৭৫ বছরের স্বাধীনতার দেয়ালিকা |
যে কোনো কবিতায় ক্লিক্ করলেই সেই কবিতাটি আপনার ব্রাওজারের ডান দিক ঘেঁষে ফুটে উঠবে |
|
হর ঘর কবি আর্যতীর্থ হর ঘর কাজ কর , বলো স্বাধীনতা, সব পেট শিখে নিক স্ব-অধীনতা। যতদিন অনুদানে মিটে যাবে খিদে মগজের পরাধীন থাকলে সুবিধে। হর ঘর অক্ষর, শিক্ষার আলো, স্বাধীনতা , এসো তুমি সে প্রদীপ জ্বালো। আলেয়াকে আলো ভেবে ঘুরে মরে যারা কোন পথে রোদ্দুর বুঝে যাক তারা। হর ঘর ঈশ্বর হোন ফিস স্বর ধর্ম চেঁচালে হয় দেশ নিঃস্বর। মাইক লাগে না কোনো পুজো বা আজানে ক্ষমতা দেখানো ওটা উপাসনা ভানে। হর ঘর নারী নর একই মান পাক, একটি বা দুটি শুধু শিশু জন্মাক। ‘ বেটি সরাও’ থেকে ভাবনা উঠুক, যে কটি কন্যাভ্রুণ, সবাই ফুটুক। হর ঘর সব স্বর ভোটে যাক শোনা, আর নয় হেরোদের ঘরে লাশ গোনা। স্বাধীনতা ,বলো তুমি নেতাদের গিয়ে স্বাধীনতা বোঝা যায় বিরোধিতা দিয়ে। |
|
|
এই পাতাটি পাশাপাশি, ডাইনে-বামে স্ক্রল করে! This page scrolls sideways - Left - Right ! |
কবি আর্যতীর্থ মিলনসাগরে কবির পাতা . . . কবির মূল সংগ্রহ . . . কবির ফেসবুক পাতা . . . এখানে তোলা হয়েছে ১৪.৮.২০২২ |
স্বাধীনতা কবি মনিরুল রচনা ১৪.৮.২০২২। স্বাধীনতা তুমি মানস চেতনা, তোমা বিনা পায় মানুষ যাতনা । তোমা লয়ে কত দলাদলি, সবে, তোমা লয়ে গলাগলি॥ ************************ তোমারে বরিতে কত না ভক্তি, কত না স্বপ্ন, আসিবে মুক্তি। তোমারে লভিতে গেল কত প্রান, দেশখানা হল ভেঙে খানখান॥ *************************** স্বাধীনতা তুমি পেরেছো কি দিতে, সবে সম অধিকার? আছে কি জবাব তোমার কাছে, স্বাধীনতা তুমি কার?? ************************** স্বাধীনতা তুমি থাকিও না বাঁধা, শুধুই কলম ও কাগজে। স্বাধীনতা তুমি জেগে ওঠো আজি, সকল মানব মগজে॥ |
কবি মনিরুল কবির ফেসবুক পাতা . . . এখানে তোলা হয়েছে ১৪.৮.২০২২ |
হর ঘর তিরঙ্গা কবি তনিমা হাজরা। রচনা ১৪.৮.২০২২। নেতার হচ্ছে পকেটপূর্তি আমজনতার ঠেঙ্গা, বোলো হর ঘর তিরঙ্গা॥ ক্ষমতা ও বিরোধিতা গোপন যত অন্ধিসন্ধির খেলছে কুমীর ডাঙ্গা, বোলো হর ঘর তিরঙ্গা॥ হিন্দু মুসলিম প্রীতি কে চায়, জারি থাকুক দাঙ্গা, বোলো হর ঘর তিরঙ্গা॥ চাষার বাড়ছে ঋণের বোঝা, থাকছে কপাল পোড়া ভাঙ্গা, বোলো হর ঘর তিরঙ্গা॥ ছাত্র কুটছে মাথা ধর্ণায় চলছে নায্য চাকরির ভিখ মাঙ্গা, বোলো হর ঘর তিরঙ্গা। বাড়ছে দেশে বেকারি আরও বাড়ছে ভুখা নাঙ্গা, বোলো হর ঘর তিরঙ্গা॥ চলছে নোংরা রাজনীতি নোংরা হচ্ছে কাবেরী গোমতী গঙ্গা, বোলো হর ঘর তিরঙ্গা॥ |
কবি তনিমা হাজরা কবির ফেসবুক পাতা . . . এখানে তোলা হয়েছে ১৪.৮.২০২২ |
कवि अखिलेन्दु अरजेरिया कवि का फेसबुक . . . এখানে তোলা হয়েছে ১১.১২.২০২০ |
মহারাজের হুকুমনামা কবি জনার্দন গাইন। রচনা ১৪.৮.২০২২। মহারাজের হুকুমনামা লাগাও ঘরে তিরঙা, গৃহহীনা হলেই বা কি হোক না ভুখা নাঙ্গা! লুটছে ব্যাংক ঝুলছে চাষী দেশ নাকি বেশ চাঙ্গা, নিঃশব্দেই পাপ ধুয়ে যায় শব-বাহিনী গঙ্গা !! খুঁজলে কর্ম দেখায় ধর্ম বাধিয়ে দেয় দাঙ্গা, চাও যদি ভাত শুধাবে জাত বুলডোজারে পাঙ্গা! চাল ডাল তেল ওষুধ ডিজেল হচ্ছে সবই মেহেঙ্গা, শিক্ষা ছাড়ো ভিক্ষা করো উড়াও সবে তিরঙা!! |
কবি জনার্দন গাইন কবির ফেসবুক পাতা . . . এখানে তোলা হয়েছে ১৪.৮.২০২২ |
যাদের জন্য পেলাম আকাশ কবি দেবেশ ঠাকুর । রচনা ১৪.৮.২০২২। যাদের জন্য পেলাম আকাশ স্বাধীনতার প্রণাম নিয়ো আমার দেশের বিদ্রোহী বীর যাদের জন্য সবার বাঁচা নিজস্বতার তাদের মাথায় ছড়িয়ে দিলাম সোনার আবির। কোনওদিন কি ভুলতে পারি পলাশীকে সিরাজ, মোহন, মির মদনকে ভুলতে পারি? বুকের মাঝে রক্তে যে নাম দিলাম লিখে মরেও যারা মরে নাকো,হেরেও হারি? নীল-আগুনে প্রাণ গেল যার ক্ষেত বাঁচাতে ভুলতে পারি সিধু কানু ভৈরব চাঁদ? সন্ন্যাসী আর ফকির যুদ্ধে মজনু সাথে ব্যারাকপুরের মঙ্গলকে? সে আর্তনাদ! ক্ষুদিরামকে ভুলবো নাকো ,প্রফুল্লকে ভুলবো নাকো বারীন্দ্র হেম উল্লাসকর বিনয় বাদল দীনেশ যতীন মর্ত্যলোকে সূর্যসেনের প্রীতিলতার রত্ন আকর। ভুলবো নাকো ভগৎ সিং-এর প্রাণ বলিদান ভুলবো নাকো সুখদেব আর রাজগুরুকে আজাদ, স্বদেশ ভুলবে নাকো তোমার স্লোগান সুভাষ যেমন ইংরেজ কে দিলেন রুখে। তোমাদেরকে ভুললে মুক্তি কথার কথা যাদের প্রাণে জাগল দেশের স্বাধীনতা। |
কবি দেবেশ ঠাকুর মিলনসাগরে কবির পাতা . . . কবির ফেসবুক পাতা . . . এখানে তোলা হয়েছে ১৪.৮.২০২২ |
মিল কবি আর্যতীর্থ। রচনা ১৪.৮.২০২২। রাইয়ের সাথে আমার মোটে দুই বিষয়ে মিল পাবে ঠিক, নয়তো আমি পুবে গেলে , তিনি নেবেন আর কোনো দিক, পশ্চিম তা নাও যদি হয়, নৈঋত বা বায়ু ঈশান, মোটের ওপর পূর্ব ছাড়া অন্য কোনো দিক তিনি যান । মিল শুধু ওই দুজায়গাতে, এই ব্যাপারে নেই যে দ্বিমত বাকি সবেই ঠিক বিপরীত পত্নী পতির দুই অভিমত। অবশ্য আর তাতে বলো তফাত কি হয় এ সংসারে, রাইকিশোরীর সব ডিসিশন, অধম শুধু ঘাড়ই নাড়ে। রাইকে যদি জিগেস করো, হাঁ হাঁ করে বলবে ‘না না, সমান সমান ভাগ রয়েছে এই বাড়িতে ষোলো আনা। আট আনাতে বড় বিষয়, যে সব ভীষণ ভাবার ব্যাপার, আর্যপুত্র আর্য আমার দায় নিয়েছেন সেসব হ্যাপার। বাকি আটে ছোটখাটো গেরস্থালির টুকিটাকি, তাতে মাথা ঘামায় না ও , আমি সেসব নিয়ে থাকি। যারা গুজব ছড়ায় খালি, আমিই নাকি একশো শতক, তাদের বলি ,মোটেই আমি মালিক সাজার করছি না ছক।’ এসব শুনে জানি তুমি রাগ দেখাবে আমার ওপর, ঘরণী যার এমন সুশীল, কিভাবে হয় জেলখানা ঘর? বুঝিয়ে বলি তোমায় তবে আমার ভাগে কোন সে আধা শুনলে পরে চোখের জলের কল খুলে যায় বিনা বাধা। |
কবি আর্যতীর্থ মিলনসাগরে কবির পাতা . . . কবির মূল সংগ্রহ . . . কবির ফেসবুক পাতা . . . এখানে তোলা হয়েছে ১৪.৮.২০২২ |
আমার স্বাধীনতা কবি দেবেশ ঠাকুর । রচনা ১৩.৮.২০২২। ও আমার স্বাধীনতা ও আমার জীবন যাপন শুধু কি কথার কথা? তুমি যে সবচে' আপন। ও আমার স্বাধীনতা ও আমার ইচ্ছে নদী সরোবর--কলমি লতা-- ডুবে যাই প্রাণ অবধি। ও আমার স্বাধীনতা ইচ্ছে আকাশ ছোঁয়ার বাঁচাটাও নিজস্বতা মরুকে ভাসায় জোয়ার। ও আমার স্বাধীনতা তোমাকে দেখবো বলে মেঘ দেয় কোন বারতা দুলছি কালের কোলে। ও আমার স্বাধীনতা বসো এই কুটির দাওয়ায় রয়েছি অবনতা উড়বো পুবের হাওয়ায়। |
কবি দেবেশ ঠাকুর মিলনসাগরে কবির পাতা . . . কবির ফেসবুক পাতা . . . এখানে তোলা হয়েছে ১৪.৮.২০২২ |
কবি পুষ্পিত মুখোপাধ্যায় কবির ফেসবুক পাতা . . . "উদ্ভাস" পত্রিকায় প্রকাশিত কবিতা। রচনা ১২.৮.২০২২ এখানে তোলা হয়েছে ১৪.৮.২০২২ |
তিরঙ্গা নয় কবি আর্যতীর্থ। রচনা ৮.৮.২০২২। তিরঙ্গা না , ত্রিবর্ণ বা তেরঙা থাক বিজ্ঞাপনে, আমবাঙালির তিরঙ্গাতে পানমশলাই আসবে মনে, পতাকা নয়। বাংলা বুলি বাংলা করেই বলুন ম’শয় । প্রতি ঘরে উড়তো আগেও, নতুন কিছু নয় এ প্রথা, ভাবছি শুধু ঘরহারারা ত্রিবর্ণ আজ ওড়ায় কোথা, কাজহারারাও। তাদেরও কেউ দেশপ্রেমের উপায় পাঠাও। এ দেশ এখন একরঙা খুব, চোখরাঙানির লালে ভরা, ব্রেকিং নিউজ , দেশপ্রেমের ছবি সবই হালে গড়া, বাতিল অতীত। তেরঙা কি মানবে তেমন একরঙা ভিত? এই তিরঙ্গা আর পুরনো ত্রিবর্ণ কি এক না পৃথক? খাদি রেশম উল দিয়ে নয়, পলিয়েস্টার প্রিন্টে নিছক, বিদেশীও গ্রহণীয়। দেশ-প্রতীকে ইম্পোর্টেড কাপড় প্রিয়.. সে যাকগে যাক, দেখবে সে সব নয় আগামী, দেশ-পতাকার মতোই আমার ভাষাও দামী, বাংলা-কথন। জন্ম থেকে হৃদমাঝারের অরূপরতন। প্রতি ঘরে তিরঙ্গা নয় ,তেরঙা বা ত্রিবর্ণ তাই। বাংলা যেন শোনায় বাংলা ভাষার মতন । |
কবি আর্যতীর্থ মিলনসাগরে কবির পাতা . . . কবির মূল সংগ্রহ . . . কবির ফেসবুক পাতা . . . এখানে তোলা হয়েছে ১৪.৮.২০২২ |
হকের রাখী কবি আর্যতীর্থ। রচনা ১১.৮.২০২২। স্বাধীনতা, রাখী বাঁধো ভারতের হাতে, পৃথিবীর শেষ তক থেকো একসাথে। আমার তেরঙা হোক তোমার তিলক, ভারতীয় হলে হোক এই রাখী হক। এখনো তোমার বাসা নেতাদের ঘরে, আসোনি সময় করে জনতার স্বরে, বেখাপ্পা কথা হলে খাপ্পা রাজারা, বিচারের আগে দেন আজীবন কারা। স্বাধীনতা, তুমি আজও বড় ধনী-ঘেঁষা গরীবের সাথে নেই মোটে মেলামেশা, ধনহীন জানে কেউ শুনবে না কথা, তার বাক-স্বাধীনতা প্রাক-স্বাধীনতা। তবু ওগো স্বাধীনতা, ছাড়ছি না হাল, আমার আঙনে তুমি আসবেই কাল। ভূমিহীন আদিবাসী প্রান্তিক লোক আশা রাখি একদিন ওঠাবেই চোখ। |
কবি আর্যতীর্থ মিলনসাগরে কবির পাতা . . . কবির মূল সংগ্রহ . . . কবির ফেসবুক পাতা . . . এখানে তোলা হয়েছে ১৪.৮.২০২২ |
कवि अखिलेन्दु अरजेरिया कवि का फेसबुक . . . এখানে তোলা হয়েছে ১১.১২.২০২০ |
স্বাধীন বিশ্ব কবি দেবীস্মিতা দেব। রচনা ১৪.৮.২০২২। স্বাধীন দেশে বেনামী টাকা ওড়ে আজও মহাশূন্যেতে পঁচাত্তরের স্বাধীনতা কালে দরদী নেতারই পুণ্যেতে। এ দেশের কত অবলা গরু পড়ে চোরদেরই খপ্পরে ভেবো না এ গরু মোটেও সে গরু গাছে চড়া গরু গপ্প রে। আরো কিছু লোভী টাকার কুমির ঘাঁটি গেড়ে থাকে বিদেশে অভুক্ত আজও চাপড়ায় বুক থাকি বলো এ যে কী দেশে! মন্ত্রীরা বিজ়ি গরু ও টাকায় আমি তুমি হায়, কী বলি… এই ভারতেরই দোরে কড়া নাড়ে তবু প্ল্যাটিনাম জুবিলি। |
কবি দেবীস্মিতা দেব কবির ফেসবুক পাতা . . . এখানে তোলা হয়েছে ১৪.৮.২০২২ |
স্বাধীনতা মানে কবি রাজেশ দত্ত। রচনা ১৫ অগাস্ট, ২০১৯। ‘স্বাধীনতা’ মানে যুদ্ধের হুংকার? ‘স্বাধীনতা’ মানে সীমান্তে কাঁটাতার? ‘স্বাধীনতা’ মানে পাক-ভারতের লড়াই? ‘স্বাধীনতা’ মানে সমরাস্ত্রের বড়াই? ‘স্বাধীনতা’ মানে কার্গিল-বালাকোট? ‘স্বাধীনতা’ মানে খাদির জহর কোট? ‘স্বাধীনতা’ মানে মাথায় গান্ধি টুপি? ‘স্বাধীনতা’ মানে সেন্সেক্স, জিডিপি? ‘স্বাধীনতা’ মানে আঙুলে ভোটের ফোঁটা? ‘স্বাধীনতা’ মানে একটা বোতাম – ‘নোটা’? ‘স্বাধীনতা’ মানে দিল্লির গোলবাড়ি? ‘স্বাধীনতা’ মানে রাজার নজরদারি? ‘স্বাধীনতা’ মানে তেরঙা বস্ত্রখণ্ড? ‘স্বাধীনতা’ মানে পোখরান বোমা কাণ্ড? ‘স্বাধীনতা’ মানে গুলি-বারুদের ভাণ্ডার? ‘স্বাধীনতা’ মানে ইজ্জৎ শুধু ঝাণ্ডার? |
কবি রাজেশ দত্ত কবির ফেসবুক পাতা . . . মিলনসাগরে কবির পাতা . . . এখানে তোলা হয়েছে ১৫.৮.২০২২ |
আজ স্বাধীনতা কবি অরুণাচল দত্তচৌধুরী। রচনা ১৪.৮.২০২২। স্বাধীনতা মানে ... একদিন ছুটি, বিকেলে শপিং ... দুপুরে মাংস। স্বাধীনতা দিয়ে মাপব ম্যাপএর সকল দ্রাঘিমা আর অক্ষাংশ! বিদেশীরা গেছে। বাতাস শিখল কালো মালিকের হুকুমশব্দ। হাহাকার থাক গ্রামে অরণ্যে, আমার গ্রীষ্ম এসি আরব্ধ! আজ স্বাধীনতা, ময়লা কুড়োনো ছেলেটার মনে বড় আনন্দ ... পাওয়া যাবে বহু কাগজ পতাকা, সাথে ফুলমালা, গোলাপগন্ধ! তাকে বলছিনা, "আমি রোজই খাই, আয় বাছা আজ তুইও দু'মুঠ খা!" স্বাধীনতা মানে ওয়ান ডে ম্যাচ। তিরঙ্গা মানে সস্তা গুটখা। শহিদ হইনি। শহিদস্মরণে টিভিতে করছি তর্কাতর্কি! গরিব বস্তি জ্বললে জ্বলুক, আমার কি তাতে? কিম্বা তোর কি? স্বাধীনতা মানে সাংসদভাতা, নিজেরই বাড়ানো ... সহজে লভ্য। কানে হেডফোন ... ফ্রিতে রিংটোন, ফেসবুকে ভাব ... কটুকাটব্য...! স্বাধীনতা মানে চাষের জমিতে বুলডোজারের রাষ্ট্রশক্তি। অনলাইনের অবাধ সাট্টা। পাট্টা কাড়ার রক্তারক্তি। পাসপোর্টের তৎকাল আছে, বিপিএল-এ নেই সে'সব ফান্ডা। সংবিধানের সমানাধিকার আইনি ভাষায় বুলেট ... ডান্ডা ... কবির কলম, ভালবাসবার স্বাধীনতা খুঁজে ছিন্নভিন্ন। দলিত মেয়ের স্বাধীনতা মাখে অপমান আর আগুনচিহ্ন। চালাক ছেলেটা সফটওয়্যারের, অভাগীর ছেলে যায় সীমান্তে! হিসেব কিছুতে মিলতে চায়না, পোড়া এ'দেশের সকল প্রান্তে! স্বাধীনতা নয় কর্পোরেটের যত্নে সাজানো দেয়ালচিত্র। স্বাধীনতা হোক আগুন ফুলকি ... বাঁচার ইচ্ছে ... পূত পবিত্র। ভুলভুলাইয়া যাক মুছে যাক। স্বাধীনতা ভুল অর্থে আর না! হে স্বদেশ, তুমি শুনতে পাচ্ছো, একশ' কোটির সকল কান্না? |
কবি অরুণাচল দত্তচৌধুরী কবির ফেসবুক পাতা . . . এখানে তোলা হয়েছে ১৫.৮.২০২২ |
বাতাসে লাশের গন্ধ কবি রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ। আজো আমি বাতাসে লাশের গন্ধ পাই, আজো আমি মাটিতে মৃত্যুর নগ্ননৃত্য দেখি, ধর্ষিতার কাতর চিৎকার শুনি আজো আমি তন্দ্রার ভেতরে- এ দেশ কি ভুলে গেছে সেই দুঃস্বপ্নের রাত, সেই রক্তাক্ত সময়? বাতাসে লাশের গন্ধ ভাসে, মাটিতে লেগে আছে রক্তের দাগ। এই রক্তমাখা মটির ললাট ছুঁয়ে একদিন যারা বুক বেঁধেছিলো। জীর্ণ জীবনের পুঁজে তারা খুঁজে নেয় নিষিদ্ধ আঁধার। আজ তারা আলোহীন খাঁচা ভালোবেসে জেগে থাকে রাত্রির গুহায়। এ যেন নষ্ট জন্মের লজ্জায় আড়ষ্ট কুমারী জননী, স্বাধীনতা, -একি তবে নষ্ট জন্ম? একি তবে পিতাহীন জননীর লজ্জার ফসল? জাতির পতাকা খামচে ধরেছে আজ সেই পুরোনো শকুন। বাতাশে লাশের গন্ধ- নিয়ন আলোয় তবু নর্তকীর দেহে দোলে মাংসের তুফান। মাটিতে রক্তের দাগ- চালের গুদামে তবু জমা হয় অনাহারী মানুষের হাড়। |
কবি রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ কবিতাটি আমরা পেয়েছি শ্রী অনাবিল সেনগুপ্তর ফেসবুক থেকে। তাঁর ফেসবুক পাতা . . . এখানে তোলা হয়েছে ১৫.৮.২০২২ |
স্বাধীনতা কবি আর্যতীর্থ। রচনা ১১.৮.২০২২। স্বাধীনতা। স্বাধীনতা। বাতাসের মতো অদৃশ্য, অক্সিজেনের মতো দরকারি। স্বাধীনতা। নিজের বাড়িতে নিজের রোজগারে ভরপেট ভাত রুটি তরকারি। স্বাধীনতা। বন্দেমাতরম না বলে জয় হিন্দ বললে যার তফাত হয়না। স্বাধীনতা। শুধু গেরুয়া নয়, সাদা আর সবুজও যে পতাকার গয়না। স্বাধীনতা। এল ও সি'র ওপারের গুলিতে ঝাঁঝরা হওয়া সৈনিকের শেষ নিঃশ্বাস। স্বাধীনতা। পালটাবে একদিন , সোনার স্বপ্ন দেখা কিছু মনে আজও বেঁচে থাকা বিশ্বাস। স্বাধীনতা। জন গণ মন শুনে বাড়িতে সোফার থেকে সটান দাঁড়ানো। স্বাধীনতা। কোহলি ,বিজেন্দর, মেরি কম ,দীপাতে আবেগের উচ্ছাসে তেরঙ্গা ওড়ানো। স্বাধীনতা। এখনো বলতে পারা গর্বিত প্রেম নিয়ে এই কাজ হচ্ছে না ভালো। স্বাধীনতা। চারিদিক আঁধারেও ভরসা করার মতো জাগরুক আলো। নাগরিক কি খাবে শাসকের বেঁধে দেওয়া মাংস আইনে। স্বাধীনতা নয়। বাড়িতে আনাজ নেই, পাঁচশো হাজার নিয়ে আবালবৃদ্ধ সব দাঁড়ানো লাইনে। স্বাধীনতা নয়। |
কবি আর্যতীর্থ মিলনসাগরে কবির পাতা . . . কবির মূল সংগ্রহ . . . কবির ফেসবুক পাতা . . . এখানে তোলা হয়েছে ১৫.৮.২০২২ |
লবণ কবি আর্যতীর্থ। স্বাদ-হীনতা চালিও না কেউ স্বাধীনতা বলে, এই দেশটার সমস্ত ঝাল অম্বলে আর ঝোলে, স্বাধীনতা লবণ হয়ে ছড়িয়ে থাকে যেন, কারোর জিভে টেস্টি , কারো আলুনি হয় কেন। লবণ থেকেই শেষের লড়াই শুরু স্বাধীনতার সেই যে বাপু বলেন ব্রিটিশ ভারত ছাড়ো এবার। নাগরিকের রোজের রাঁধায় সে নুনটুকু বাদ না, স্রেফ পতাকা এবং ভাষণ স্বাধীনতার স্বাদ না। সেই সে আগের রাওলাট নাম বদলে এন এস এ সন্দেহতেই তুলবে পুলিশ তোমার ঘরে এসে। অভিযোগের নথির কাগজ দিতে সে নয় বাধ্য, স্বাদ-হীন এই কানুনে নেই চেনা নুনের স্বাদ তো। রাষ্ট্র করেন যেমন খুশি আইন নিয়ে রান্না, স্বাদ-হীন সে খানায় স্বাধীন লবণ দিতে চান না। কোনটা ঘৃণা, কোনটা তা নয়, গুলিয়ে ফেলেন শেফ তা নুনছাড়া কেউ, কারোর ভাগে সল্টি বাদাম পেস্তা। কাটা ঘা-রা অনেক আছে ইতিহাসের গাত্রে, রোজই আরো নুন ভরা হয় ছিটিয়ে দেওয়ার পাত্রে। সে নুনপোড়া খাবারগুলো ফেক নিউজের লক্ষ্মী, না খেয়ে আর পার পাবে কে , রাজাই যখন রক্ষী। অধিকারের পদগুলো আজ স্বাদ-হীনতার খুঁতময়, স্তম্ভ সঠিক লবণ দেবেন, তেমন আশাও খুব নয়। ফান্ডামেন্টাল রাইট মোছেন রাইট ফান্ডামেন্টাল, স্বাধীনতার নোনতা স্বাদের করতে বদল দেন ঝাল। স্বাদ-হীনতায় কাটছে এখন স্বাধীনতার দিনকাল। |
কবি আর্যতীর্থ মিলনসাগরে কবির পাতা . . . কবির মূল সংগ্রহ . . . কবির ফেসবুক পাতা . . . এখানে তোলা হয়েছে ১৫.৮.২০২২ |
কবি আর্যতীর্থ মিলনসাগরে কবির পাতা . . . কবির মূল সংগ্রহ . . . কবির ফেসবুক পাতা . . . এখানে তোলা হয়েছে ১৫.৮.২০২২ |
তিনখানা চশমা কবি আর্যতীর্থ। ভিডিওতে কবিতা পাঠে বাচিক শিল্পী মৌসুমী সেন চৌধুরী। |
কবি আর্যতীর্থ মিলনসাগরে কবির পাতা . . . কবির মূল সংগ্রহ . . . কবির ফেসবুক পাতা . . . এখানে তোলা হয়েছে ১৫.৫.২০২২ |
পা কবি আর্যতীর্থ দেশের মাথা কোথায় গেলো কবির বলা কাজ না, বিজ্ঞাপনের ঢাক বাজাবেন তার তালে বাজনা কবির নজর আকাশে নয় , মাটির দিকে থাকে, দেশের বাকি তোমরা দেখো, কবি দেখুক পা’কে। যতই মাথা ছুঁক না আকাশ, সবার থেকে উঁচু, পা যদি না সামনে এগোয়, তখন সে স্রেফ স্ট্যাচু। কোটিপতির সংখ্যা বেড়ে লাখ ছুঁয়ে যাক সেনসেক্স, দেশটা কেমন বোঝায় কিন্তু হাংরি থাকার ইনডেক্স । দেশের পায়ে বাঁধলে শেকল, বন্ধ মাথার চলা, চলছি বলে চেঁচিয়ে যতই উঠুক স্তাবক গলা। শিক্ষা যখন ভিত না বানায় যুক্তিবাদের মনে, সময় সে দেশ বাদ দিয়ে দেয় ভাবীর আমন্ত্রণে। দলিত এবং আদিবাসীর লাভ হলো কী কোটায়, নাকি নতুন শ্রেণীর উদয় ফায়দা শুষে লোটায়, এই কথাটার আলোচনা নেই কোনো জায়গাতে, পঁচাত্তরেও জাতিভেদের লাগছে কালি পা-তে। |
কবি আর্যতীর্থ মিলনসাগরে কবির পাতা . . . কবির মূল সংগ্রহ . . . কবির ফেসবুক পাতা . . . এখানে তোলা হয়েছে ১৫.৮.২০২২ |
স্বাধীনতার গান কবি আর্যতীর্থ স্বাধীনতার গান। আজ যুক্তি তক্কো রাখ আজ নিন্দা করিস না দেশের যত কালো নিয়ে ভেবে মরিস না আজ নতুন রঙের ভোর আজ স্বাধীনতা তোর আমদুনিয়া সমঝে চলুক ভারতবাসীর জোর। যত চোর নেতা বাটপার আজ তাদের দিলাম ছাড় আজকের দিন আমার দেশটা স্বপ্নের সংসার। আজ ওপর দিকে তাকা ওড়ে তিনরঙা পতাকা অশোকচক্রে আজকে আমার গর্বিত মন রাখা আজ মনে থাকুন কালাম এই তাঁর পথে পা দিলাম আজকে যেন এক হয়ে যায় নমস্কার আর সালাম আজ কান্না ভুলে হাসি আজ স্বপ্ন রাশি রাশি আজ একবারটি জোরসে বলা আমরা ভারতবাসী! |
কবি আর্যতীর্থ মিলনসাগরে কবির পাতা . . . কবির মূল সংগ্রহ . . . কবির ফেসবুক পাতা . . . এখানে তোলা হয়েছে ১৫.৮.২০২২ |
অধিকার কবি আর্যতীর্থ অধিকার স্বাধীনতার । অধিকার স্বাধীন কথার । অধিকার নির্বাচনের । অধিকার নির্বাধ বাচনের। অধিকার রোজ রুটির। অধিকার রোজগারে রুটির। অধিকার সমানতার। অধিকার সম মান্যতার। প্রথমগুলো দেওয়ার অভিনয় জারি। দ্বিতীয়তে থিতু অন্ধকার। অধিকার সাক্ষর হওয়ার। অধিকার স্বাক্ষর দেওয়ার। অধিকার ধর্ম বাছার। অধিকার ধর্ম থেকে বাঁচার। অধিকার ভালবাসার। অধিকার ভালো বাসার। অধিকার নিজের ঘরের। অধিকার নিজের শেকড়ের। প্রথম দেওয়ার ভানগুলো আছে। দ্বিতীয়টা পেতে দেরী আছে ঢের। অধিকার রোগের দিনে শুশ্রূষার। অধিকার রোগহীন সুস্থতার। অধিকার জীবনে সাথী বাছার । অধিকার স্ব- ইচ্ছেয় সাথী বাছার। অধিকার নাগরিক নথির । অধিকার শাসকের সাথে অসম্মতির। অধিকার অনুদান ভিক্ষার। অধিকার রোজগেরে শিক্ষার। প্রথম সারি গণতান্ত্রিক ফাউ। দ্বিতীয় চাইবে সে সাহসী জিভ কার? অধিকার। সংজ্ঞাটা ঠিক করে যে সময়ে গদি যার। রাজার বদল হলে বদলায় বোধই তার। |
কবি আর্যতীর্থ মিলনসাগরে কবির পাতা . . . কবির মূল সংগ্রহ . . . কবির ফেসবুক পাতা . . . এখানে তোলা হয়েছে ১৫.৮.২০২২ |
স্বাধীন কিনা কবি আর্যতীর্থ। রচনা ১৫.৮.২০২২। দেশ পড়েছে পঁচাত্তরে। ফোনে ফোনে প্রশ্ন ঘোরে, এই যে নাচা তা ধিন ধিনা, সত্যি এ দেশ স্বাধীন কিনা। সত্যি বলতে, সন্দেহ হয়, চারদিকে যা জমেছে ভয়, সাংবিধানিক শব্দ মেনে নিন্দা করাও রাষ্ট্রদ্রোহ, সামনে ভেবে পেছনে নেয় ধার্মিকতার অন্ধ মোহ, পাইয়ে দেওয়ার রাজনীতি পা দিচ্ছে মাথায় যোগ্যতারই, যখন তখন ঘটতে পারে জামিনবিহীন গেরেপ্তারি, জন্ম দেখেই ঠিক হয়ে যায় জীবনসাথীর ঝাড়াইবাছাই, সত্যি বলতে , অনেক কাজেই খুব পরাধীন আমরা সবাই। তার মানে কি স্বাধীনই নই? যে সব জোয়াল দুই কাঁধে বই, এমন ভাবেই সেটার ভারে বেঁকেছে শিরদাঁড়া, হুজুর বলেই কচলাবো হাত, কক্ষনো নই খাড়া? কে বেঁধেছে হাত পা বলো, মাথাই বা কার কেনা? কে বলেছে ভাবছো যেটা করতে তা পারবে না? |
|
বুঝি না ভাষার কূটকচালি কবি মনিরুল। |
কবি মনিরুল কবির ফেসবুক পাতা . . . রচনা ১৫.৮.২০২২ এখানে তোলা হয়েছে ১৫.৮.২০২২ |
কবি আর্যতীর্থ মিলনসাগরে কবির পাতা . . . কবির মূল সংগ্রহ . . . কবির ফেসবুক পাতা . . . এখানে তোলা হয়েছে ১৫.৮.২০২২ |
ছাই ১ কবি আর্যতীর্থ। রচনা ১৫.৮.২০২২। চারদিকে আগুন দেখে , অসহায় তাকিয়ে থাকি, এ বিভেদ থামবে যখন, কিছু কি রইবে বাকি? আমরা তাড়াই সবুজ, ফুলেদের করছি দূরে ভগবান বন্দী হলেন, শ্লোগানের বিশ্রী সুরে। আমাদের বাস্তু ফাটা, ভাঁড়ারে শূন্য পুঁজি, তবু রোদচশমা ভেবে , দুচোখে ধর্ম গুঁজি। ধর্ম খাচ্ছে মানুষ, কিছু আর রাখবে নাকি, আগামীর ভূমি জুড়ে, তবে কি ধূসর খাকই? এ কেমন দেশ হয়েছে, চলে যে অতীত সেঁকে, কিছু কি শেখেই নি কেউ, বু্দ্ধ, অতীশ থেকে? ইতিহাস হচ্ছে বদল, দখলের ইচ্ছেমাফিক, কোনটা তথ্য আসল, বোঝা আর যায়না তা ঠিক রাজা আর বাদশা এখন, দুইফাঁক আমরা ওরায়, এতরফ কবর খোঁড়ে, ওতরফ লাঠি ঘোরায়। বুঝি না অন্ধকারে , কি আলোয় ভরসা রাখি, লাইটহাউস ভাবছি যাকে, আসলে সত্যি তা কি? এ আগুন পোড়ায় আমায়, তোমাকেও ছাড়ে না যে, কেন পুড়ি সওয়াল হলেই, যুদ্ধের ডংকা বাজে। |
স্বাধীনতা কবি বিদিশা করীম। ভিডিওটি ইউটিউবে দেখতে এখানে ক্লিক করুন . . .। ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দের ১৫ই আগস্ট সেদিন ভারত হল স্বাধীন, সেদিন মুছে গেল ভারতের কালো দিন। ভারতীয়রা ভাবতো ইংরেজ অপরাজেয় তারা হারেনা, হারেনি কখনোই। ভারত রাগ-ক্ষোভের আগুন জ্বালালো ইংরেজদের নামিয়ে দিল অপরাজয়ের খেতাব থেকে, সেরার সিংহাসন থেকে ভারত উঠলো জ্বলে, তারা ক্ষুধার্ত ছিল স্বাধীনতার স্বাদে। গান্ধীজীর "ভারত ছাড়ো", নেতাজীর "আজাদ হিন্দ ফৌজ", ক্ষুদিরামের "কিংসফোর্ড হত্যা", ভগৎ সিং এর "আইনসভা তে বোমা" -এইসবই ছিল এক অনবদ্য কাজ। সবার লক্ষ্য ছিল এক, শেষ হোক ভারতে ব্রিটিশ রাজ। -এতে সহস্র বিপ্লবীরা হয়েছিলেন বন্দী, অনেকে করেছেন নানা ফন্দি- এতে অনেকে গলায় পরেছেন ফাঁসির দড়ি। |
কবি বিদিশা করীম মিলনসাগরে কবির পাতা . . . কবির ফেসবুক . . . এখানে তোলা হয়েছে ১৫.৮.২০২২ |
কবি নূপুর রায় (রিনঝিন) কবিতাটি আমাদের পাঠিয়েছেন কবি গণসঙ্গীতকার রাজেশ দত্ত। মিলনসাগরে কবি রাজেশ দত্তর পাতা . . . এখানে তোলা হয়েছে ১৫.৮.২০২২ |
স্বাধীনতা এক অলীক স্বপ্নের দেশ কবি নূপুর রায় (রিনঝিন)। রচনা ১৫.৮.২০২২। ভোরের শিশির গায়ে মেখে পথচলা ধোঁয়া ওঠা মৃৎপাত্রে চুমু খায় ঠোঁট। বয়সে বেড়েছে স্বাধীনতা পঁচাত্তরে! অগুনতি প্রাণ বিনিময়ে স্বাধীনতা! পরাধীনতার বেড়ি খুলে পায়ে পায়ে... আজ কোনায় কোনায় উড়ছে তিরঙ্গা। ভুখা পেট! ভিক্ষাপাত্র নিয়ে ফুটপাতে রঙ মাখা মুখ, রাতের আঁধার খোঁজে সন্তানের মুখে তুলে দিতে ক্ষুধার অন্ন। হাত বদলায়, রঙ বদলায় কত মুখে আওড়ানো নানা ফুলঝুরি বুলি বড়ো বোকা যারা, ক্যানভাসে ছবি আঁকে। কোথায় কেমন স্বাধীনতা আজ তুমি! মননে মানুষ খুঁজে ফেরা বৃথা চেষ্টা সাম্য মৈত্রী অলীক স্বপ্নের এক দেশ! |
কবি আর্যতীর্থ মিলনসাগরে কবির পাতা . . . কবির মূল সংগ্রহ . . . কবির ফেসবুক পাতা . . . এখানে তোলা হয়েছে ১৫.৮.২০২২ |
ছাই ২ কবি আর্যতীর্থ। রচনা ১৫.৮.২০২২। ভোরের কুয়াশা মেখে একটা বিশাল মিছিল পথে নেমেছে। নানা ভাষা নানা বেশে স্লোগান দিচ্ছেন যারা, তাঁদের দিব্যি চেনা যায় কারোর মূর্তি আছে যত্নে সাজানো, কারোর দেখেছি ছবি হিস্ট্রির বই-য়ে, আর আরো অনেককে সেলুলার লাহোর ও আলিপুর জেলে ভারাক্রান্ত নামের তালিকায়। আজ পঁচাত্তর বছর স্বাধীনতা অতিক্রান্ত করে, কেন যেন ওরা নেমে এসেছেন অকস্মাৎ জীবিত পৃথিবীতে! আর কি অদ্ভুত ,অলৌকিক মিছিল চলেছে এক আশ্চর্য শ্লোগান দিতে দিতে, অগণিত অশরীরী সমস্বরে বাতাস কাঁপিয়ে বলে চলেছেন ‘ছাই চাই! চাইনা ঠাঁই, ছাই চাই!’ কি প্রচণ্ড ক্রোধ সেই স্বরে, কি ভীষণ বিষণ্ণতা লেগে আছে মুখে, চোখ থেকে মুছে গেছে সব রোশনাই। মিছিলের পুরোভাগে মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী, পাশেই সুভাষ চন্দ্র বোস হাঁটছেন, কি আশ্চর্য, তাঁদের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ক্ষুদিরাম, তিন যতীন , মাস্টারদা সূর্য সেন.. আমি কি ভুল দেখছি? চোখ কচলে আবার দেখি হেঁটে যাচ্ছেন নেহরু, প্যাটেল, খান আব্দুল গফফর খান, তাঁদেরই পাশে ভগৎ সিং আসফাকুল্লা খান চন্দ্রশেখর আজাদ, সংগ্রামে কখনো ছিলোনা যাদের সহাবস্থান, তাঁরাই আজকে মিছিলে এক! চিত্তরঞ্জন দাসের পাশাপাশি মানবেন্দ্র রায়, বাল গঙ্গাধর তিলক হাঁটছেন কানাইলালের সাথে, সকলে দৃপ্তস্বরে তোলেন সেই একই স্লোগান, মুখগুলো বেঁকে যাচ্ছে অবর্ণনীয় কোনো যন্ত্রণাতে, ‘ছাই চাই! চাইনা ঠাঁই, ছাই চাই!’ |
কবি আর্যতীর্থ মিলনসাগরে কবির পাতা . . . কবির মূল সংগ্রহ . . . কবির ফেসবুক পাতা . . . এখানে তোলা হয়েছে ১৫.৮.২০২২ |
প্রেম ভক্তি কবি আর্যতীর্থ। রচনা ১৫.৮.২০২২। দেশপ্রেমিক হয়ো সবাই, ভক্ত হয়ো না, দেশপ্রেমিক সব নাগরিক দেশের গহনা, ভক্তি বড় অন্ধ করে, পুজো নিকষ অন্ধকারে, ভারতমাতা তখন ভীষণ লোহিতনয়না। সব দেশেতেই গুণের সাথে থাকে কিছু খুঁতও, থিতু রাখে যেসব বেঠিক ভোট কুড়োবার ছুতো। গড্ডলিকার কোলাহলে , সেসব সারাই করতে হলে, বুঝতে হবে কাদের হাতে দেশ নাচাবার সুতো। কোনটা খারাপ, না বললে তা ঠিক কি করে হবে? নিজের থেকে সমাজ আবার ঠিক হয়েছে কবে? ভুল দেখাবার স্বাধীনতা, দেশ এগোবার ওটাই প্রথা শোধরাতে যায় খারাপ বলা প্রেমের অনুভবে। |
घर घर नाली घर घर गैस अज्ञात कवि। |
अज्ञात कवि सोसियल मिडिया से प्राप्त . . . এখানে তোলা হয়েছে ১৫.৮.২০২২ |
কবি বিপুল চক্রবর্তী মিলনসাগরে কবির পাতা . . . কবির ফেসবুক পাতা . . . এখানে তোলা হয়েছে ১৫.৮.২০২২ |
কবি বিপুল চক্রবর্তী মিলনসাগরে কবির পাতা . . . কবির ফেসবুক পাতা . . . এখানে তোলা হয়েছে ১৫.৮.২০২২ |
আমার কৈফিয়ৎ কবি কাজী নজরুল ইসলাম। কবির "সর্বহারা" গ্রন্থের কবিতা। বর্তমানের কবি আমি ভাই, ভবিষ্যতের নই ‘নবী’! কবি ও অকবি যাহা বল মোরে মুখ বুজে তাই সই সবি ! . কেহ বলে, ‘তুমি ভবিষ্যতে যে . ঠাঁই পাবে কবি ভবীর সাথে হে ! যেমন বেরোয় রবির হাতে সে চিরকেলে-বাণী কই কবি?’ দুষিছে সবাই, আমি তবু গাই শুধু প্রভাতের ভৈরবী ! কবি-বন্ধুরা হতাশ হইয়া মোর লেখা প’ড়ে শ্বাস ফেলে ! বলে, ‘কেজো ক্রমে হচ্ছে অকেজো পলিটিক্সের পাঁশ ঠেলে ! . পড়েনাক’ বই, ব’য়ে গেছে ওটা’ . কেহ বলে ‘বৌ এ গিলিয়াছে গোটা !’ কেহ বলে, ‘মাটী হ’ল হয়ে মোটা জেলে ব’সে শুধু তাস খেলে ! কেহ বলে, ‘তুই জেলে ছিলি ভালো, ফের যেন তুই যাস্ জেলে। গুরু ক’ন, ‘তুই করেছিস শুরু তরোয়াল দিয়ে দাড়ি চাঁছা ! প্রতি শনিবারী চিঠিতে প্রেয়সী গালি দেন, ‘তুমি হাঁড়িচাঁচা !’ . আমি বলি, প্রিয়ে, হাটে ভাঙি হাঁড়ি ! . অম্ নি বন্ধ চিঠি তাড়াতাড়ি ! সব ছেড়ে দিয়ে করিলাম বিয়ে, হিন্দুরা ক’ন ‘আড়ি চাচা !’ যবন না আমি কাফের ভাবিয়া খুঁজি টিকি দাড়ি নাড়ি কাছা ! |
কবি কাজী নজরুল ইসলাম মিলনসাগরে কবির পাতা . . . এখানে তোলা হয়েছে ১৫.৮.২০২২ |
কবি পুণ্যতোয়া বন্দ্যোপাধ্যায় কবির ফেসবুক পাতা . . . এখানে তোলা হয়েছে ১৫.৮.২০২২ |
পঁচাত্তরে স্বাধীনতা কবি পুণ্যতোয়া বন্দ্যোপাধ্যায়। রচনা ১৫.৮.২০২২। ২০১৭ সালে লেখা কবিতা "সত্তরে স্বাধীনতা" এর সংযোজন . . . পঁচাত্তরে আবার স্বাধীনতা অস্পৃশ্যতা আঁধার মোড়ক ঘেরা- হিন্দি রাজ্যে সিল্কি পতাকা তুলি দলিত খুনেই হিন্দুরাজ্য সেরা । ফের বলি তাই আমার স্বাধীনতা দেশদ্রোহী তুই কলমের গর্জনে জেলে বসে লেখ তোর স্বপ্নের দেশ ! আনিশ কিংবা গৌরী বাঁচুক গানে। নেশাতুর তুই আমার স্বাধীনতা যুদ্ধ যুদ্ধ খেলায় মাতিস রোজ লাঙ্গলের নীচে ফলাচ্ছে যারা প্রাণ, তাদের প্রাণেই অকারণ প্রতিশোধ । মায়ের অসুখ, প্রাণের অঙ্ক মোটা পাশ দিয়ে বসে পরীক্ষা সরকারি চাকরিটা চাই বললেই হল বুঝি? আছে কতো আরও দুর্নীতি দরকারি! |
কবি সমরেন্দ্র বিশ্বাস কবির ফেসবুক . . . কবিতাটি আমরা পেয়েছি কাজরি রায়চৌধুরীর ফেসবুক থেকে . . . এখানে তোলা হয়েছে ১৫.৮.২০২২ |
স্বাধীনতা তুমি কবি সমরেন্দ্র বিশ্বাস। কবির "অনন্ত জলশব্দে আমি" কাব্যগ্রন্থের কবিতা। স্বাধীনতা তোমাকে খুঁজেছি আমি শিশুটির শীর্ণ হাতে , তেরঙ্গা ঝান্ডায় , ভাঙা চোরা লেভেল ক্রসিংএ – যেখানে দাঁড়িয়ে শিশু ঝাণ্ডা ফিরি করে । স্বাধীনতা তোমাকে খুঁজেছি আমি উদভ্রান্ত কিশোরের চোখে , রাস্তা যার প্রসারিত থাকে নামহীন অন্ধকারে , দিশাহীন দিকে । তোমাকে দেখেছি আমি যুবকের বুকে , গায়ে গেঞ্জী ব্রান্ডেড কোম্পানীর , তাতে লেখা -“ ধ্বংস হও” , স্বাধীনতা , তোমার বুকে কেন আজো বোধহীন যুবকের অসহায় রাগ ? স্বাধীনতা তোমাকে দেখেছি আমি কলোনির ভাঙা চালে , ঢ্যাঙ্গা গাছের ফাটা বাকলের ডালে , যেখানে যন্ত্রণারা আজো হাহাকারে কাঁদে । স্বাধীনতা তোমাকে জেনেছি আমি ধর্মান্ধ প্রৌঢ়ের দূর্বিনীত চিৎকারে , অনর্গল লাঠি টুপি মার্চ করে , অসহিষ্ণুতা জ্বালায় আগুন জনতার ঘরে । স্বাধীনতা তোমাকে দেখেছি হাহাকারে , শূন্য থাকা পেনশন খাতায় , বৃদ্ধাশ্রমে , ছেলে কারো স্বাধীনতা নিয়ে আমেরিকা থাকে , মাঝে মাঝে পদ্য লেখে । |
দুষ্টকবি মিলনসাগরে কবির পাতা . . . কবির ফেসবুক . . . এখানে তোলা হয়েছে ১৬.৮.২০২২ |
এখনো বলবে দেশ আজাদ? দুষ্টকবি। রচনা ১৫ই অগাস্ট ২০২২। ৭৫ বছরের স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে মনুবাদী বর্ণাশ্রমের, জাতপাতে নিমজ্জ সমাজব্যবস্থার মাথা চাড়া দেওয়া, নীচু জাতের নয় বছরের শিশু ইন্দ্র মেঘওয়ালের, তাঁরই স্কুলের হেড-মাস্টার দ্বারা নৃশংস প্রহারে মৃত্যু . . . স্বাধীনতার পঁচাত্তর পার হলো চারি দিকে কথা ভালো ভালো ঘরে ঘরে “তিরঙ্গা” তোলো অমৃতের মহোৎসবেও “জাত”! এখনো বলবে দেশ আজাদ? মহোৎসবের এ কেমন ধূম!? শিক্ষক শিশুকে করে খুন!? দোষ তার সে যে নীচু জাত! ন’বছরও যায়নি যে বাদ! এখনো বলবে দেশ আজাদ? জলপাত্র ছুঁয়ে দিয়েছিল সবর্ণের জল ছুঁয়েছিল! পিপাসায় কেন ভুলেছিলো? সে অচ্ছ্যুৎ, সে যে নীচু জাত! এখনো বলবে দেশ আজাদ? গোঁফ রেখে খায় মারধোর ঘোড়া চড়ে কেন যাবে বর? নীচু জাত! বড় বেশী বাড়! ফের বেড়াজালে জাত-পাত এখনো বলবে দেশ আজাদ? |
কবি দীপঙ্কর মুখোপাধ্যায় কবির ফেসবুক পাতা . . . রচনা ১৬.৮.২০২২ এখানে তোলা হয়েছে ১৬.৮.২০২২ |
কবি শুভ জোয়ারদার মিলনসাগরে কবির পাতা . . . কবির ফেসবুক পাতা . . . রচনা ১৫.৮.২০২২ এখানে তোলা হয়েছে ১৬.৮.২০২২ |
কবি শুভ জোয়ারদার মিলনসাগরে কবির পাতা . . . কবির ফেসবুক পাতা . . . রচনা ১৫.৮.২০২২ এখানে তোলা হয়েছে ১৬.৮.২০২২ |
পঁচাত্তরতম স্বাধীনতা দিবস কবি বিষাণ রুদ্র এক -- আজকে তোমার বেল পেকেছে আমরা যেন কাক, আমাদের তাড়িয়ে বেড়ায়, উড়িয়ে বেড়ায় তোমার জয়ঢাক। ---------------------------------- দুই -- স্বাধীনতা মানে শাসন, ত্রাসন, নাশন, অনৃত ভাষণ সূর্যকে ঢেকে আকাশে রঙিন ঘুড়ি ভগৎ সিং-ক্ষুদিরাম, বিনয়-বাদল-দীনেশ, সূর্য সেন-সইফুদ্দিন কিচলু, প্রীতিলতা প্রমুখ জানা অজানা শত শত শহীদের বুকে ছুরি। ---------------------------------- তিন -- তুমি কি এমনি করেই রয়ে যাবে চিরদিন অধরা মাধুরী আমাদের থেকে তোমাকে সরিয়ে রাখতে আজ একদিকে কত না স্থূল আস্ফালন আর একদিকে শৈল্পিক কারিকুরি। ----------------------------------- |
কবি সৃজন সেন মিলনসাগরে কবির পাতা . . . এই ছড়াটি পাঠিয়েছেন কবি গণসঙ্গীতকার রাজেশ দত্ত মিলনসাগরে তাঁর কবিতার পাতা . . . এখানে তোলা হয়েছে ১৬.৮.২০২২ |
কবি বিষাণ রুদ্র কবির ফেসবুক . . . এই কবিতাটি পাঠিয়েছেন কবি গণসঙ্গীতকার রাজেশ দত্ত মিলনসাগরে তাঁর কবিতার পাতা . . . এখানে তোলা হয়েছে ১৬.৮.২০২২ |
স্বাধীনতা ৭৫ কবি বিষাণ রুদ্র রচনা ১৫ই অগাস্ট ২০২২। উনিশশো একাত্তর স্বাধীনতা আর দু'পা ঠিক তখনই ঘটে গেল কাশীপুর বরানগর গণহত্যা পালাতে গিয়ে গুলি লেগে তখন থেকেই জন্ম-রুগী স্বাধীনতার ঠ্যাঙ খোঁড়া। ক্রমশ অচল অবশ পা। কুড়িশো চৌদ্দ পায়ে হোলো গ্যাংগ্রীন কুড়িশো উনিশ আটানব্বই শতাংশ কোমা বাঁচার আশা ক্ষীণ এখন তো হাত পা গা বরফ শীতল সন্দেহ হতে ডাকা হোলো বদ্যি। তিনি এসে নাড়ি টিপে নিদান দিলেন মৃত্যু ঘটে গেছে বেশ কিছুদিন। |
কবি বিষাণ রুদ্র কবির ফেসবুক . . . এই কবিতাটি পাঠিয়েছেন কবি গণসঙ্গীতকার রাজেশ দত্ত মিলনসাগরে তাঁর কবিতার পাতা . . . এখানে তোলা হয়েছে ১৬.৮.২০২২ |
স্বাধীনতা কবি অশোক চট্টোপাধ্যায় রচনা ১৫ই অগাস্ট ২০১৬। কবি রাজেশ দত্ত সম্পাদিত 'আবাদভূমি' পত্রিকায় প্রকাশিত কবিতা। ১ রাত্রিকে চাবকাতে চাবকাতে হেঁটে যাচ্ছে চাঁদ দেখতে দেখতে শিউরে ওঠে হাওয়া মাটি কিন্তু হাসছে আপন মনে সময় শুধু একাই সঙ্গোপনে অঙ্ক কষে ঘরে স্বাধীনতা বেহুঁশ জ্বরে প্রলাপ বকে শুধু সাতটি দশক মরুভূমি, বালি ওড়ে ধু ধু ২ রাতের গালে চুমু খাচ্ছে চাঁদ বেবাক হাওয়া; একটুখানি কাঁদ বলছে মাটি; অঙ্ক কষে সময় একা ঘরে স্বাধীনতার অঙ্গ পোড়ে গা ঝিম ঝিম জ্বরে.... |
কবি অশোক চট্টোপাধ্যায় মিলনসাগরে কবির পাতা . . . এই কবিতাটি পাঠিয়েছেন কবি গণসঙ্গীতকার রাজেশ দত্ত মিলনসাগরে তাঁর কবিতার পাতা . . . এখানে তোলা হয়েছে ১৬.৮.২০২২ |
কবি রাজু গরাই কবির ফেসবুক . . . এই কবিতাটি পাঠিয়েছেন কবি গণসঙ্গীতকার রাজেশ দত্ত মিলনসাগরে তাঁর কবিতার পাতা . . . এখানে তোলা হয়েছে ১৬.৮.২০২২ |
|
|
যে কোনো কবিতায় ক্লিক্ করলেই সেই কবিতাটি আপনার ব্রাওজারের ডান দিক ঘেঁষে ফুটে উঠবে |
|
এই পাতাটি পাশাপাশি, ডাইনে-বামে স্ক্রল করে! This page scrolls sideways - Left - Right ! |