেঙে
জলাভূমি ভেঙে ধান বুনে যাওয়া
যাওয়ার আগে কচুরিপানার ফুল
বলে যাই--- যুদ্ধে যাচ্ছি
<<<দেয়ালিকার সূচীতে যেতে
এই পাতার
পশ্চাৎপটের ছবিটি
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের
কিছু বিখ্যাত ছবির
কৃষ্ণকায় করা কোলাজ!
রয়েছে বাংলাদেশের বীর
নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা
সৈনিকদের ছবির পাশে
ভারতীয় সেনাবাহিনীর
ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ
আত্মবলিদানের কথা
কখনোই ভুলবার নয়।
এই পাতার গান কবিতা ও
তথ্য,
কবি-গণসঙ্গীতকার
রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ
সংগ্রহ।
.
এই শিমুলতলীর মাটি, না ঘুমনো রাত---
যুদ্ধে যাচ্ছি
এই ঘুপচির বড় হয়ে যাওয়া
গোড়ালিতে শক্ত হাড়ের জোর
বৃক্ষের বিশালতা পাওয়া বয়ঃসন্ধি কালেই---
যুদ্ধে যাচ্ছি
আর জালের কিনার জলাভূমি ধানবন
যুদ্ধে যাচ্ছি, যুদ্ধে যাচ্ছি, যুদ্ধে যাচ্ছি

ট্রেনের সব কটা চাকা শোনো
টেলিগ্রাফের তার, ভুতুড়ে স্টেশন
শুধরে যাওয়ার ইচ্ছে, শোনো---
একদিন খুব বেশী নীল
খুব বেশী গাঢ় দিগন্ত ভাঙতে ভাঙতে
জলরঙ ব্রীজের মাথায় আমার বাবার সাথে
ছুটিতে যাওয়ার কথা
মনে পড়ে, মনে পড়ে, মনে পড়ে

সে সব নারীরা শোনো---
আবহমান কাল যারা ঘোমটা ভাঙোনি
সেই সব ভূমিহীন চাষী আর মরখুটে গরু
তোমরাও শোনো---
গলগলে ধোঁয়া ওঠা ভাত খেয়ে যাচ্ছি
যুদ্ধে যাচ্ছি
তোমরা অপেক্ষায় থাকো
ডানা ঝাপটে ভোরের জন্যে
একটা মোরগ ডাকছে
অপেক্ষায় থাকো
ঘাতক ১৯৫  কবি আলাউদ্দিন আল আজাদ।  ১৯৯৫ সালে প্রকাশিত,
কবির “লেলিহান পাণ্ডুলিপি” কাব্যগ্রন্থের কবিতা। রচনাকাল মার্চ ১৯৭১ থেকে
১৯৭৪। কবিতার কথা ও তথ্য সৌজন্যে  
কবি ও কবিতা Facebook Channel
HOME
বাংলা প্রথম পাতা। HOME BANGLA
কবি আলাউদ্দিন আল
আজাদ
তিরিশ লাখ হত্যা
সাড়ে তিন লাখ ধর্ষণ
পঞ্চাশ হাজার অগ্নিসংযোগ
এবং লুঠ
অগুনতি
কিন্তু ঘাতক
মাত্র ১৯৫ জন :
শুভঙ্কর কোথায় জন্মেছিলো?
নিশ্চয়ই প্রাচ্যভূমি
যেখানে জীবনটা
আয়নার ওল্টাপিঠ ;
এবং ইতিহাস দস্যুর উপখ্যান।
<<<দেয়ালিকার সূচীতে যেতে
এই পাতার
পশ্চাৎপটের ছবিটি
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের
কিছু বিখ্যাত ছবির
কৃষ্ণকায় করা কোলাজ!
রয়েছে বাংলাদেশের বীর
নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা
সৈনিকদের ছবির পাশে
ভারতীয় সেনাবাহিনীর
ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ
আত্মবলিদানের কথা
কখনোই ভুলবার নয়।
এই পাতার গান কবিতা ও
তথ্য,
কবি-গণসঙ্গীতকার
রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ
সংগ্রহ।
.
একটি পতাকা পেলে  কবি হেলাল হাফিজ। আবৃত্তি শুনুন বাচিক শিল্পী মোঃ আব্দুর রহিম এর কণ্ঠে, ভিডিওটি
সৌজন্যে  
Md. Abdur Rahim YouTube Channel  । কবিতার কথা সৌজন্যে https://www.kobitacocktail.com/
HOME
বাংলা প্রথম পাতা। HOME BANGLA
কবি হেলাল হাফিজ
কথা ছিলো একটি পতাকা পেলে
আমি আর লিখবো না বেদনার অঙ্কুরিত কষ্টের কবিতা

কথা ছিলো একটি পতাকা পেলে
ভজন গায়িকা সেই সন্ন্যাসিনী সবিতা মিস্ট্রেস
ব্যর্থ চল্লিশে বসে বলবেন,–’পেয়েছি, পেয়েছি’।

কথা ছিলো একটি পতাকা পেলে
পাতা কুড়োনির মেয়ে শীতের সকালে
ওম নেবে জাতীয় সংগীত শুনে পাতার মর্মরে।

কথা ছিলো একটি পতাকা পেলে
ভূমিহীন মনুমিয়া গাইবে তৃপ্তির গান জ্যৈষ্ঠে-বোশেখে,
বাঁচবে যুদ্ধের শিশু সসন্মানে সাদা দুতে-ভাতে।

কথা ছিলো একটি পতাকা পেলে
আমাদের সব দুঃখ জমা দেবো যৌথ-খামারে,
সম্মিলিত বৈজ্ঞানিক চাষাবাদে সমান সুখের ভাগ
সকলেই নিয়ে যাবো নিজের সংসারে।
<<<দেয়ালিকার সূচীতে যেতে
এই পাতার
পশ্চাৎপটের ছবিটি
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের
কিছু বিখ্যাত ছবির
কৃষ্ণকায় করা কোলাজ!
রয়েছে বাংলাদেশের বীর
নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা
সৈনিকদের ছবির পাশে
ভারতীয় সেনাবাহিনীর
ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ
আত্মবলিদানের কথা
কখনোই ভুলবার নয়।
এই পাতার গান কবিতা ও
তথ্য,
কবি-গণসঙ্গীতকার
রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ
সংগ্রহ।
.
একটি পতাকা  কবি আল মাহমুদ (১১.৭.১৯৩৬ - ১৫.২.২০১৯)। কবিতার কথা সৌজন্যে  বাসাপ বর্ষাবরণ-১৪২৪ Facebook Channel  ।
HOME
বাংলা প্রথম পাতা। HOME BANGLA
কবি আল মাহমুদ
মিলনসাগরের কবির পাতা . . .   
তোমাদের কাছে স্বাধীনতার একটা সুন্দর অর্থ আছে
সেই অর্থের ওপর পত্ পত্ করে উড়ছে একটি পতাকা।
আমার কছে এর অর্থ হলো অনেক দূরবর্তী কিছু মুখ
কে যেন বলছে তুমি তো বাড়ি চলে যাবে।
আবার এসো
আবার এসো কিন্তু!
কোথায় আমার বাড়ি?
আমার বাড়ি কি কোনো নদীর পাড়ে?
খড় ও চালের নিচে কিছু গরু বাছুর ছাড়া
আর তো কিছু দেখতে পাই না।
কোথাও নিশ্চয়ই আমার একটা বাড়ি আছে
যেখানে আমি চোখ মেললেই দেখতে পেতাম
একটি নদী, এক নারী, একটি নৌকা আর দাঁড়ের শব্দ।
এখন তো আমি আর দেখতে পাই না
সাথে সাথে আন্তর্হিত হয়ে যায় দৃশ্যের ভেতরে দৃশ্য
কালের ভেতর কাল মুখ লুকিয়ে ফুঁপিয়ে উঠল
আর কেবল কোনো কিছু ভাঙার শব্দ
যেন অনেকগুলো প্লেট কারো হাত থেকে
ঝন ঝনিয়ে পড়ে গেছে পাথরের ওপর
ছত্রখান হয়ে ছিটিয়ে পড়েছে আমার হৃদয়ের মতন
অনেকগুলো আহার্যের বাসন।
জানি না কী খাদ্য ছিল ওতে,
কেউ কি পাটের শাক, ঘিয়ের পাত্র, নিমকদানি
সেখানে ঠেলে দিয়ে বলেছিল-খাও তো!
<<<দেয়ালিকার সূচীতে যেতে
এই পাতার
পশ্চাৎপটের ছবিটি
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের
কিছু বিখ্যাত ছবির
কৃষ্ণকায় করা কোলাজ!
রয়েছে বাংলাদেশের বীর
নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা
সৈনিকদের ছবির পাশে
ভারতীয় সেনাবাহিনীর
ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ
আত্মবলিদানের কথা
কখনোই ভুলবার নয়।
এই পাতার গান কবিতা ও
তথ্য,
কবি-গণসঙ্গীতকার
রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ
সংগ্রহ।
.
কতদিন তুমি ভালো করে খাওনি
এই দেখো মাছের ভর্তা, কাঁচা লঙ্কার বাটি, নুন
পানি আর কলমি শাকের তরকারি।
আস্তে খাও, ঘি দিয়ে মাখিয়ে নাও
এক সময় যে বলতে তুমি সর্বভুক-সব-খাবে
আর আমি হেসে বলতাম-আমাকেও!
দেখো আমার ঠোঁট কাঁপছে, আমি কথা বলতে চাই না
আমি বললেই তো সব সত্য হয়ে যায়
আমি কী বলব!
সময়ের ঘর্ঘরধ্বনি আমার বুকের ওপর জমা হয়েছে
আমি কী বলব!
অনেক ফিনকি দেয়া রক্তের ঝর্ণা ঝরে পড়েছে আমার উপর
আমি কী বলব- এ সবের শেষ কোথায়!
আমি তো অনন্তকালের যাত্রী ছিলাম,
তুমি আমাকে থামালে কেন?
এখন আমাকে নিয়ে দেখো কত সমস্যা
কারণ আমি তো মানুষের রক্তের ইতিহাস
অকপটে বলতে পারি, আমার সাথে গাছ কথা বলে,
বাতাস কথা বলে, বায়ু তাড়িত মেঘ কথা বলে,
এত যে দীর্ঘকাল নিরুত্তর হয়ে আছে সময়
সে কি আমার প্রশ্নের জবাব দেবে না!
আমি অতিবাহিত এক নদীর মতো,
আমি জলভরা মেঘের মতো,
আমিই তো বিদ্যুৎ-
আমি লিখলেই আগুনের অক্ষরে আকাশ বিদীর্ণ হয়ে যায়।
আমি ভবিষ্যৎ বলি, আমি অতীত জানি বলে
সকলে আমাকে ভয় পায়
শুধু বিরুদ্ধাচারণ করে এক নারী
তার মুখ থেকে বেরিয়ে আসে না না না
আমি সব না-কে হ্যাঁ করে যাব
আমি সমস্ত প্রত্যাখ্যানকে পদদলিত করে
মেঘের ওপর পতাকা বসিয়েছি।
কাল আমাকে গিলে ফেলতে চেয়েছিল
অতীত আমাকে হজম করতে পারেনি
ভবিষ্যৎ আমাকে প্রত্যাখ্যান করে
তবে কি আমি কেউ নই?
এ সময় আমার দিকে এগিয়ে আসছে
এক দূরবর্তী নক্ষত্রের আলো।
আমি সেই আলোর মধ্যে আমার চেহারা দেখে
আতঙ্কে আর্তনাদ করে উঠি,
আমি কি এতই কুৎসিত? সর্বগ্রাসী? তৃষ্ণার্ত?
তাহলে ওগো আমার পিপাসার জল, এসো-
এক গণ্ডুষ আমি তোমাকে পান করি।
মুক্তিযুদ্ধ  কবি আবদুল মান্নান সৈয়দ। কবিতার কথা সৌজন্যে  বাসাপ বর্ষাবরণ-১৪২৪ Facebook Channel  ।
HOME
বাংলা প্রথম পাতা। HOME BANGLA
কবি আবদুল মান্নান
সৈয়দ
ছিল সেটা গৃহ-যুদ্ধ
আমার ভিতর
রাত্রির বিরুদ্ধে চাঁদের মতো জ্বলছিলাম আমি
প্রথমে ক্ষীণ শশিকলা
দিগন্তের কালো ক্ষেতে ঝলসে উঠেছিল
সোনার হেঁশোর মতো
আশা-হতাশার দু-ধারী তলোয়ার
দু-টুকরো করে ফেলেছে আমাকে
যুদ্ধ চলে দুই অংশে
রীতিমতো- আমন্ত্রণকারী ঘাসের ভিতর পা ফেলতেই
পুঁতে রাখা গোপন মাইন-এ আমি টুকরো হয়ে যাই
ঘাসের উপরে বসে নিজেকে জোড়া লাগাই ফের
ট্যাঙ্ক-এর বিরুদ্ধে ঠ্যালাগাড়ির ব্যারিকেড রাস্তা জুড়ে
পাশবিকতার বিরুদ্ধে মানবিকতা
রাত্রির বিরুদ্ধে চাঁদ
কালো কামানের বিরুদ্ধে সবুজ পল্লব
দারুন আকাশ জুড়ে মার্চ করে নক্ষত্রের ফৌজ
উত্তর- আকাশে কালো ঢালা
কালো পিচ্ছিল জলের উপর
আমার আশার আলো-জ্বলা জাহাজ
দরুণ সাবমেরিন- এর আঘাতে ডুবে যায়
<<<দেয়ালিকার সূচীতে যেতে
এই পাতার
পশ্চাৎপটের ছবিটি
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের
কিছু বিখ্যাত ছবির
কৃষ্ণকায় করা কোলাজ!
রয়েছে বাংলাদেশের বীর
নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা
সৈনিকদের ছবির পাশে
ভারতীয় সেনাবাহিনীর
ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ
আত্মবলিদানের কথা
কখনোই ভুলবার নয়।
এই পাতার গান কবিতা ও
তথ্য,
কবি-গণসঙ্গীতকার
রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ
সংগ্রহ।
.
জলের উপরে ভেসে ফের
খেলনা জাহাজের মতো গড়তে থাকি তাকে
নারকেল সবুজ পাতার বালির-ঢাকা চাঁদের সোনালি কামান
নিঃশব্দ ওঙ্কারে গর্জে উঠে তুমুল জ্যোৎস্না ছুরে মারে
এই চলে সারারাত
জ্যোৎস্নায় তমাসায় বাদানুবাদ
ভোরের দিকে
গৃহ-যুদ্ধ মুক্তিযুদ্ধে রূপান্তরিত হয়ে যায়।
গৃহ-যুদ্ধ মুক্তিযুদ্ধে রূপান্তরিত হয়ে যায়।
আজকের প্রশ্ন  কবি শহীদুল্লা কায়সার। কবির ভাল নাম আবু নঈম মোহাম্মদ শহীদুল্লা। আবৃত্তি শুনুন বাচিক শিল্পী বিদ্যুৎ
বিহারি এর কণ্ঠে, ভিডিওটি সৌজন্যে  
BIDDUT BEHARI বিদ্যুৎ বিহারি YouTube Channel  । ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের
শেষলগ্নে তিনি পাকিস্তান সেনাবাহিনী ও তার স্থানীয় সহযোগী আল-বদরের হাতে অপহৃত হন। ধারণা করা হয় যে, অপহরণকারীদের
হাতে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। কবিতার কথা সৌজন্যে  
বাসাপ বর্ষাবরণ-১৪২৪ Facebook Channel  ।
HOME
বাংলা প্রথম পাতা। HOME BANGLA
কবি শহীদুল্লা কায়সার
মরি কি বাঁচি
আজকে প্রশ্ন তা নয়
জীবনের মুঠোয় পুরে
চাঁদের দেশে উধাও হব কি হব না
পৃথিবীর সবুজে আকাশটা
ভরে দেব কি দেব না
আজকের প্রশ্ন তা নয়।

আজকের প্রশ্ন-
খুঁজে নেব মৃগনাভি
বিলিয়ে দেব সবার মাঝে।
যেন তেন একটা নতুন জামা
আটা আধ সের
সেমাই এক পোয়া
এক ছটাক বাদাম কিশমিশ
নিম্নবিত্ত বাজেট যখন হিমশিম
তখন প্রশ্ন থাকে
এক ফোঁটা আতর।

কোনো রকম একখানি গামছা
খুদ এক পোয়া
আধ ছটাক গুড়
<<<দেয়ালিকার সূচীতে যেতে
এই পাতার
পশ্চাৎপটের ছবিটি
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের
কিছু বিখ্যাত ছবির
কৃষ্ণকায় করা কোলাজ!
রয়েছে বাংলাদেশের বীর
নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা
সৈনিকদের ছবির পাশে
ভারতীয় সেনাবাহিনীর
ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ
আত্মবলিদানের কথা
কখনোই ভুলবার নয়।
এই পাতার গান কবিতা ও
তথ্য,
কবি-গণসঙ্গীতকার
রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ
সংগ্রহ।
.
গরিবের শিরনি
আর বড়জোর এক ছিলিম তামাক
সেখানেও প্রশ্ন থাকে
এক ফোঁটা আতর।
গেলবার ঈদে
আতর রক্তে কী যে ছড়াছড়ি গেল
শহীদেরা একে একে আতর মেখে
সূর্যের উষ্ণীষে বিদ্রোহীর
পালক লাগিয়ে
নোঙর ফেলল
উত্তমাখা অন্তরীপে।
তারপর ঈদের মেলায়
আতরের খোশবু ছড়িয়ে চলে গেল
মহাযাত্রায়।

সূর্যের উষ্ণীষ মাথায়
আজো তো আমরা হাজির
ঈদের মেলায়।
আজো সেই পুরাতন প্রশ্ন
কোথায় মৃগনাভি সুরভি।
আমার পতাকা  কবি আল মাহমুদ (১১.৭.১৯৩৬ - ১৫.২.২০১৯)। আবৃত্তি শুনুন বাচিক
শিল্পী সৈয়দ আল জাবের এর কণ্ঠে, ভিডিওটি
সৌজন্যে  
faruque mohammad omar YouTube Channel । কবিতাটি শুনে লেখা। তাই অনিচ্ছাকৃত
ভুল-ত্রুটি মার্জনা করবেন।
HOME
বাংলা প্রথম পাতা। HOME BANGLA
কবি আল মাহমুদ
মিলনসাগরের কবির পাতা . . .   
ঐতো আমার পতাকা উড়ছে স্বাধীনতার
সবুজের মাঝে লাল সূর্যের আলোর ধার
শ্যামল কোমল শস্যের রঙ মাতায় মন
তার মাঝে গোল আলোর গোলক বয় পবন
বাতাসে ছড়ায় আশার সুরভি ভাষার গান
আমরা গাইবো মিলিত কণ্ঠে স্বাধীন প্রাণ
দিগ্বিজয়ের সুর ঝংকারে কয় বিষাণ
তার মাঝে আজ ছড়িয়ে পড়ুক এই নিশান
আমাদের পথ আমাদের মত দেখায় দিক
আমরা চলেছি কাঁপিয়ে পৃথিবী দিগ্বিদিক
আমাদের প্রাণ শোনে আহ্বান ভবিষ্যৎ
বাড়িয়ে দিয়েছি গতির আবেগ ঐক্যমত
নাই ভেদাভেদ নেইকো প্রভেদ সামনে চল
আমরা দেশের নতুন আশার নতুন বল
আমরা গাইবো নব সঙ্গীত প্রেমের গান
গণমানুষের হৃদয়ে ছড়াবো ঐক্যতান
পদভারে বুঝি কাঁপছে ধরণী নির্ভয় প্রাণ
আমাদের ডাক সব মানুষের মিলিত গান
আমরা করেছি ঐক্যতানের সুরের রেশ
আমাদের ডাকে জেগে ওঠে সারা বাংলাদেশ
<<<দেয়ালিকার সূচীতে যেতে
এই পাতার
পশ্চাৎপটের ছবিটি
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের
কিছু বিখ্যাত ছবির
কৃষ্ণকায় করা কোলাজ!
রয়েছে বাংলাদেশের বীর
নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা
সৈনিকদের ছবির পাশে
ভারতীয় সেনাবাহিনীর
ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ
আত্মবলিদানের কথা
কখনোই ভুলবার নয়।
এই পাতার গান কবিতা ও
তথ্য,
কবি-গণসঙ্গীতকার
রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ
সংগ্রহ।
.
জন্মভূমির মাটির গন্ধে প্রাণের সারা
আমরা চলেছি জগৎ কাঁপিয়ে পাগল পারা
চলছি সমুখে আমাদের মুখে আলোর ঝিলিক্
দিগ্বিজয়ের সাথিরে এগোয়ে ঠিক করে দিক
এগোও সামনে নির্ভিক প্রাণে হোক বিজয়ী
আমাদের নাম সালাম সালাম দিগ্বিজয়ী
আমরা এসেছি ধরণীর বুকে শস্য বুনতে
আমরা এসেছি মানুষের কথা স্বপ্ন শুনতে
আমরা প্রেমের পুত্র কন্যা আমাদের নাম
আকাশে ছড়ায়ে মাটিয়ে লুটায়ে কাঁপে ধরাধাম
আমাদের মুখে শান্তি বার্তা সালাম সালাম
আমাদের বুকে গোলাপের ঘ্রাণ আনে পয়গাম
সালাম সালাম সালাম
একদিন চিরদিন বাংলাদেশ  কবি বেলাল চৌধুরী (১২.১১.১৯৩৮ - ২৪.৪.২০১৮)।  আবৃত্তি শুনুন বাচিক শিল্পী তমালিকা
পিংকি এর কণ্ঠে, ভিডিওটি সৌজন্যে  
Swanan Facebook Channel  । ভিডিওটি দেখতে ওই লিঙ্কে ক্লিক করুন।
HOME
বাংলা প্রথম পাতা। HOME BANGLA
কবি বেলাল চৌধুরী
মিলনসাগরে কবির পাতা . . .   
জয় বাংলা ছিল আছে
একদিন চিরদিন দুর্জয় এক সাহসের নাম
জয় বাংলা ছিল আছে
একদিন চিরদিন দুর্বার এক সংগ্রামের নাম
জয় বাংলা ছিল আছে
একদিন চিরদিন আট কোটি কোকিলের
সম্মিলিত ঐকতান
জয় বাংলা ছিল আছে
একদিন চিরদিন কল্লোলিত সমুদ্রের উত্তাল গর্জন
জয় বাংলা ছিল আছে
একদিন চিরদিন পদ্মা মেঘনা যমুনা ধলেশ্বরী কালবৈশাখীর আভাস
জয় বাংলা ছিল আছে
একদিন চিরদিন ঝড়ের আগের মাভৈঃ ধ্বনি 'আলি আলি' হাঁক
জয় বাংলা ছিল আছে
একদিন চিরদিন বঙ্গবন্ধুর বজ্রকণ্ঠের নির্ঘোষ
জয় বাংলা ছিল আছে
একদিন চিরদিন শেখ মুজিবের তর্জনী শাসন
জয় বাংলা ছিল আছে
একদিন চিরদিন ঘন কৃষ্ণ মেঘের মাঝে
বিদ্যুৎ চমকের রুপোলি রেখা
জয় বাংলা ছিল আছে
একদিন চিরদিন মসজিদে মন্দিরে
আজানে কাঁসর ঘন্টায়
<<<দেয়ালিকার সূচীতে যেতে
এই পাতার
পশ্চাৎপটের ছবিটি
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের
কিছু বিখ্যাত ছবির
কৃষ্ণকায় করা কোলাজ!
রয়েছে বাংলাদেশের বীর
নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা
সৈনিকদের ছবির পাশে
ভারতীয় সেনাবাহিনীর
ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ
আত্মবলিদানের কথা
কখনোই ভুলবার নয়।
এই পাতার গান কবিতা ও
তথ্য,
কবি-গণসঙ্গীতকার
রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ
সংগ্রহ।
.
জয় বাংলা ছিল আছে
একদিন চিরদিন ইষ্টমন্ত্র জপের ধ্যানে মোনাজাতের আকুলতায়
জয় বাংলা ছিল আছে
একদিন চিরদিন গোটা দেশের হৃদস্পন্দনে
জয় বাংলা ছিল আছে
একদিন চিরদিন কবিদের প্রজ্জ্বলন্ত কবিতার শিখা
জয় বাংলা ছিল আছে
একদিন চিরদিন বাঘা সিদ্দিকীর হাতের অব্যর্থ নিশানা
জয় বাংলা ছিল আছে
একদিন চিরদিন শত শত শহীদের আত্মোৎসর্গে
জয় বাংলা ধ্বনিতে উঠেছিল পুবের
আকাশ রাঙা করে
জয় বাংলা জয় সূর্য জয় পতাকা
জয় বাংলা ধ্বনিতে ঘোষিত হয়েছিল শত্রুর নিপাত
জয় বাংলা ধ্বনিতে অঙ্কুরিত হয়েছিল
বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বিজয়
জয় বাংলা ধ্বনিতে এসেছিল স্বাধীনতা
জয় বাংলা ধ্বনিতে মঞ্জরিত হয়েছিল
বাঙালীর জয়গান
জয় বাংলা আজও ধ্বনিত হয় দশ কোটি
মানুষের রক্ত জমা বুকে
জয় বাংলা আছে আজও বাঙালীর
স্বাধিকার সংগ্রামে
জয় বাংলা আছে আজও বাঙালীর
নিঃশ্বাসে প্রশ্বাসে
জয় বাংলা খতম করেছে স্বৈরাচার
জয় বাংলা চিরভাস্বত চিরভাস্বর চিরঅম্লান
জয় বাংলা জয় বাঙালীর
একদিন চিরদিন শৌর্য-বীর্য
জয় বাংলা অগণন নক্ষত্রের অক্ষরে লেখা এক নাম
জয় বাংলা আবহমান বাংলা ও বাঙালীর
বিজয় অভিযানের নাম
জয় বাংলা আবহমান বাংলা ও বাঙালীর
বিজয় অভিযানের নাম
জয় বাংলা আবহমান বাংলা ও বাঙালীর
বিজয় অভিযানের নাম
মঞ্চে দেখা দাও  কবি জিল্লুর রহমান সিদ্দিকী। কবিতার কথা সৌজন্যে  https://abrittiokobita.wordpress.com/
HOME
বাংলা প্রথম পাতা। HOME BANGLA
কবি জিল্লুর রহমান
সিদ্দিকী
হঠাৎ আঁধার ছিঁড়ে পরদা উঠে গেল, অশরীরী
কতগুলি ছায়ামূর্তি মঞ্চের উপর এতক্ষণ
ধেই ধেই তাণ্ডব নর্তনে নাচছিল-
হঠাৎ কোথায় যেন হাওয়ায় মিলিয়ে গেল তারা।
কোথা থেকে অলৌকিক আলোয় আলোকময়
হল সেই মঞ্চ, নেপথ্যে হাজার বেহালায়
ছড়ে ছড়ে উচ্চকিত ঝঙ্কার জাগল।
রুদ্ধশ্বাস প্রহরের পাথর উধাও, শুধু এক
টনটনে ব্যথার অনুভূতি, শুধু এক বোঝা ব্যথা
শুধু এক চাপা ভয়…
বন্ধুরা, সাথীরা, নিমজ্জিত
দুঃস্বপ্নের লুপ্ত নাবিকেরা, তোমরা কোথায় আজ?
আলোকিত রঙ্গমঞ্চে তোমাদের খুঁজি।

মুক্তির চত্ত্বরে আজ ফুরফুর হাওয়ায় ঘোরে
কত না নাগর। কেবল তোমরা নেই-
যারা একদিন বন্ধু ছিলে, সঙ্গী ছিলে, ভাই ছিলে
আজ অঘ্রাণের শেষে নবান্নের দিনে
যারা নেই, তাদের স্মরণে কিংবা তাদের সম্মানে
অনন্ত আমি তো বলব না তোমরা সবাই মুক্তির সেনানী ছিলে।
সবাই ছিল না। তোমাদের অনেকেই
নিমগ্ন সংসারী ছিলে, কেউ কেউ শিল্পী ছিলে।
<<<দেয়ালিকার সূচীতে যেতে
এই পাতার
পশ্চাৎপটের ছবিটি
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের
কিছু বিখ্যাত ছবির
কৃষ্ণকায় করা কোলাজ!
রয়েছে বাংলাদেশের বীর
নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা
সৈনিকদের ছবির পাশে
ভারতীয় সেনাবাহিনীর
ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ
আত্মবলিদানের কথা
কখনোই ভুলবার নয়।
এই পাতার গান কবিতা ও
তথ্য,
কবি-গণসঙ্গীতকার
রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ
সংগ্রহ।
.
তোমাদের কেউ কেউ যৌবনের আদর্শবাদের
রঙিন ঘুড়ির সুতো ছিঁড়ে দিয়ে নাটাই গুটিয়ে
নিঃশব্দে লুকিয়েছিলে অন্ধকার সিঁড়ির আড়ালে।
কেউ কেউ মনেপ্রাণে জনতার করতালি
চেয়েছিলে। সে জন্য আমিও দুষব না।

আমি জানি কেউ কেউ প্রেয়সীর হাসি ভালবেসে
উজ্জ্বল পণ্যের লোবে অথবা এমনি আর কোনো
দুর্বলতা বশে খরদুপুরের রোদে ঘেমেছিলে-
সাদামাটা সংসারের জনাকীর্ণ পথের পথিক।
অনেকে সামান্য ছিলে, অসামান্য কেউ কেউ।
আমি শুধুই চাই তোমরা সবাই ফিরে এস,
একবার এস, কিছুক্ষণ থেকে যাও দেখে যাও
আলোকিত রঙ্গমঞ্চে আমরা সবাই, একসাথে
হাতে হাতে- ভয় নেই, যদিও পাশেই সাজঘরে
থরে থরে নায়কের বীরসজ্জা বিস্তর, তোমরা
যে যেমন ছিলে, অবিকল মঞ্চে এসে একবার দেখা দাও।
একুশে আমার যৌবন  কবি জিল্লুর রহমান সিদ্দিকী। আবৃত্তি শুনুন পরিবেশনায় : শিল্পবৃন্ত, ভিডিওটি
সৌজন্যে  
Janatar. tv YouTube Channel  ।  কবিতার কথা সৌজন্যে  https://youtu.be/6-H-sD45V-w  ।
HOME
বাংলা প্রথম পাতা। HOME BANGLA
কবি জিল্লুর রহমান
সিদ্দিকী
একুশে আমার যৌবন বাসনা-বিষাদ জড়ানো,
উধাও বাতাসে বাতাসে ঘর ছেড়ে যাওয়া বেদনা

একুশে আমার যৌবন স্বরেগের সম্ভাবনা
প্রত্যহ, প্রতি প্রহরের ডাক-পিয়নের চিঠিতে

একুশে আমার যৌবন উষ্ণ শোণিত-কল্লোল
দেহের অণুতে অণুতে সঙ্ঘে মিছিলে একতায়

একুশে আমার স্বপ্ন এসেছে ঋতুর ডালিতে
সকল সফল কামনা সমসমাজের উপহার

একুশে আমার ধিক্কার দানবের দুঃশাসনের
দনিক-বণিক শিবিরের শত্রুর প্রতি ছুঁড়েছি

একুশে আমার দুঃখ যারা ফাল্গুন মুকুলের
শেষ সংবাদ পেল না রক্তপথের পথিক

সেই থেকে যারা চলেছে যারা একুশের রাজপথ
রক্তে রাঙানো বারবার একুশে আমার দুঃখ

একুশে আমার গর্ব একুশে আমার গৌরব
মৃত্যুভয়াল ভ্রুকুটির উদ্ধত রোষে রুখেছি
<<<দেয়ালিকার সূচীতে যেতে
এই পাতার
পশ্চাৎপটের ছবিটি
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের
কিছু বিখ্যাত ছবির
কৃষ্ণকায় করা কোলাজ!
রয়েছে বাংলাদেশের বীর
নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা
সৈনিকদের ছবির পাশে
ভারতীয় সেনাবাহিনীর
ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ
আত্মবলিদানের কথা
কখনোই ভুলবার নয়।
এই পাতার গান কবিতা ও
তথ্য,
কবি-গণসঙ্গীতকার
রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ
সংগ্রহ।
.
আমার দুখিনী বাংলা   কবি আবদুল গাফফার চৌধুরী (জন্ম ১২.১২.১৯৩৪)। আবৃত্তি শুনুন বাচিক শিল্পী শাহিন পারভেজ এর
কণ্ঠে, ভিডিওটি সৌজন্যে  
আবৃত্তিমেলা । Abrittimela YouTube Channel ।  কবিতার কথা সৌজন্যে  Kobita (কবিতা) Facebook Channel  ।
HOME
বাংলা প্রথম পাতা। HOME BANGLA
কবি আবদুল গাফফার
চৌধুরী
মিলনসাগরে কবির পাতা . . .    
আমার দুখিনী বাংলা মা,
তুই আমার জননী
তোর ওই আকাশে চাঁদ আর
দিনে হাসে দিনমণি।
তবু তোর চোখে কেন অশ্রুভরা জল
মা তুই অহল্যা হলি কার শাপে বল্?  

আমার দুখিনী বাংলা
মা তোর এত শ্যামলিমা
মা তোর স্তন্যপায়ী দেহে
তোরই সুধা অরুণিমা।
মা তোর চোখের জলে কেন নদী উতরোল
মা তুই অহল্যা হলি কার শাপে বল্?  

তুই অন্নপূর্ণা জানি
আজ এ কী অভিশপ্ত খরা
মা তোর সোনার ধানে
সিন্ধু পার কার ভাণ্ডভরা
তোর ছেলে উপবাসী
কন্যা তোর কলঙ্কিনী সীতা
যা ছিল সৃষ্টির পাত্রে
প্রজ্ঞা পারমিতা
সবাই তো লুণ্ঠিত মাগো বল তুই বল
তোর এই অহল্যা মূর্তি কার শাপে বল্?
<<<দেয়ালিকার সূচীতে যেতে
এই পাতার
পশ্চাৎপটের ছবিটি
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের
কিছু বিখ্যাত ছবির
কৃষ্ণকায় করা কোলাজ!
রয়েছে বাংলাদেশের বীর
নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা
সৈনিকদের ছবির পাশে
ভারতীয় সেনাবাহিনীর
ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ
আত্মবলিদানের কথা
কখনোই ভুলবার নয়।
এই পাতার গান কবিতা ও
তথ্য,
কবি-গণসঙ্গীতকার
রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ
সংগ্রহ।
.
পুত্রদের প্রতি  কবি আবুল হোসেন। আবৃত্তি শুনুন বাচিক শিল্পী সুমন্ত গুপ্ত এর কণ্ঠে, ভিডিওটি সৌজন্যে  Sumanta
Gupta's Diary YouTube Channel ।  কবিতার কথা সৌজন্যে  https://amader-kotha.com/  ।
HOME
বাংলা প্রথম পাতা। HOME BANGLA
কবি আবুল হোসেন
"অবশ্যই আমার নামাজ আমার এবাদাত আমার জীবন
আমার মৃত্যু সবকিছুই সৃষ্টিকুলের মালিক আল্লাহর জন্যে।"

তোমরা যেতে চাও, যাও। প্রশ্ন আর করব না। চাই নে
জানতে কিছু। যাবে যাও, যার ইচ্ছে।
বারণ করব না। কে শুনবে নিষেধ এখন? একে একে সবাই
তো গেছে, যাচ্ছে। যে দু-চার জন এখনো রয়েছে বাকি
তারাও যে আর বেশিদিন থাকবে মনে হয় না। উড়িয়ে
রঙিন নিশান, উঁচিয়ে লাঠি, সবাই বেরুবে পথে, যাবে মাঠে
মিছিলে সভায়, যখন বাজাবে বাঁশি সেই বাঁশিঅলা। সারা
দেশ উজাড় করে সে নিয়ে যাবে।

খাঁখাঁ করবে ঘরবাড়ি, ঝুলবে আপিসে কলকারখানায় তালা,
থাকবে পড়ে ক্ষেতখামার। শুধু এক দুর্নিবার মানুষের
স্রোতে একাকার হয়ে যাবে সব গলি, সমস্ত সড়ক, গঞ্জ, গ্রাম
শহর, বন্দর। কানে বাজবে কেবল অবিরাম স্লোগানের
কুচকাওয়াজ। আর সব জনপদ ডুবে যাবে
মিছিলের বিশাল সমুদ্রে। নিরাপদ দূরত্বে থাকার আছে কি
উপায় কোনো? অতঃপর তোমরাও মিশে যাও।

জানি, তোমাদের কণ্ঠস্বর শুনব না আর কোনোদিন,
দেখব না কারো মুখ। সমস্ত একক স্বর, মুখ গিলে খাবে
সর্বভুক সে জনতা। এতদিনে আমিও হলাম নিঃসন্তান।
সাজাবে কে সযত্নে দোকান আর করবে কে বাগান।
<<<দেয়ালিকার সূচীতে যেতে
এই পাতার
পশ্চাৎপটের ছবিটি
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের
কিছু বিখ্যাত ছবির
কৃষ্ণকায় করা কোলাজ!
রয়েছে বাংলাদেশের বীর
নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা
সৈনিকদের ছবির পাশে
ভারতীয় সেনাবাহিনীর
ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ
আত্মবলিদানের কথা
কখনোই ভুলবার নয়।
এই পাতার গান কবিতা ও
তথ্য,
কবি-গণসঙ্গীতকার
রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ
সংগ্রহ।
.
আমার সন্তান  কবি আহসান হাবীব। আবৃত্তি শুনুন বাচিক শিল্পী তাহমিমা মুমু এর কণ্ঠে, ভিডিওটি সৌজন্যে  
Tahmina Mumu YouTube Channel ।  কবিতার কথা সৌজন্যে  https://sahittosomvar.wordpress.com/  ।
HOME
বাংলা প্রথম পাতা। HOME BANGLA
কবি আহসান হাবীব
তাকে কেন দুদিনেই এমন অচেনা মনে হয় !
সন্ধ্যায় পড়ার ঘরে একা বসতে ভয় পেত। নিজেই নিজের
ছায়া দেখে কেঁপে উঠত। কনিষ্ঠকে সঙ্গী পেলে তবেই নির্ভয়ে
বসত সে পড়ার ঘরে।
আমার সন্তান
যে আমার হাতের মুঠোয়
হাত রেখে তবে
নিশ্চিন্তে এ-পাড়া
ও-পাড়া ঘুরেছে, গেছে মেলায়
এবং নানা প্রশ্নে
ব্যতিব্যস্ত করেছে আমাকে
আজ
তাকে কেন দুদিনেই এমন অচেনা মনে হয় !
কোথায় বেরিয়ে যায় একা একা ব্যস্ত পায়ে
একা একা
ক্লান্ত হয়ে ফেরে, তার
কোথায় কী কাজ, তার কেন ক্লান্তি?
যখন বাড়িতে
কেন সে দুধের সর না পেলেও এখন একবার
ক্ষুব্ধ দৃষ্টি মেলে দিয়ে তাকায় না মার চোখে চোখে?
যা পায় তা খায় কেন মুখ বুজে
কেন সে হঠাৎ
এমন উত্কর্ণ হয়ে বাইরে চোখ ফেরায়। খোকন
কিছু যেন শুনতে চায়। ঘরে নয় বাইরে কিছু শুনবে বলে
<<<দেয়ালিকার সূচীতে যেতে
এই পাতার
পশ্চাৎপটের ছবিটি
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের
কিছু বিখ্যাত ছবির
কৃষ্ণকায় করা কোলাজ!
রয়েছে বাংলাদেশের বীর
নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা
সৈনিকদের ছবির পাশে
ভারতীয় সেনাবাহিনীর
ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ
আত্মবলিদানের কথা
কখনোই ভুলবার নয়।
এই পাতার গান কবিতা ও
তথ্য,
কবি-গণসঙ্গীতকার
রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ
সংগ্রহ।
কান পাতে। কখনো না খেয়ে
হঠাৎ বেরিয়ে যায়
কোথায়, কোথায়?
কী ভাবনায় আমার খোকন
দুদিনেই এমন গম্ভীর হয়ে গেল
এমন বিষন্ন কেন
দীর্ণবুক দুঃখী মানুষের মতো হাঁটে কেন
এমন বয়স্ক কেন মনে হয় আমার খোকাকে।
কেন সে আমাকে
কিছুই বলে না আর
আমাকে আমার
পূর্বপুরুষের ছেঁড়া মাদুরে বসিয়ে রেখে অসহায়
হেঁটে যায় একাকী এমন রাজদর্পে
এবং তখন তার রাজবেশে আহা
সারা পথ এমন উজ্জ্বল হয়ে
জ্বলে ওঠে কেন।
আর তার কিশোর দেহের কী আশ্চর্য মহিমা।দু চোখে
প্রজ্ঞার আগুন যেন
কণ্ঠস্বর যেন
স্বর্গীয় সংকেতে ঋদ্ধ শব্দাবলি ছড়ায় দুপাশে।
দেখে দেখে মনে হয় কোনো নব পয়গম্বর যেন।
আমার সন্তান যায়
হেঁটে যায়
সামনে যায়
দেহ তার দীর্ঘতর হয়। আরো দীর্ঘ
সন্তানের দেহ
পিতার গর্বিত বুক উঁচু কাঁধ প্রশস্ত ললাট
ছাড়িয়ে সে আরো দীর্ঘ দীর্ঘতর হয়ে
আমার হাতের
নিশ্চিত আশ্রয় ছেড়ে ছুটে যায়।
আসন্ন সন্ধ্যায়
অন্ধকারে ভয় পেয়ে বুকফাটা চিত্কারেপখন
জানতে চাই, এই অন্ধকারে কোথায় সে যেতে চায়, বলে
সামনে যাব।
সামনে কী ভয়াল অন্ধকার। বলে
অন্ধকার পেরোলেই আলো। বলি তাকে
ওপথে অনেক
হিংস্র জন্তুর তীক্ষ্ণ নখর তোমাকে চায়
উত্তরে খোকন
নিচু হাত ঊর্ধ্বে তুলে ঘোরায় তলোয়ার।
.
ওপথে নিশ্চিত মৃত্যু বলে আমি যখন আবার
অসহায় শিশুর মতোই কাঁদতে থাকি
তখন বয়স্ক কোনো পিতার কণ্ঠস্বরে খোকা বলে
‘মৃত্যুই জীবন’| এবং সে আরো বলে
তুমি আর হাতের আড়ালে রেখো না আমার হাত
ভয়ের কাফনে জড়িয়ে রেখো না আর
অন্ধকার ছড়িয়ে রেখো না
আমার দু চোখে পিতা
তোমার চারপাশে বড় অন্ধকার তাই
সামনে যাব
আরো সামনে
সূর্যোদয়ে যাব।
ইতিহাস আয়োজিত সাজানো মেলায়
আলোয় দাঁড়াবো বলে
যখন খোকন যায় আরো দূরে
যতদূরে আমার দুর্বল দৃষ্টি চলে না, তখন
কেঁদে বলি, তুই চলে গেলে
অন্ধকার অপমান নিঃসঙ্গতা এইসব রেখে
তুই চলে গেলে খোকা
আমার কী থাকে বল
যখন কান্নায় ভেঙ্গে পড়ি
হঠাৎ তখন
সন্তানের সেই দৃষ্টি ফেরায় আমার চোখে, বলে
‘পিতার গৌরব !’

ঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃ
গেরিলা '৭১  কবি সোহেল অমিতাভ। আবৃত্তি শুনুন
বাচিকশিল্পী  ফয়সাল আজিজ এর কণ্ঠে, কবিতার কথা ও
ভিডিওটি সৌজন্যে  
VoiceArt YouTube Channel
HOME
বাংলা প্রথম পাতা। HOME BANGLA
কবি সোহেল অমিতাভ
<<<দেয়ালিকার সূচীতে যেতে
এই পাতার
পশ্চাৎপটের ছবিটি
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের
কিছু বিখ্যাত ছবির
কৃষ্ণকায় করা কোলাজ!
রয়েছে বাংলাদেশের বীর
নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা
সৈনিকদের ছবির পাশে
ভারতীয় সেনাবাহিনীর
ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ
আত্মবলিদানের কথা
কখনোই ভুলবার নয়।
এই পাতার গান কবিতা ও
তথ্য,
কবি-গণসঙ্গীতকার
রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ
সংগ্রহ।
তখনো সবকিছু জমে ওঠে নি
পাতা ঝরার মার্চ মাসে
গড়াতে গড়াতে নানি বাড়ি।
শুধু আমরাই নই
মাতুল বশে রসুনের বোয়া
নৃতত্ত্বের সফল সাম্মেলন ঘটে গেল।
ঢাকা-রাজবাড়ী-সৈয়দপুর-ফরিদপুর
ভেঙে পড়ল গণ্ডগ্রাম সমসপুরে।

সে খুব বেশি দিনের কথা নয়
নানা-নানি পরলোকগত হলেও
খানবাড়ির মসজিদে চুনকাম ছিল,
জালালি কবুতরের ডানা ঝপটানিতেও
মুসল্লিদের ধ্যানে বিঘ্ন ঘটে নি।
উকিল মামার পোড়োঘর থেকে
ভয়ার্ত কোনো সাপ ফণা তোলে নি।
শিউলিদের ভিটেয় তখন দাতব্য চিকিৎসা,
ডাক্তার খালু হাট থকে ভেঙে এনেছেন
নিজের ঘরে, শেষ বয়সে,
আমরা সেই আশ্চর্য সময়ের
উৎকণ্ঠিত আমকালে, স্বাধীনতা অপরাধে
শহর ছেড়ে গ্রামবাসী হলাম।

শেখ মুজিব তখন দুর্দান্ত নেতা,
তাঁর গর্জনে খানখান হয়ে ভেঙে পড়ছে
পাকিস্তান।
তিনি এখন ইয়াহিয়ার হাতে বন্দী
তাঁকে কি হত্যা করা হবে,
নাকি তিনি আপস করবেন।
এরকম রাজনীতিচর্চায় খানবাড়িতে
রাত জেগে তর্কাতর্কি।
নির্মম পুর্ণিমার চাঁদ গলে পড়ছে
বেলগাছে, সুতো কাটা ঘুড়ির পাশে
অবহেলায়।

আমার দারুণ ডানপিটে মেজোভাই
মুখে ফেনা ছোটায়---
চারু মজুমদার ছাড়া গত্যন্তর নাই,
দেশে এখন গৃহযুদ্ধ,
অস্ত্র চাই, যুদ্ধে যাব।
পরিশ্রান্ত রেডিওর নব্‌ খোঁজে
মেজর জিয়া
মুক্তিযুদ্ধ কি সত্যিই শুরু হয়ে গেছে,
সে এক প্রবল উৎকণ্ঠা
ভুগোলের বই থেকে ছিঁড়ে আনা
পূর্ব পাকিস্তান, অস্পষ্ট ভারতকে
খোঁজা হচ্ছে সীমান্তের ওপারে।

মেজোভাইকে মনে হচ্ছিল চে'গুয়েভারা,
সমসপুরে আদিগন্ত ফসলের মাঠ
আমার কাছে তখন ল্যাটিন আমেরিকা,
জুলিয়ান ফুচিকের গলার ফাঁসি
মামাবাড়ির জামগাছে ঝুলতে দেখেছি।
তন্ময়তার সেই বিহ্বল দিনরাতে
ভূতের ভয়ের বদলে শুনেছি বুটের শব্দ
পৃথিবীর তাবৎ মুক্তিযুদ্ধের বারুদের গন্ধ
শুঁকেছি একা একা।

ভারত আমাদের সাহায্য দেবেই
এরকম সিদ্ধান্তে অটল মেজোভাই
সহপাঠী মামাতো ভাইকে নিয়ে
গোপন বৈঠকে ব্যস্ত,
সূর্যসেন বাঘা যতীনের চেয়েও
বড় কিছু হতে হবে।

অন্তরালে তৈরি হল
সীমান্তপাড়ির রুট-ম্যাপ।
.
আমার জমানো টাকা
চিঁড়ের পুঁটলি। এই প্রথমবার
মেজোভাই প্রতারণা করলেন,
ওরা পালিয়ে গেল আমাকে ফেলে,
পেছনে পড়ে রইল শিরীখালা,
পারভিন-ইয়াসমিন।
খানবাড়ি হারাল তার টগবগে যৌবন।

তারপর বিধিবদ্ধ ইতিহাস শুরু।
মেজোভাইয়ের সফল সিদ্ধান্ত,
একে একে দৃশ্যামান হল,
স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র, বিঝিসি,
আকাশবাণী থেকে ভেসে আসা তরঙ্গে
মেজোভাইয়ের স্বপ্ন ঝরত।
আমঝুপির প্রবাসী সরকার
শরণার্থীর লংমার্চের পদধ্বনিতে
কেঁপে উঠত বুকের মধ্যে জেগে থাকা
বাংলাদেশ!

জঙ্গল থেকে বেরিয়ে এল হিংস্র থাবা,
চারিদিকে, রাজাকার রাজাকার ভীতি ।
নতুন প্রজাতির এই জন্তুর ভয়ে
ভুতুড়ে হয়ে উঠল আশপাশ,
খানবাড়িতে চাঁদতারা পতাকা উঠল
ঘটা করে।
উঠতি মেয়েরা পাটক্ষেতে
লুকিয়ে রইল সারাবেলা।
দূরে স্টেশনের দিগন্তে
মাছপাড়ায় আগুনের ধোঁয়া
নূরু চেয়ারম্যানের সেই রঙিন কাঠের বাংলো
পুড়ে গেছে স্বাধীনতা দোষে।
এ যাত্রায় বেঁচে গেছে সমসপুর,
বেঁচে গেছে খানবাড়ি, আর্মি এল না।

হতাশার কালো মেঘ
ভয়াবহ বন্যাকেও ছাপিয়ে গেল,
মুক্তিযুদ্ধ বুঝি শুধু আকাশবাণীতেই
দেবদুলাল বন্দ্যোপাধ্যায় ধরে রাখেন
মায়ের পেটের ব্যথা আরো বেড়ে যায়,
মুখভর্তি শ্মশানের ছায়া
মেজো ছেলেকে হারানোর শোকে
পাথর হয়েছেন,
বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্থহীন
আকাশের চিল অমঙ্গলের ইঙ্গিত।
ঠিক এরকম এক দিবাগত বৃষ্টিহীন রাতে
জল ভাঙার শব্দ,
ক্রমান্বয়ে সেই শব্দ দরজার শিকল পেরিয়ে
খিল খুলে দিল।
বড় মামি চিৎকার করে জানতে চাইলেন,
তাঁর ছেলে কোথায়,
কিন্তু এক অদ্ভুত ত্বড়িত গতিতে
তার মুখ চেপে ধরা হল।
খোদার কসম কেটে
মেজোভাই বললেন---
ফরিদ বেঁচে আছে
আর্টিলারি ট্রেনিং নিচ্ছে ইন্ডিয়ায়
এখনো অপারেশানে আসে নি,
দেশ স্বাধীন হলে
আর্মির বড় অফিসার হবে
বড় মামি নির্বাক, নিশ্চুপ।
বাড়ির সমুদয় মাথা
মেজোভাইয়ের মাথার কাছে
ঘনিষ্ঠ হয়ে
ফিসফিস  শব্দে আরো গম্ভীর করে
শেষরাত।

অবাক করে মা দাঁড়িয়ে রইলেন
কিছুই বললেন না,
তাঁর মুখভর্তি গর্বের হাসি,
গোর্কির মায়ের চেয়েও
বলিষ্ঠ মনে হচ্ছিল তাঁকে,
একবারও মেজোভাইকে
বুকে জড়িয়ে ডুকরে কেঁদে
সময নষ্ট করলেন না।
এক সময় সব ভিড় ভেঙে মেজোভাই
আমার মুখোমুখি হলেন,
বিজ্ঞের ভাষায় বোঝাতে চাইলেন
সঙ্গে নিলে কী কী ঘটতে পারত।
ট্রেনিং ক্যাম্পের দুঃসহ কষ্টের কথা বললেন
করিমপুরের কথা, দেরাদুনের, চাকুলিয়ার কথা,
আর মাঝেমধ্যেই কাপড় সবিয়ে হাত-পায়ের
পচা ঘা দেখিয়ে ভয় দেখালেন,
আত্মতৃপ্তির হাসিমাখা মুখে।
এখন তাঁর গেরিলা ট্রেনিং আছে,
সময়ের সাহসী সন্তান
দায়বদ্ধ মুক্তিযোদ্ধা তিনি,
সবাইকে দেশ ছাড়লে চলবে না,
দেশেই ট্রেনিং হবে
নতুন প্রস্তাবনা হাতে
স্বপ্নের স্বর্ণখচিত বাংলাদেশের ছবি,
প্রতিটি বাঙালিকে হতে হবে
এক একটি গ্রেনেড।
যুদ্ধ এবং রক্তের হামাগুড়ি পেরিয়ে
আমরা সেই মানচিত্র পেয়েছিলাম।
মেজোভাই তাঁর সমস্ত অস্ত্র এবং গোলাবারুদ
প্রকাশ্য দিবালোকে, রাষ্ট্রের কাছে
জমা দিয়েছিলেন।
তাঁর বীরগাথা ও জনপ্রিয়তার লেপে
বেশ কিছুদিন আমরা শীত কাটিয়েছি।
মুক্তিযুদ্ধের ফসল রেবা আপা
রেবা ভাবি হলেন।

তারপর হিং টিং ছট!

সেই গণ্ডগ্রাম সমসপুরে
আর ফেরা হয় নি মধু মাসেও।
এখন ওখানে শুধু অভাব আর মানুষ।
চিঠি আসে, আমরা পালিয়ে বাঁচি।

নগরীর অলিতে-গলিতে লুকিয়ে থাকি,
সহসা দেখা হলে---
জীবনের সর্বশ্রেষ্ঠ স্মৃতি
ভেঙে যাবার ভয়ে।
লাইসেন্স, পারমিট আর তালিকাবহির্ভূত
একাত্তরের দুর্ধর্ষ গেরিলা বাহার

এখন মধ্যপ্রাচ্যে জীবনযুদ্ধে
আরব সাগরের তৈলাক্ত জলে
ঝরে পড়া যৌবনের ইতিহাসে
স্মৃতিমালা খোঁজে।

ঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃ
.
এই পাতার পশ্চাৎপটের ছবিটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের কিছু বিখ্যাত ছবির কৃষ্ণকায় করা
কোলাজ! রয়েছে বাংলাদেশের বীর নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা সৈনিকদের ছবির পাশে ভারতীয়
সেনাবাহিনীর ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ আত্মবলিদানের কথা কখনোই ভুলবার নয়। এই পাতার গান
কবিতা ও তথ্য,
কবি-গণসঙ্গীতকার রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ সংগ্রহ।
<<<দেয়ালিকার সূচীতে যেতে
মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে সংকলক, কবি গণসঙ্গীতকার রাজেশ দত্তর কী সম্পর্ক?
মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে মিলনসাগর.কম এর পরিচালক মিলন সেনগুপ্তর কী সম্পর্ক?